দর্শনা অফিস:
দেশের ঐতিহ্যবাহী কেরুজ ডিস্ট্রিলারিতে একজন ব্যক্তি দুইজনের দায়িত্ব পালন করার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়ার পর অভিযুক্তকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দর্শনা চিনিকল কতৃর্কপক্ষ বলছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চিনিকল কর্তৃপক্ষ জানায়, অভিযুক্ত রাসেল উদ্দীন টগর একজন মৌসুমি পিসি। কাজের স্বার্থে তাকে দিয়ে অমৌসুমে চুক্তিভিত্তিক মান করণীক এর কাজ করানো হয়। মান করণীক হিসেবে তাকে প্রতিমাসে ২৫ দিন দর্শনা থেকে ঢাকায় স্যাম্পল নিয়ে কেরুজ ডিস্ট্রিলারিতে জমা দেওয়ার কথা। কিন্তু তিনি তার কাজ না করে ডিস্ট্রিলারি বিভাগের ফরেনলিকার ও কান্ট্রি স্প্রিরিট-এর গোডাউন এজেন্ট সেজে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিলেন। শুধু তাই নয়, কেরুজ বিভিন্ন পণ্যগারে ডিস্ট্রিলারি পণ্য পাঠানোর সময় তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শ্রমিক গত মঙ্গলবার কেরু মিলে আসা কর্পোরেশন চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করলে মৌসুমি পিসি রাসেলের কর্মকাণ্ড উঠে আসে। চেয়ারম্যান সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা শুল্ক ও আবগারি বিভাগকে জানালে কেরুতে নিয়োজিত আবগারি বিভাগের ডিও এসএম জাফরুল আলমকে জানান। এসএম জাফরুল আলম বিষয়টির সত্যতা পেয়ে ঐ মৌসুমি পিসিকে ডিস্ট্রিলারির বাউন্ডারি থেকে বের করে ফিরোজ আহম্মেদকে তার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। ঘটনাটি নিয়ে কেরুজ এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে কেরুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোশারফ হোসেন, অভিযুক্ত রাসেল উদ্দীন টগরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান।