কমে যাচ্ছে কাগুজে নোটের স্থায়িত্ব

সমীকরণ প্রতিবেদন:
ব্যবহারের পদ্ধতিগত কারণে কাগুজে নোটের স্থায়িত্ব কমে যাচ্ছে। ছয় মাস না যেতেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে কাগুজে নোট। সে তুলনায় খরচ বেশি হলেও ধাতব মূদ্রার স্থায়িত্ব অনেক বেশি। তা ছাড়া চাহিদা অনুযায়ী বছরে শুধু নতুন নোট ছাপাতেই খরচ হয় চারশ থেকে পাঁচশ কোটি টাকা। ফলে খরচ বাঁচাতে ক্যাশলেস কিউআর (কুইক রেসপন্স) লেনদেনে ঝুঁকছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই মধ্যে ঢাকায় শুরু করা হয়েছে কিউআর কোডের মাধ্যমে লেনদেন। যে মাধ্যমকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে নেওয়া হচ্ছে উদ্যোগ। বর্তমান বিশ্বে টাকা ছাপানোর কারখানা রয়েছে ৬৫টি। বাংলাদেশের কারখানাটির নাম টাকশাল। এখানে টাকা ছাপানো শুরুর আগে অন্য দেশ থেকে ছাপানো হতো। এর মধ্যে রয়েছে সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইংল্যান্ড। টাকশালের টাকা ছাপানোর ধাপগুলো খুবই গোপনীয়। সেখানে প্রায় ১২টি ধাপ পেরোতে হয় টাকা তৈরির জন্য। কারখানার অভ্যন্তরে সব কর্মচারীর মোবাইল ফোন কিংবা যেকোনো ধরনের ডিভাইস ব্যবহারও নিষিদ্ধ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ১০০০ টাকার নোট ছাপাতে ৫ টাকা ও ৫০০ টাকার নোট ছাপানোয় খরচ পড়ে সাড়ে ৪ টাকা। এছাড়া ২০০ টাকার নোটে তিন টাকার কিছু বেশি, ১০০ টাকার নোটে ৪ টাকা, ১০, ২০, ৫০ টাকার সবগুলো নোটই দেড় টাকা খরচ পড়ে। আর ৫ টাকা, ২ টাকার নোট ছাপাতে খরচ পড়ে প্রায় দেড় টাকা। সবচেয়ে বেশি খরচ পড়ে কয়েন তৈরিতে। প্রতিটি কয়েন তৈরিতে সেই মানের প্রায় সমান সমান টাকা খরচ পড়ে যায়। তবে কয়েনে বেশি অর্থ খরচ পড়লেও টেকসই বেশি। এসব নোট ছাপাতে বছরে বিপুল অঙ্কের অর্থ খরচ হয়। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ক্যাশলেসের দিকে এগোতে চায়।

অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ফাইন্যান্সিয়াল কারেন্সি ডিপার্টমেন্ট টাকা ছাপায়। তবে কতটুকু ছাপাতে পারবে তা নির্ভর করে রিকয়ারমেন্ট কত আছে কিংবা পুরোনো নোট যখন ইকোনমি এক্সপান্ড করে সেই হিসেবে। তা ছাড়া টাকা ছাপাতে হলে ফরেন রিজার্ভ থাকতে হবে, পর্যাপ্ত গোল্ড থাকতে হবে।