
সমীকরণ প্রতিবেদন:
আজ ১২ ফাল্গুন। প্রতিবছরের মতো আজ চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী পীরগঞ্জ (ঠাকুরপুর) মসজিদের বার্ষিক ইছালে সওয়াব ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত হবে। ইতঃমধ্যে শেষ হয়েছে সকল প্রস্তুতি। প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, খাতা-কলমে ৯৬ বছর হলেও ৩০০ বছরের অধিক সময় ধরে এই বার্ষিক ইছালে সওয়াব ও হালকায়ে জিকিরের আয়োজন করা হয়। কালক্রমে এর নাম পরিবর্তন হয়েছে। ঠাকুরপুরের নাম পীরগঞ্জ করার পিছনে ওই বিশাল আকৃতির গম্বুজ মসজিদটির ভূমিকা রয়েছে। ইসলামধর্ম প্রচারে যুগে যুগে এলাকায় আলো ছড়িয়েছেন যারা, তাদের একজন ছিলেন আফু শাহ্। ১৬৯৮ সালের দিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে মাথাভাঙ্গা, নবগঙ্গা বেয়ে তিনি ঠাকুরপুরে আস্তানা গড়ে তোলেন। এখানেই রয়েছে বড় গম্বুজের মসজিদ। আফু শাহ্ ছিলেন সাধক পুরুষ ও গুণীজন। কথিত রয়েছে তারই বিশেষ গুণে মসজিদটি এক রাতেই নির্মিত হয়। পরবর্তীতে এ মসজিদের মূল কাঠামো ঠিক রেখে সংস্কার করা হয়।
এ বছর বার্ষিক ইছালে সওয়াব ও হালকায়ে জিকিরে প্রধান বক্তা থাকবেন ঢাকার হয়রত মাওলানা মুফতি মো. আল আমীন সাইফী। দ্বিতীয় বক্তা থাকছেন চুয়াডাঙ্গার কালিয়াবকরী মাদ্রাসার মুহতামিম হযরত মাওলানা মুফতি আলী আকবর। বিশেষ বক্তা থাকছেন পীরগঞ্জ জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদ।