আলমডাঙ্গা অফিস: কুষ্টিয়ার মিরপুরের আমবাড়িয়ায় দুঃখু হত্যাকান্ডের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ন হয়ে দেখা দিয়েছে মোবাইল ফোনে আলমডাঙ্গায় ডেকে নেওয়া বুড়ো চরিত্র। রবিবার সন্ধ্যায় কুস্টিয়ার মেকুরপুরে দুঃখুর বোনের বাড়ি থেকে বুড়ো নামের লোকটি ডেকে মোবাইল ফোনে আলমডাঙ্গায় ডেকে নেয়। কিন্তু তদন্তের প্রথমেই ধাক্কা খেতে হচ্ছে আলোচিত চরিত্র বুড়ো নিহত দুঃখুর কাছের লোক। প্রশ্ন উঠেছে কোন গ্র“প দুঃখুর কাছের লোককে কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছে কিনা। গ্রাম্য রাজনীতিতে এসবও অবান্তর কিছু নয় মাথায় রেখেই এগিয়ে যেতে চাচ্ছে পুলিশ। তবে নিহতের পরিবার থানায় এখনও মামলা করেনি। আমবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান টুটুল ও গ্রামের কয়েকটি সূত্র দাবি করে বলেছেন, দুঃখুকে প্রতিপক্ষরা মেরে ফেলবে এর পক্ষে যুৎসই কোন কারন নেই। কারন হিসেবে তারা বলছে, দুঃখু তেমন কোন হুমকি নয়। এছাড়া, আমবাড়িয়া গ্রামে জসিমউদ্দিন বুড়োকে নিয়ে দিনভর আলোচনা চলছে। বুড়ো কেন দুঃখুকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে আসলো। এই আলোচনাই সবার মুখে মুখে। জসিমউদ্দিন বুড়ো এবং দুঃখু দুজনই বর্তমান চেয়ারম্যান মিলনের খুব কাছের লোক। কাছের লোক ছাড়া কারো ডাকে যে দুঃখু সাড়া দিবে না এই যুক্তিই দেখাচ্ছে গ্রামের অনেকেই। টুটুল বলেন, বর্তমান জাসদ সমর্থীত চেয়ারম্যান মিলন গত সাত মাস যাবৎ এলাকা ছাড়া। সে বাড়িতে থাকে না। এই সাত মাস ধরে নানা ষড়যন্ত্র করে দুঃখুকে তার নিজের লোক দিয়ে হত্যা করে লাইম লাইটে আসতে চাচ্ছে। যে কারনে আস্থাভাজন বুড়োকে দিয়ে দুঃখুকে ডেকে এনে হত্যা করিয়ে নিরপরাধ মানুষকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা করছে। তিনি আরো বলেন ঝন্টু একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। সে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এটাই কি তার অপরাধ? আমবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের রাজনীতি শেষ করে দিতে চেয়ারম্যান মিলন নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। সেই হীন তৎপরতারই অংশ দুঃখু হত্যাকান্ড। এদিকে, নিহত দুঃখুর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। দুঃখুর বাবা আলী হোসেন ছেলে হাঁরিয়ে পাগলপ্রায় হয়ে গেছেন। আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেন বলেন, নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও কোন মামলা করা হয়নি। তবে দুঃখুর বাবা আলী হোসেন পুলিশকে জানিয়েছেন, লাশ দাফন শেষে তারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করবেন।