কালীগঞ্জে চানাচুর ফ্যাক্টরিতে আগুন, আতঙ্ক

প্রতিবেদক, কালীগঞ্জ:
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের চানাচুর তৈরির কারখানায় আগুন লেগে ভষ্মিভূত হয়েছে সব মালামাল। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার দিবাগত ভোর চারটার দিকে শহরের পূর্ব কলেজপাড়ার সলেমান হোসেনের স্বত্ত্বাধিকারী সোনার বাংলা চানাচুর তৈরির কারখানায়। এ ঘটনায় ওই কারখানার মালিকের প্রায় সাড়ে ১১ থেকে ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ওই পরিবার দাবি করেছেন। এদিকে, পরিবেশ রক্ষায় আবাসিক এলাকায় কারখানা স্থাপনের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, বাসা-বাড়ির প্রায় সাথেই এই কারখানা। সব মেশিনারিজ ও উৎপাদিত সব মালামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত সলেমান হোসেনের স্বজন অপি মিয়া জানান, গতরাতে চানাচুর তৈরি করে রাত দুইটার দিকে তাঁরা ঘুমাতে যান। হঠাৎ কারখানার একপাশে আগুন ও কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। এরপর দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্ত তার আগেই কারখানার সব মালামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ওই এলাকায় বসবাসকারী অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য রবিউল ইসলাম জানান, ভোরের দিকে মহল্লার মানুষ যখন ঘুমাচ্ছিল, তখন হঠাৎ চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়। তারা বাইরে এসে আগুন দেখতে পেয়ে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। কারখানার মধ্যে তেল জাতীয় জিনিসপত্র থাকায় মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছিল। আগুনের কুণ্ডলী দেখে এলাকার শিশুসহ সব বয়সী মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বলেন, আবাসিক এলাকায় এমন বিপজ্জনক কারখানা স্থাপনের জন্য মহল্লাবাসী সব সময় আতঙ্কে থাকেন।
সাইদুর রহমান পিকু নামের অপর প্রতিবেশী জানান, তার ঘরের সামনেই এই চানাচুরের কারখানা। এখানে দিন-রাত আগুনের কাজ থাকায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় তাদেরকে সব সময় আগুন ঝুঁকিতে বসবাস করতে হয়। এলাকাবাসী স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ড. মামুনুর রশিদ জানান, খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। তবে আবাসিক এলাকা হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বড্ড কষ্ট হয়েছে।