কনিকা সীড কোম্পানী (প্রা:) লিমিটেড : এর উদ্যোগে উচ্চ ফলনশীল পাট ফসল ও পাটবীজ বিপনণ সম্প্রসারণ শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

2222121111111

নিজস্ব প্রতিবেদক: সোনালী স্বপ্নের বাংলাদেশ, কনিকার পাটবীজে ফলন বেশ, এই ¯ে¬াগানকে সামনে রেখে কনিকা সীড কোম্পানী (প্রা:) লিমিটেডে’র আয়োজনে গতকাল ০৪ আগষ্ট, ২০১৬ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার অর্ন্তগত লোকনাথপুর ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন মাঠে কনিকা সীড কোম্পানী (প্রা:) লিমিটেড-এর পাটবীজ দ্বারা উৎপাদিত পাট ফসলের উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, হাউলি ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানীত চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ আলী শাহ্ মিন্টু। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  ড. মোঃ কামাল উদ্দিন, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট ঢাকা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে কৃষিবিদ নির্মল কুমার দে, উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর-চুয়াডাঙ্গা, ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম, টিম লিডার, রিসার্স এ্যান্ড টেকনোলজি কমার্সিয়ালাইজেশন, ইউএসএআইডি, এভিসি প্রজেক্ট-ঢাকা, কৃষিবিদ মো: কামরুল হক মিয়া, জেলা বীজ প্রত্যায়ন অফিসার, বীজ প্রত্যায়ন এজেন্সী-চুয়াডাঙ্গা, জনাব মো: নূর আলম (লিটন), ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কনিকা সীড কোম্পানী (প্রা:) লিমিটেড, ড. চন্দন কুমার শাহা, সিএসও, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট ঢাকা, ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, সি.এস.ও এ্যান্ড পি.ডি বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট ঢাকা এবং মাওলানা মোঃ আজিজুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ দামুড়হুদা, কৃষিবিদ সুফি মোঃ রফিকুজ্জামান, উপজেলা কৃষি অফিসার, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, দামুড়হুদা এবং  এ্যাড: মোঃ আহাদ আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহেশপুর, ঝিনাইদহ। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন অত্র কোম্পানীর সেলস অফিসার জনাব মুহাঃ কামরুজ্জামান। এরপর প্রধান অতিথিকে ফুলের তোড়া ও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা প্রদান করেন, অত্র কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ নূর আলম (লিটন) ও  ডাইরেক্টর অপারেশন, মুহাঃ আব্দুল¬াহ্ আল-মামুন। তারপর পর্যায়ক্রমে বিশেষ অতিথির প্যানেলে উপস্থিত থাকা সভাপতিসহ সকল বিশেষ অতিথি মহোদয়কে ফুলের তোড়া দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন অত্র কোম্পানীর প্রোডাকশন ইনচার্জ কৃষিবিদ মোঃ নাজিম উদ্দীন। স্বাগত বক্তব্য শেষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিসহ  সকল অংশগ্রহণকারী কনিকা সীড কোম্পানীর পাট বীজ দ্বারা উৎপাদিত পাট ফসলের প্রর্দশনী পাট পরিদর্শন করেন। পাট পরিদর্শন শেষে বক্তব্য রাখেন, প্রদর্শনী পাটের কৃষক মোঃ আশাদুল হক মিন্টু। তিনি বলেন প্রতি বছর পাট চাষ করি কিন্তু পাটের উচ্চতা ও আঁশ ভাল হয় না। এবার অত্র কোম্পানীর পাটের বীজ ব্যবহার করে পাটের উচ্চতা ১৪-১৫ ফুট হয়েছে এবং আঁশের পরিমান ভাল হয়েছে। আমার বিশ্বাস কনিকার পাটবীজ বাংলাদেশের কৃষকের জন্য আশির্বাদ হবে বলে আশা করছি। এরপর কৃষক প্রতিনিধি হিসাবে বক্তব্য রাখেন আহম্মদ আলী, গুড়দহ, মহেশপুর ও মোঃ মিলন হোসেন, কুড়–লগাছি, দামুড়হুদা, চুয়াডাঙ্গা। কৃষক প্রতিনিধি আহম্মদ আলী বক্তব্যে বলেন, অত্র কোম্পানীর ১প্যাকেট অর্থাৎ ৭৫০ গ্রাম পাটবীজ ক্রয় করে ১ বিঘা (৩৩ শতাংশ)  জমিতে বপন করেছিলাম, ১০০ দিনের মাথায় পাট ফসল কর্তন করে শুকানো পাটের আঁশ পেয়েছি ১৩ মণ, আমার ফলন ভাল হয়েছে। যদি ১২০ দিন পর্যন্ত পাট ফসল রাখতাম তাহলে ১৪-১৫ মণ পযন্ত ফলন আশা করা যেত। আশা করছি বাংলাদেশের উৎপাদিত কনিকার পাটবীজ চাষ করলে কৃষক লাভবান হবেন। তারপর ডিলার প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোঃ রফিকুল ইসলাম, প্রোপ্রাইটর, রফিক ট্রেডার্স, কুড়–লগাছি, মোঃ আব্দুর রহমান, রহমান ট্রের্ডাস, মহেশপুর। মোঃ হারুন অর-রশিদ, প্রোপ্রাইটর, হুরায়রা বীজ ভান্ডার, গৌরিনাথপুর, কোটচাঁদপুর এবং মোঃ বাবুল আক্তার, নির্বাহী পরিচালক, প্রভা সোসাইটি, ঝিনাইদহ। ডিলার প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্যে বলেন, আমাদের কৃষকরা সাধারণত ভারতের পাটবীজের উপর নির্ভরশীল। তারা অবগত নাই যে, বাংলাদেশেও কনিকা সীড কোম্পানী (প্রা:) লিমিটেড ভাল মানের উচ্চ ফলনশীল পাটবীজ উৎপাদন করছে। বিগত বপণ মৌসুমে কনিকার কোন প্রদর্শনী প্লট না থাকায় কোম্পানীর উৎপাদিত পাটবীজ কৃষকদের মাঝে বিপণন করতে বেগ পেতে হয়েছে। আমরা ডিলার ভাইয়েরা কৃষকদের দায়ভার নিয়ে কনিকার  উচ্চ ফলনশীল পাটবীজ বিপণন করেছি।  কোম্পানী’র উৎপাদিত পাটবীজ দ্বারা পাট ফসলের উচ্চ ফলন হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। কৃষকের মুখের হাসির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি কনিকা সীড কোম্পানী (প্রা:) লিমিটেড সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয়কে। বিশেষ অতিথি হিসেবে ব্ক্তব্য রাখেন, কনিকা সীড কোম্পানী (প্রা:) লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মো: নূর আলম (লিটন)। তিনি বক্তব্যে বলেন, অত্র কোম্পানী দীর্ঘদিন যাবৎ গুনগত মান সম্পন্ন উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন শ্রেণীর বীজআলু, ধানবীজ, সবজী বীজসহ পাটবীজ উৎপাদন করে বাংলাদেশের ২৩টি জেলায় বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিগত মৌসুমে ইউএসএআইডি, এর্ভিসি প্রজেক্টের সহযোগিতায় পরীক্ষামূলক উচ্চফলনশীল পাটবীজ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ করেছে। অত্র কোম্পানী’র পাটবীজ উৎপাদিত পাট ফসলের অবস্থা ভাল বিধায়, চলতি মৌসুমে অত্র কোম্পানী উচ্চ ফলনশীল ২৫-৩০ মে.টন পাটবীজ উৎপাদন করার পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরপর প্রধান অতিথি বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউ-এর  মহাপরিচালক ড. মো: কামাল উদ্দিন বক্তব্যে বলেন, আপনাদের অবগত করতে চাই, কনিকা সীড কোম্পানী (প্রা:) লিমিটেড, উচ্চ ফলনশীল পাটবীজ উৎপাদন করার জন্য বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর সাথে এমওইউ স্বাক্ষর সম্পাদিত করেছে। এই ক্লান্তিলগ্নে কনিকা সীড কোম্পানী (প্রা:) লিমিটেড বাংলাদেশে এই প্রথম বে-সরকারী পর্যায়ে উচ্চ ফলনশীল পাটবীজ উৎপাদনে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি কনিকা সীড কোম্পানী (প্রা:) লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয়কে পাট ফসলের মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। পাট ফসল পরিদর্শন করে, আমার ভাল লেগেছে । কারণ কনিকা পাট বীজে ভাল পাট ফসলের জন্য। আমার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে উচ্চ ফলনশীল পাটবীজ উৎপাদনের জন্য কারিগরী সহযোগিতা প্রদান করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিশেষ অতিথি হিসেকে বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে, কৃষিবিদ নির্মল কুমার দে, উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর-চুয়াডাঙ্গা, কৃষিবিদ মো: কামরুল হক মিয়া, জেলা বীজ প্রত্যায়ন অফিসার, বীজ প্রত্যায়ন এজেন্সী-চুয়াডাঙ্গা, ড. চন্দন কুমার শাহ, সিএসও, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা, ড. মো: নজরুল ইসলাম, সি.এস.ও এ্যান্ড পি.ডি বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট-ঢাকা, মাওলানা মো: আজিজুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ-দামুড়হুদা এবং কৃষিবিদ সুফি মো: রফিকুজ্জামান, উপজেলা কৃষি অফিসার, দামুড়হুদা। অতিথিবৃন্দ বক্তব্যে বলেন, কনিকা সীড কোম্পানী (প্রা:) লিমিটেড, পর্যায়ক্রমে যে সমস্ত মহতি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সেসব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। তার ব্যবসায়িক উন্নতি  কামনা করছি।  গুনগত মান সম্পন্ন উচ্চ ফলনশীল বীজ উৎপাদন একটি মহতী উদ্যোগ, কারন ভাল বীজ সরবরাহ করলে, কৃষক সমাজ লাভবান হবেন। এরপর অনুষ্ঠানের সভাপতি মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টু, চেয়ারম্যান, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদ সমাপনি বক্তব্য রাখেন। সার্বিক উপস্থপনায় ছিলেন হিরণ অর রশিদ শান্ত। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন অত্র কোম্পানী’র ডাইরেক্টর অপারেশন মুহা: আব্দুল্লাহ আল মামুন, কো-অর্ডিনেটর মাবুদ সরকার, মহিদুল হক সেন্টুসহ কর্মকর্তাবৃন্দ প্রমুখ।