চুয়াডাঙ্গা শনিবার , ১৮ নভেম্বর ২০২৩

ঐকমত্য না হলে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা-সিইসি

নিউজ রুমঃ
নভেম্বর ১৮, ২০২৩ ৩:৪০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সমীকরণ প্রতিবেদন:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য না হলে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সঙ্কটের মুখে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, আমরা একটা সঙ্কটে আছি, তাতে সন্দেহ নেই। কারণ ভোট নিয়ে এখনও রাজনৈতিক কোনো ঐক্য দেখতে পাচ্ছি না। এটা খুব প্রয়োজন। যদি ঐক্যের ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। আমরা চাই না, নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের সময়ে কোনো রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হোক। রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবন অডিটোরিয়ামে গতকাল ‘জাতীয় ভোটার দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন সিইসি। এ সময় অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, এনআইডি ডিজি, ইসির অতিরিক্ত সচিবসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে ভোটার দিবসের র‌্যালিতে সিইসি বলেন, আপনাদের মধ্যে যদি মতপার্থক্য থাকে, সেটা নিরসন করার চেষ্টা করুন। রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্যে পৌঁছাতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) মুরব্বিয়ানা করতে পারবে না। তিনি বলেন, আমরা বিনীতভাবে সব রাজনৈতিক দলকে বলবো আপনারা যেকোনো প্রকারেই হোক, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভারসাম্য সৃষ্টি করুন। যাতে এই ভারসাম্যের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রে এক ধরনের নিরপেক্ষতা এবং যথার্থতা প্রতিষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা একটা খাবার তৈরি করে নিজেরাই খেয়ে ফেলব না। আমি আমাদের সহকর্মীদের বলব, ভোটার দিবসে আমরা যদি আরও অনেক বিশিষ্টজন ও অংশীজনদের আমন্ত্রণ জানাতে পারি বা তাদের সমবেত করতে পারি তাহলে তারও একটি ইতিবাচক ফল হতে পারে। এ জিনিসটা (ভোটার দিবস) নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা এখনও আস্থাভাজন হয়ে ওঠেনি। আজকেও পত্রিকায় দেখলাম জাতীয় পার্টির নেতা জি এম কাদের বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় আস্থার জায়গা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এটা সম্পূর্ণ সত্য নয়, তবে কিছুটা হলেও সত্য। ভোটারদের আস্থা বর্ধিত করতে হবে। মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। নির্বাচন আয়োজক হিসেবে ভোটার এডুকেশন আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম, ভোটার দিবস করে লাভ কোথায় সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমার সহকর্মীরা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন যে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে। সার্বিকভাবে মোটেই কম হয়নি। এটা সঠিক তথ্য নয়। তিনি বলেন, বাস্তবতার নিরিখে, ভোট যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, ব্যাপকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, তখন ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকে। জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হয়েছে কারণ সেখানে সময় বাকি আছে মাত্র ১০ মাস। আর সত্যিকার অর্থে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়নি। তিনি বলেন, আপনারা ইউনিয়ন কাউন্সিলর ভোট দেখেছেন সেখানে কিন্তু উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল এবং ইভিএমে হয়েছে। ইভিএমে ভোটে বলা হয় ধীরগতি, সেখানেও উপস্থিতি যথেষ্ট ভালো ছিল। আমরা আশা করি আগামীতে ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে।
বিভিন্ন কারণেও ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আবহাওয়াগত কারণ হতে পারে, দুর্যোগের কারণে হতে পারে, শীতের কারণে হতে পারে। বিভিন্ন কারণেই হতে পারে। কিন্তু যেটা গুরুত্বপূর্ণ, ভোটাররা এসেছেন কি না তাদের বাধা দেয়া হয়েছে কি না। তারা ভোট দিতে পেরেছেন কি না সেটাই মুখ্য আমাদের কাছে। সিইসি বলেন, রাজনৈতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যদি হয় তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোর একটা দায়িত্ব রয়েছে। তাদেরকে সে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা আপনাদের ব্যালট পেপার সাপ্লাই করব, বক্স সাপ্লাই করব এবং আমরা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সংস্থাগুলো আছে তাদেরকে স্ট্রিকলি বলে থাকি আপনারা ভোটকেন্দ্রের চারপাশে প্রত্যাশিত যে আইনশৃঙ্খলা এবং অনুকূল পরিবেশ, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন। এককভাবে এই দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নয়।
আগামীবারের ভোট ২০১৪ আর ২০১৮ সালের মতো হবে না, আপনারা কেন এত আশাবাদী এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এ প্রশ্নে আমি কোনো মন্তব্য করব না। ১৮, ১৪ সালে কী হয়েছে সেগুলো আমরা দেখব না। আমরা সামনের দিকে এগোচ্ছি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।