এশিয়ায় যুদ্ধ ছড়াচ্ছে পশ্চিমারা: রাশিয়া

বিশ্ব প্রতিবেদন:

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে পশ্চিমাদের বরাবরই দায়ী করে আসছে মস্কো। এবার প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও দীর্ঘ যুদ্ধের বীজ বপন করছে বলে দায়ী করা হয়েছে পশ্চিমা বিশ্বকে। মূলত অকাস চুক্তির আওতায় পারমাণবিক সাবমেরিন প্রকল্পের সম্মতির পরই মঙ্গলবার পশ্চিমের ওপর ফুঁসে ওঠেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। একই হুঙ্কার দিয়েছে চীনও। বলেছে, নিজ স্বার্থের জন্য তারা আন্তর্জাতিক উদ্বেগকে উপেক্ষা করছে। বিশ্বব্যাপী অশান্তি সৃষ্টি করছে। পশ্চিমকে অভিযুক্ত করে ল্যাভরভ বলেন, পরমাণবিক সাবমেরিন চুক্তিতে সম্মত হয়ে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দীর্ঘ সংঘাতের উসকানি দিচ্ছে পশ্চিমা গোষ্ঠী। বলেন, ‘অকাসের মতো কাঠামোগুলোই ‘অ্যাংলো-স্যাক্সন’ (মধ্যযুগীয় ইউরোপীয় জোট) বিশ্ব তৈরি করে।

এশিয়ায় ন্যাটো সামরিক জোটের এই বাড়াবাড়ি অঞ্চলটিকে বহু বছরের সংঘর্ষের জন্যই প্রস্তুত করছে।’ চীন মঙ্গলবার সতর্ক করে জানায়, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক সাবমেরিন চুক্তি উন্মোচন করে ‘ভুল ও বিপদের পথে’ হাঁটছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ার সর্বশেষ যৌথ বিবৃতিটি প্রমাণ করে তারা নিজস্ব ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করছে। ভুল এবং বিপদের পথে হাঁটছে। সাবমেরিন টানাপোড়েনের মধ্যেই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে শিগগিরই কথা বলতে চেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার গণমাধ্যমে এ কথা জানান তিনি। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান টানাপোড়েনের বিষয়ে শি জিন পিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত কিনা-এমন প্রশ্নে ‘হ্যাঁ-সূচক’ জবাব দেন বাইডেন। তবে তিনি শির সঙ্গে ঠিক কবে কথা বলবেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি। অস্ট্রেলিয়া সোমবার ঘোষণা করে পাঁচটি মার্কিন পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন কেনার কথা। তবে অস্ট্রেলিয়া কোনো পারমাণবিক অস্ত্র পাবে না বলে জোর গলায় বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এদিকে মার্কিন পরমাণু চালিত সাবমেরিন কেনা ও নিজস্ব জাহাজ তৈরির পরিকল্পনা দেশের ইতিহাসে প্রতিরক্ষা খাতে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হিসাবে দেখছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। বলেন, ‘প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের সঙ্গে চুক্তিটি দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় একক বিনিয়োগ।’