এক নেতার এক পদ কার্যকরী করতে কঠোর খালেদা জিয়া

8ik

সমীকরণ ডেস্ক: গঠনতন্ত্রে এক নেতা একটি পদে থাকতে পারবেন এমন বিধান করা হলেও তা মানতে চাচ্ছেন না বিএনপির অনেক কেন্দ্রীয় নেতা। সঙ্গত কারণে এই বিধান কার্যকরী করতে কঠোর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন দলটির প্রধান খালেদা জিয়া। নিজ থেকে নেতারা একটি পদ বেছে না নিলে কেন্দ্র থেকেই পদ ঠিক করে দেয়া হবে। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগেও একাধিক পদ আঁকড়ে রাখার নেতার সংখ্যা ছিল ৬০-৭০ এর মধ্যে। এর মধ্যে ৪০ জন একটি পদ রেখে বাকি পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। কিন্তু বাকিরা বিভিন্ন অজুহাতে এখনো পদ ছাড়েননি। গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সহ দপ্তর সম্পাদকরা ওই সব নেতার মোবাইল ফোনে কথা বলে অব্যাহতি নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার পদ ছাড়াতে এবার অনেক নেতাকে কেন্দ্রীয় পদ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের অনেকে কেন্দ্রীয় পদ ছেড়ে জেলা পদে থেকে গেছেন। কারণ, নির্বাচনী এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখতে কেউ জেলা পদ ছাড়তে চাইছেন না। সম্প্রতি এক নেতার এক পদের বিধানের বিষয়ে বিএনপিপ্রধান খালেদা জিয়া বলেন, এই বিধান কার্যকর করার জন্য কাজ হচ্ছে। খুব শিগগিরই তা বাস্তবায়নও করা হবে। একাদিক পদে কেউই থাকতে পারবে না। বিএনপির চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠ সূত্রমতে, যেসব কেন্দ্রীয় নেতা জেলা বা অঙ্গদলের নেতৃত্বে আছেন তারা কাউন্সিল পর্যন্ত পদে থাকার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি পরবর্তী কাউন্সিল বিলম্ব করতে নিচ্ছে নানা কৌশল। বিষয়টি দলের হাইকমান্ড জানতে পেরেছেন। সঙ্গত কারণে এক পদনীতি কার্যকর করতে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে যেসব নেতা কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন তাদের দ্বিতীয় পদে নতুন কমিটি না করা পর্যন্ত সভাপতির স্থলে সিনিয়র সহ-সভাপতি বা পর্যায়ক্রমে যে নেতা আছেন তাকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে পদ দেয়া হবে। আর সাধারণ সম্পাদকের স্থলে জ্যৈষ্ঠতার ভিত্তিতে যুগ্ম সম্পাদককে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক পদে বসানো হবে। সিনিয়র এক নেতা জানান, এক নেতার এক পদ কার্যকরী করার ক্ষেত্রে কারও সঙ্গে কোনো আপস করা হবে না। কারণ বিএনপিতে অনেক সুযোগ্য নেতা আছেন, তাই এক নেতাকে একাধিক পদে রাখার কোনো মানে নেই। এজন্য দলের হাইকমান্ড নভেম্বরের মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান করে এক নেতার এক পদ পদ্ধতি কার্যকর করবেন। যেসব স্থানে নতুন কমিটি হওয়াটা শুধুই সময়ের ব্যাপার সেসব কমিটির বিষয়ে এখনই কেন্দ্র কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। তবে যেসব কমিটি হতে সময় লাগবে সেসব কমিটি থেকে অবশ্যই একাদিক পদে থাকাদের সরে যেতে হবে। উধাহরণ হিসেবে বলা যায়, কয়েক দিন আগেই যুবদলের নতুন কমিটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে তা করা সম্ভব হয়নি। এখন এই কমিটি হতে কিছুটা বিলম্বও হবে। সঙ্গত কারণে বিএনপিপ্রধান যুবদলের দ্বিতীয় সহ-সভাপতি এলবার্ট পি কস্টাকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করেছেন। সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম আযাদ কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পাওয়ায় দ্বিতীয় সহ সভাপতিকে বেছে নেয়া হয়েছে। একই পদ্ধতি অন্য কমিটিতে অবলম্বন করা হতে পারে। জেলা পর্যায়েও একাধিক পদদারীদের সরাতে জ্যেষ্ঠতা অনুসারে সহ-সভাপতিকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পদককে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে পরবর্তী কাউন্সিল না হওয়া পর্যন্ত সংগঠনের কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দেয়া হতে পারে।