ইপেপার । আজ বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

কালীগঞ্জে সুবর্ণসরা গ্রামে যুবদল নেতা মিঠু হত্যা মামলা হুমকিতে বাদী : আসামীদের ষড়যন্ত্র ফাঁস!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৪৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৪২৯ বার পড়া হয়েছে

we5নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সুবর্ণসরা গ্রামের যুবদল নেতা মনিরুজ্জামান মিঠু হত্যা মামলার আসামীদের বাড়িতে বোমাবাজীর ঘটনা ঘটেছে। সোমবার ভোররাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। গ্রামবাসি জানায়, একটি সাদা মাইক্রোবাসযোগে দুর্বৃত্তরা যশোরের লেবুতলা ইউনিয়নের আন্দোলপোতা গ্রামে মিঠু হত্যা মামলার আসামী সাক্কার আলী বিশ্বাস, বাক্কার আলী ও আকবর আলীর বাড়িতে কে বা করা হামলা চালায়। হামলার সময় ভয়ে ভীত হয়ে হৃদরোগ আক্রান্তে ওই বাড়ির প্রবীন সদস্য মনা মৃত্যু বরণ করেন। এ ঘটনায় পুলিশ সোমবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে বোমার স্প্রিন্টারসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে। মিঠু হত্যা মামলা ধামাচাপা ও ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আসামীরা নিজেরাই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। পুলিশ বলছে মিঠু হত্যা মামলা দায়েরের পর আসামীদের ভয়ে ওই পরিবারের ৮ পুরুষ সদস্য দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি ছাড়া। আসামীদের ভয়ে তারা এলাকায় আসতে পারেন না। এ ব্যাপারে যশোর কতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিলো বলে  কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস হোসেন জানান। এদিকে যুবদল নেতা মনিরুজ্জামান মিঠু হত্যা মামলার বাদী আক্কাচ আলী অভিযোগ করেন, আসামী সাক্কার ও বাক্কার এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তাদের এক ভাই আকবর বিশ্বাস হত্যা মালায় জেলে রয়েছে। কালীগঞ্জের সুবর্ণসরা গ্রামটি যশোর সমীন্ত থেকে দেড় কিলোমিটার দুরে। মিঠু হত্যা মামলার কয়েকজন আসামীর বাড়ি যশোরের আন্দোলপোতা গ্রামে। তিনি অভিযোগ করেন, বাদীর পরিবারকে ফাঁসাতেই এই নাটক সাজিয়েছে আসামীরা। এ বিষয়ে সুবর্ণসরা পুলিশ ক্যাম্পের বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা মহসিন আলী জানান, আন্দোলপোতা গ্রামটি ঝিনাইদহ যশোরের সীমান্তবর্তী। সেখানে কি ঘটনা ঘটেছে তা আমার জানা নেই। উল্লেখ্য ২০১৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর লুচিয়া গ্রামের মাঠে দিনে দুপুরে মনিরুজ্জামান মিঠু (৩৫) কে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় নিহতর ভাই আক্কাচ আলী বাদী হয়ে ১৮ জনকে আসামী করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কালীগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই এসএম আশরাফুল আলম তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৬ জুলাই আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালত থেকে আসামীদের নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হলেও ৩ জন ব্যতিত বাকী আসামীদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারিনি। মামলা করায় আসামীদের হুমকীতে বাদী আক্কাচ আলী, টিপু, রাজ্জা বিশ্বাস, ইদু, চকম আলী, জিয়ারুল, নবো ও মামুন প্রায় ৭ মাস ঘরবাড়ি ছেড়ে পথে পথে ঘুরছেন। তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। বাড়ি ফিরলে মামলা তুলে নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কালীগঞ্জে সুবর্ণসরা গ্রামে যুবদল নেতা মিঠু হত্যা মামলা হুমকিতে বাদী : আসামীদের ষড়যন্ত্র ফাঁস!

আপলোড টাইম : ০১:৪৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৬

we5নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সুবর্ণসরা গ্রামের যুবদল নেতা মনিরুজ্জামান মিঠু হত্যা মামলার আসামীদের বাড়িতে বোমাবাজীর ঘটনা ঘটেছে। সোমবার ভোররাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। গ্রামবাসি জানায়, একটি সাদা মাইক্রোবাসযোগে দুর্বৃত্তরা যশোরের লেবুতলা ইউনিয়নের আন্দোলপোতা গ্রামে মিঠু হত্যা মামলার আসামী সাক্কার আলী বিশ্বাস, বাক্কার আলী ও আকবর আলীর বাড়িতে কে বা করা হামলা চালায়। হামলার সময় ভয়ে ভীত হয়ে হৃদরোগ আক্রান্তে ওই বাড়ির প্রবীন সদস্য মনা মৃত্যু বরণ করেন। এ ঘটনায় পুলিশ সোমবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে বোমার স্প্রিন্টারসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে। মিঠু হত্যা মামলা ধামাচাপা ও ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আসামীরা নিজেরাই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। পুলিশ বলছে মিঠু হত্যা মামলা দায়েরের পর আসামীদের ভয়ে ওই পরিবারের ৮ পুরুষ সদস্য দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি ছাড়া। আসামীদের ভয়ে তারা এলাকায় আসতে পারেন না। এ ব্যাপারে যশোর কতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিলো বলে  কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস হোসেন জানান। এদিকে যুবদল নেতা মনিরুজ্জামান মিঠু হত্যা মামলার বাদী আক্কাচ আলী অভিযোগ করেন, আসামী সাক্কার ও বাক্কার এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তাদের এক ভাই আকবর বিশ্বাস হত্যা মালায় জেলে রয়েছে। কালীগঞ্জের সুবর্ণসরা গ্রামটি যশোর সমীন্ত থেকে দেড় কিলোমিটার দুরে। মিঠু হত্যা মামলার কয়েকজন আসামীর বাড়ি যশোরের আন্দোলপোতা গ্রামে। তিনি অভিযোগ করেন, বাদীর পরিবারকে ফাঁসাতেই এই নাটক সাজিয়েছে আসামীরা। এ বিষয়ে সুবর্ণসরা পুলিশ ক্যাম্পের বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা মহসিন আলী জানান, আন্দোলপোতা গ্রামটি ঝিনাইদহ যশোরের সীমান্তবর্তী। সেখানে কি ঘটনা ঘটেছে তা আমার জানা নেই। উল্লেখ্য ২০১৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর লুচিয়া গ্রামের মাঠে দিনে দুপুরে মনিরুজ্জামান মিঠু (৩৫) কে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় নিহতর ভাই আক্কাচ আলী বাদী হয়ে ১৮ জনকে আসামী করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কালীগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই এসএম আশরাফুল আলম তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৬ জুলাই আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালত থেকে আসামীদের নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হলেও ৩ জন ব্যতিত বাকী আসামীদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারিনি। মামলা করায় আসামীদের হুমকীতে বাদী আক্কাচ আলী, টিপু, রাজ্জা বিশ্বাস, ইদু, চকম আলী, জিয়ারুল, নবো ও মামুন প্রায় ৭ মাস ঘরবাড়ি ছেড়ে পথে পথে ঘুরছেন। তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। বাড়ি ফিরলে মামলা তুলে নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।