ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের আলোচিত কারিশমা হিজড়া হত্যার ঘটনায় ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় হতাশায় দিন কাটাচ্ছে স্বজনেরা। গত ৯ সেপ্টেম্বর সকালে সদর উপজেলার উদয়পুর গ্রামে নিজ ঘর থেকে কারিশমা (৪০) নামে তৃতীয় লিঙ্গের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কারিশমা সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মৃত সুলতান আলীর সন্তান। কারিশমার বড় ভাই নুরুন্নবী বলেন, উদয়পুর গ্রামে ওই বাড়িতে কারিশমা একাই থাকত। সম্প্রতি অন্যত্র বাড়ি তৈরী করায় শহরের টার্মিনাল এলাকার কাজল নামের এক ব্যক্তির কাছে তিনি বাড়িটি বিক্রি জন্য বায়না করে। বুধবার দুপুরে ওই বাড়িতে ক্রেতারা গেলে তার নিজ ঘরে লাশ দেখতে পায়। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিছানায় বসা অবস্থায় ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখা যায় কারিশমার মৃতদেহ। টাকা ও গহনার কারণে কে বা কারা তাকে নির্মমভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তিনি তদন্ত স্বাপেক্ষে কারিশমা হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামাল হোসেন বলেন, ‘এটি একটি ক্লু-লেস হত্যা। এখনও পর্যন্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। ঘটনার সূত্র ধরে প্রথমেই আলামত জব্দ করেছি। এ বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি দ্রুতই এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।’