নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার জনপ্রিয় ‘অনলাইন ডিসপ্লে সিডি’, পাওয়ার্ড বাই গো মামা গো (ডেলিভারি)-এর গেট টুগেদার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার অভিজাত হোটেল সাহিদ প্যালেসের সিঙ্গাপুর ক্যাফে অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে এ মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রায় ৪৫ জন তরুণ উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন। চুয়াডাঙ্গা এবং চুয়াডাঙ্গার বাইরে তথা পুরো দেশ এবং ভবিষ্যতে দেশের বাইরেও চুয়াডাঙ্গার উদ্যোক্তাদের পণ্য ব্রান্ডিং হিসেবে কাজ করার স্বপ্ন নিয়ে এই অগ্রযাত্রাকে আরও গতিশীল করার উদ্দেশ্যে এ আয়োজন করা হয়। মিলন মেলায় উপস্থিত হয়ে তরুণ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন বিগ বাজারের স্বত্ত্বাধিকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক, দৈনিক প্রথম আলোর চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি শাহ আলম সনি, চুয়াডাঙ্গা টেলিকমের স্বত্ত্বাধিকারী হুমায়ন কবির রিমু, বাংলাদেশ টেলিকমের স্বত্ত্বাধিকারী রিপন হাসান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পলাশ কুমার সাহা।
তরুণ উদ্যোক্তা সজল আহমেদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান, ফারহান লায়েস আবেগ, তাজুল ইসলাম ও আরিফ ইশতিয়াক এনাম এ বছরেরই ১৭ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘অনলাইন ডিসপ্লে সিডি’, পাওয়ার্ড বাই গো মামা গো (ডেলিভারি) নামে একটি গ্রুপ খোলেন। চুয়াডাঙ্গার নতুন এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের পণ্য, যেমন- বিভিন্ন প্রকার খাবার, হাতের কাজ করা পোশাক, প্রাকৃতিক উপায়ে রূপচর্চার বিভিন্ন পণ্য, কৃষি মাধ্যমের পণ্য, বাসার বিভিন্ন বাজার পণ্য, ইলেক্ট্রনিক পণ্যসহ এক কথায় প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের পণ্য বাজারজাত করা হয়। একই সঙ্গে রাখা হয় হোম ডেলিভারির সুবিধা। দিন দিন বাড়তে থাকে এ গ্রুপটির সদস্য সংখ্যা। বর্তমানে গ্রুপটিতে প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি সদস্য আছে। তরুণ উদ্যোক্তা বিশেষত নারী উদ্যোক্তারা এই মাধ্যমে তাঁদের নিজের নিজের পণ্যের প্রচার করে বাজারজাত করছেন। অনেকেই আছেন, যাঁদের মাসিক সেল ৩ শ পণ্যের ওপরে।
এদিকে, এই গ্রুপটি চুয়াডাঙ্গা এবং চুয়াডাঙ্গার বাইরে তথা পুরো দেশ এবং ভবিষ্যতে দেশের বাইরেও চুয়াডাঙ্গার উদ্যোক্তাদের পণ্যের আইকন হিসেবে কাজ করার উদ্দেশ্যে উন্নতমানের অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটের কাজ শুরু করেছে। অতিদ্রুতই তাঁরা অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পণ্যের বাজারজাত করা শুরু করবে।
‘অনলাইন ডিসপ্লে সিডি’, পাওয়ার্ড বাই গো মামা গো (ডেলিভারি)-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সজল আহমেদ জানান, ‘বিশ্বে বড় বড় কোম্পানিগুলো কাজ করছে। আমরা চুয়াডাঙ্গার পণ্য কেন দেশ-বিদেশে তুলে ধরতে পারব না। আমাদের পণ্যও দেশ এবং দেশের বাইরের বাজারে সমাদৃত হবে। কারণ আমাদের পণ্য উৎকৃষ্টমানের। ইতোমধ্যে আমাদের গ্রুপের মাধ্যমে অনেক তরুণ সফলভাবে তাঁদের পণ্য বাজারজাত করতে আরম্ভ করেছে। আমরা আইকন হিসেবে কাজ করতে চাচ্ছি। প্রফিটের আশায় নয়, আমাদের মতো শত শত তরুণের স্বপ্ন পূরণে ও চুয়াডাঙ্গার পণ্যকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতেই আমাদের কাজকে গতিশীল করার লক্ষ্য।’ সজল আহমেদ আরও জানান, ‘বাটিক, হ্যান্ড মেড, কৃষি এবং দেশী পণ্য বিশেষত নারী গৃহিনী বা শিক্ষার্থীরাও পড়াশোনার পাশাপাশি তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেরদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে আগ্রহী। অনলাইনে বাজারের ক্ষেত্রে এখন দেখা যাচ্ছে, অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন। কিন্তু সততার সঙ্গে কাজ করছি আমরা। এই আগস্টেই এখনো পর্যন্ত আমাদের মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্যোক্তার প্রায় ১ হাজার ৫ শ টি ডেলিভারি হয়েছে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং আশাবাদী।’