ধর্ম ডেস্ক: ইসলাম একটি বিশ্বজনীন শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। এ শান্তির ধর্মের প্রচার-প্রসারের একমাত্র উপায় হলো দাওয়াত। যুগে যুগে আল্লাহ তায়ালা যেসব নবী-রাসুল (আ.) প্রেরণ করেছেন, তাদের সবার কাজ ছিল এ সত্য ধর্মের প্রচার, সত্যের বাণী সমাজের সর্বস্তরে পৌঁছানো। নবীর উত্তরসূরি হিসেবে একজন মুসলিমের অন্যতম প্রধান কর্তব্য হলো, ‘ইসলামের দাওয়াত দেয়া।’ সত্যের বাণী তথা কোরান-হাদিসের বাণী নিজেরা সঠিকভাবে জানা, মেনে চলা এবং অপরের কাছে তা পৌঁছে দেয়া। এটাই হওয়া উচিত দাওয়াতের মূল কৌশল। দাওয়াত হলো ব্যক্তি-সমাজ-রাষ্ট্র পরিবর্তনের এমন একটি পন্থা যা দ্বারা মানবজাতিকে ইসলামের প্রতি আহ্বান করা হয়। অন্ধকার হতে আলোর পথ প্রদর্শন এবং জীবনের সঙ্কীর্ণতা হতে পার্থিব ও পারলৌকিক জীবনের প্রশস্ত অবস্থায় রূপান্তরিত করা হয়। দাওয়াত বলতে শুধু ওয়াজ-নসিহত, মসজিদ-মহল্লায় গিয়ে নামাজ-রোজার কথা বলাকেই বোঝায় না, বরং এগুলো হলো দাওয়াতের অংশবিশেষ। দাওয়াতি কার্যক্রমে শুধু মুসলিমদের প্রতি আহ্বান নয়, বরং অমুসলিমসহ গোটা মানবজাতির সামনে সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলামের কল্যাণ-মহিমা উপস্থাপন, ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানানোকে বোঝায়। সাধারণত কোরান-সুন্নাহর বাণী সঠিকভাবে জানা থাকলে অপরকে ভালো কাজের প্রতি আহ্বান এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার কথা বলা সম্ভব। তবে দাওয়াত প্রদানকারীর আরো কিছু গুণ থাকা আবশ্যক। এ জন্য ইসলামী জ্ঞানের নানাবিধ শাখায় তার দক্ষতা-যোগ্যতা থাকা দরকার। এ কারণেই আল্লাহ তায়ালা, ‘জ্ঞান অর্জনকে আবশ্যক’ বলে পবিত্র কোরানে ঘোষণা দিয়েছেন। তবে ইসলামের দাওয়াতের নামে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা, উগ্রপন্থা, জবরদস্তি ইসলাম সমর্থন করে না। পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষী, শেষ নবী হজরত মুহম্মদ (সা.) সমাজে মানবতাবোধ সৃষ্টি করে নীতি-আদর্শ প্রচারের মাধ্যমে ইসলাম প্রচার করে গেছেন।