
সমীকরণ প্রতিবেদন:
উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এ ফল প্রকাশ করা হবে। এদিন সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেবেন। এরপর দুপুরের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। দুপুর ১২টার পর থেকে রেজাল্ট জানা যাবে। রোববার সকালে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এইচএসসি-সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। এ পরীক্ষার ফল প্রকাশে আগামী ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি সম্ভাব্য সময় উলেস্নখ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠাই। সেটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠালে তিনি ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সম্মতির বিষয়টি জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সময় নির্ধারণ করায় আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরের মধ্যে এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। গত বছরের ৬ নভেম্বর সারা দেশে একযোগে শুরু হয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এতে অংশ নেন মোট ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ পরীক্ষার্থী। মোট ২ হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ২২ হাজার ৭৯৬ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ জন। মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অংশ নিয়েছেন মোট ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৩ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৮২ হাজার ১৮৩ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৩ হাজার ৫৩০ জন। মোট ২ হাজার ৬৭৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসব শিক্ষার্থীরা মোট ১ হাজার ৫২৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন মোট পরীক্ষার্থী ৯৪ হাজার ৭৬৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৫১ হাজার ৬৯৫ জন এবং ছাত্রী ৪৩ হাজার ৬৮ জন। মোট ২ হাজার ৬৭৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা মোট ৪৪৮টি কেন্দ্রে অংশ নেন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপেস্নামা-ইন-কমার্স পরীক্ষায় ১ লাখ ২২ হাজার ৯৩১ জন অংশ নেন। এর মধ্যে ছাত্র ৮৮ হাজার ৯১৮ জন এবং ছাত্রী ৩৪ হাজার ১৩ জন। মোট ১ হাজার ৮৫৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬৭৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেন পরীক্ষার্থীরা।