সমীকরণ প্রতিবেদন: এবার মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি এসে পড়েছে বাংলাদেশে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।
সন্ধ্যার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের কোনারপাড়া এলাকায় একটি গুলি এসে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে তুমুল গুলিবর্ষণ ও সংঘর্ষ চলছে। গতকাল শুক্রবারও ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাইশফাঁড়ী বিজিবি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ৩৬-এর বিপরীতে আনুমানিক তিন কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আনুমানিক ৪০০-৫০০ রাউন্ড ক্ষুদ্রাস্ত্র ও ২০-২৫টি মর্টার শেল ফায়ারের শব্দ শোনা যায়। সন্ধ্যার দিকে তমব্রু কোনারপাড়া এলাকায় ক্ষুদ্রাস্ত্রের একটি গুলি এসে পড়ে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিক্ষিপ্ত দুটি মর্টার শেলের গোলা একই ইউনিয়নের তুমব্রু উত্তরপাড়া জামে মসজিদ এলাকায় এসে পড়েছিল। গোলাগুলো বিস্ফোরিত না হওয়ায় তখন কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এর পর ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় যুদ্ধবিমান থেকে ফায়ার করা দুটি গোলা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপি আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর মাঝামাঝি এলাকায় পড়ে। ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু এলাকার বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান, ফখরুদ্দীন ও নূর মোহাম্মদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টা থেকে তমব্রু সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। পরে সন্ধ্যার দিকে তমব্রু ঘোনারপাড়া এলাকায় ক্ষুদ্রাস্ত্রের একটি গুলি পাওয়া যায়। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
