কাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সবধরনের যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ
- আপলোড টাইম : ০৯:২১:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অগাস্ট ২০১৮
- / ৪১৬ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন হয়রানি বন্ধ না হলে
নিজস্ব প্রতিবেদক/দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া দর্শনায় জেলা পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পক্ষে মটরশ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।চুয়াডাঙ্গা থেকে পটুয়াখালী-ভায়া-ঝিনাইদহ রুটে দুটি নতুন বাস চলাচল বন্ধ ও রয়েল এক্সপ্রেসের ঢাকাগামী সকল বাস চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে আগামী বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টা থেকে চুয়াডাঙ্গা থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ পথে সব ধরনের যাত্রীবাহী বাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস ট্রাক সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য এম জেনারেল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এই অঞ্চলের মানুষের উন্নত সেবা দিতে বাংলাদেশ শ্রমিক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) অনুমতি নিয়ে মুজিবনগর-পটুয়াখালি দুটি নতুন বাস চালুর উদ্যোগ নেয় রয়েল এক্সপ্রেস। এর পরিপ্রেক্ষিতে মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল ও পটুখালি জেলার পরিবহন মালিক শ্রমিক সংগঠনের সাথে নিয়ম অনুযায়ী সকল আনুষ্ঠানিকতা করা হয়। অন্যান্য জেলার পরিবহন মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার আপত্তি না জানালেও ঝিনাইদহের আপত্তির কারণে যাত্রীরা উন্নত সেবা থেকে মাসের পর মাস বঞ্চিত হয়। এদিকে ঝিনাইদহ মালিক সমিতির একগুয়েমীতার বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির সভাপতি জিয়াউদ্দীন আহমেদকে লিখিত জানায়। যার অনুলিপি সড়ক ও সেতু বিভাগ, নৌ পরিবহন মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজিসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়। এরপর হঠাৎ ঝিনাইদহ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ কোনো প্রকার ঘোষনা ছাড়াই সোমবার রাতে মুজিবনগর ঢাকা পথে চলাচলকারি রয়েল এক্সপ্রেসের সকল বাস ফিরিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা কোনো সদুত্তর দেয়নি। এমতাবস্থায় আজ বুধবারের মধ্যে চলমান সমস্যার সমাধান না হলে আগামী ২ আগস্ট বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টা থেকে চুয়াডাঙ্গা থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যান্তরীন পথে সবধরনের যাত্রীবাহী বাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মো. সালাউদ্দীন, সদস্য আলী রেজা মন্ডল, হাজী আবুল কালাম, মুন্সী আলমগীর স্বপন, এ. নাসির জোয়ার্দ্দার, রিপন মন্ডল, বদিরউদ্দীন খান, সোহেল রঞ্জু, আবু বক্কর প্রমুখ।
অপরদিকে দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে দর্শনা মটরশ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে জানান চুয়াডাঙ্গার রয়েল এক্সপ্রেস কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ’র) অনুমতি নিয়ে দুটি অত্যাধুনিক নতুন বাস প্রস্তুত করেন। এজন্য সরকারের সকল নিয়ম মেনে রয়েল এক্সপ্রেস ও চুয়াডাঙ্গা জেলা মালিক-শ্রমিকদের পক্ষ থেকে মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার পরিবহনের মালিক-শ্রমিকদের সাথে নিয়ম অনুযায়ী সকল আনুষ্ঠিকতা করেন। অন্যান্য জেলার পরিবহন মালিক শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে অনাপত্তি দিলেও ঝিনাইদহ জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। শুধুমাত্র ঝিনাইদহের আপত্তির কারণে বরিশাল-পটুয়াখালী পথের যাত্রীরা সেবা থেকে মাসের পর মাস বঞ্চিত থাকছেন। এ বিষয়ে ২৩ জুলাই-২০১৮ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির সভাপতি জিয়াউদ্দীন আহমেদকে লিখিতভাবে জানানো হয়।
এরপর ঝিনাইদহ মালিক সমিতির নেতৃৃবৃন্দ গোস্যা করেন এবং কোন প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়ায় সোমবার রাতে মুজিবনগর-ঢাকা পথে চলাচলকারী রয়েল এক্সপ্রেসের সকল বাস ফিরিয়ে দেন। এ ব্যাপরে ঐ মালিক সমিতির সাথে যোগাযোগেরর চেষ্টা করা হলে তারা কোন সদুত্তর দেননি। এর প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হয় যদি পহেলা আগষ্ট বুধবারের মধ্যে রয়েল এক্সপ্রেস বাসের স্বাভাবিক চলাচল পুনরায় চালু এবং পটুয়াখালী পথে চলাচলের সুযোগ না দেয়, তাহলে ২রা আগষ্ট বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে চুয়াডাঙ্গা থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যান্তরীণ পথে সব ধরনের যাত্রীবাহী বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা মটরশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক রিপন মন্ডল, রয়েল এক্সপ্রেসের ম্যানেজার ভিট্টু মিয়া, ফোরম্যান আশা ও মালিক সমিতির সভাপতি-সাধারন সম্পাদক, দর্শনা মটরশ্রমিক ইউনিয়ন শাখা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিনাজ উদ্দিন মল্লিক, সাধারন সম্পাদক নাজিম আহম্মেদ, সহ সভাপতি আবুল হোসেন, প্রচার সম্পাদক আবু সাঈদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমঙ্গীর হোসেন, সাবেক সভাপতি ও দর্শনা ডিলাক্স পরিবহনের দর্শনা কাউন্টার মাষ্টার কওছার আলী শাহ্, জেআর পরিবহনের দোলন, রয়েল এক্সপ্রেসের লাবলু, সোনালীর ওহাব প্রমুখ।