ঈদকে সামনে রেখে বদরগঞ্জে জমে উঠেছে পশুর হাট!
- আপলোড টাইম : ০৮:২৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৮
- / ৪৬৬ বার পড়া হয়েছে
আকিমুল ইসলাম: চুয়াডঙ্গার সীমান্তবর্তী পশুহাটগুলোর মধ্যে বদরগঞ্জ পশুবাজারের নাম অন্যতম হিসেবে আছে বিরাজমান। আর মাত্র ২দিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। তাই ঈদকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গার বদরগঞ্জে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা বিক্রেতারা। চুয়াডাঙ্গার সবগুলো হাটেই ছিল ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। কোরবানির পশুর দামের তালিকায় ছাগল, ভেড়া, মহিষ, মুরগীর মূল্য প্রায় সঠিক থাকলেও ওই হাটে গরুর মূল্য অন্য বছরের তুলনায় এ বছর মূল্য বেশি হওয়ায় কেনাবেচা ভালো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। গতকাল শনিবার বদরগঞ্জ (দশমাইল) ছিলো কোরবানির পশু কেনাবেচার শেষ হাট।
চুয়াডাঙ্গা সদরের বদরগঞ্জ (দশমাইল) কোরবানির পশুর হাটে সরেজমিনে দেখা যায়, হাটগুলোতে বিক্রির জন্য এতটাই পশু জমা হয়েছে যে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে পা রাখার ঠাঁই নেই। কিন্তুু তারপরও কাঙ্খিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে বিক্রেতাদের পশুগুলো। বিক্রেতাদের অভিযোগ, প্রতি বছর এই বদরগঞ্জ পশুহাটে ভারত থেকে অধিক পরিমাণে গরু এসে হাজির হয় একারনে আমাদের পশুগুলো ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারিনা। তবে এবছর ভারতের গরু হাটে প্রবেশ না করাই আমরা আমাদের পশুগুলো কাঙ্খিত দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পেরেছি। গ্রাম্য পশু ব্যবসায়ীরা (দালাল) গ্রামে যে দামে পশু ক্রয় করতে ইচ্ছুক ছিলো কিন্তুু হাটে এসে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পশু নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও সেই তুলনায় হাটে দাম বেশিই হচ্ছে বলে জানান পশুপালনকারীরা। তবে অন্যান্য হাটে ঈদের আগে পশুর দাম আরও বাড়বে বলে মনে করছে ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
তবে এবছর মাঝারি সাইজের গরুগুলোর চাহিদা বেশি। মাঝারি সাইজের গরুগুলো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে। মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা থাকায় অনেকে কিছুটা দামে বিক্রি করতে পারলেও একটু বড় সাইজের গরুগুলো খুবই কম বিক্রি হয়েছে। গতকাল হাটের সব থেকে বেশি মূল্যের গরুটি ছিলো ২ লাখ টাকার উর্দ্ধে। আর বাকিগুলো পঞ্চাশ হাজার থেকে দেড় লক্ষ টাকার মধ্যে। অধিক পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে কিছু লাভের আশায় পশু পালন করে কাঙ্খিত মূল্য পেয়ে অনেকে চরম আনন্দ প্রকাশ করেছে তবে অনেকে আরও চড়া দামে গরু বিক্রির হাট থেকে গরু বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। পুনরায় ঈদের পর বিক্রয় করবে বলে জানান তারা।