বিনোদন প্রতিবেদন:
পর্দার উপস্থিতির বাইরেও বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে তারকাদের জনপ্রিয়তার অন্যতম মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এক্ষেত্রে ইনস্টাগ্রাম থাকবে ওপরের দিকেই। ফেসবুকের পর ছবিভিত্তিক এ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই যে ভক্তরা প্রিয় তারকার ওপর সবচেয়ে বেশি নজর রাখেন। আর সেখানেই মেহজাবীন চৌধুরী গড়লেন নতুন মাইলফলক।
ফেসবুকে মেহজাবীন চৌধুরীর অনুসারী প্রায় এক কোটির মতো, সংখ্যার বিচারে যা চাট্টিখানি কথা না। অনুসারী সংখ্যার দিক দিয়ে ইনস্টাগ্রামেও সবাইকে পেছনে ফেলেছেন এ অভিনেত্রী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এ প্ল্যাটফর্মটিতে তার অনুসারীর সংখ্যা ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ ছাড়িয়েছে। অনুসারী বিবেচনায় মেহজাবীন বর্তমানে বাংলাদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে।
ইনস্টাগ্রামে অনুসারী সংখ্যা ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ ছাড়ানোয় শুক্রবার (১০ মার্চ) ঘরোয়া আয়োজনে কেক কেটে উদযাপন করেন মেহজাবীন। এ অভিনেত্রীর দাবি, বাংলাদেশের বিনোদন জগতের তারকাদের মধ্যে তো বটেই, অন্য কোনো ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানেরও ইনস্টাগ্রামে এত সংখ্যক অনুসারী নেই।
অনুসারী সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশিদের মধ্যে ইনস্টাগ্রামে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে থাকার দৌড়ে মেহজাবীন চৌধুরীর পরেই আছেন তানজিন তিশা। ইনস্টাগ্রামে এ অভিনেত্রীকে ৪০ লাখ ৭০ হাজার মানুষ অনুসরণ করে থাকেন। তালিকার তৃতীয় অবস্থানটি নুসরাত ফারিয়া। এপার-ওপার দুই বাংলায়ই জনপ্রিয় এ তারকার ইনস্টাগ্রাম অনুসারী ৩০ লাখ ৯০ হাজারেরও বেশি
বাংলাদেশিদের মধ্যে ইনস্টাগ্রামে শীর্ষে পৌঁছানো প্রসঙ্গে মেহজাবীন চৌধুরী এক বার্তায় বলেন, “ইনস্টাগ্রামের একটা অডিয়েন্স আছে, যারা ফেসবুকের চেয়ে খানিকটা আলাদা। রা আমাকে অনুসরণ করে, এটা আমার জন্য ভালো লাগার। ৫০ লাখ ফলোয়ারের মাইলফলক ছুঁয়ে দিলাম, এটা অন্যরকম এক ভালো লাগা। যারা আমাকে অনুসরণ করছেন তাদের আন্তরিক ভালোবাসা জানাই।”
ইনস্টাগ্রাম আইডি প্রসঙ্গে এ অভিনেত্রী বলেন, “আমার এই আইডিটা অনেক আগে খুলেছিলাম, ২০১২ সালে। তখন প্রায় কয়েক বছর এটার প্রাইভেসি প্রাইভেট করে রেখেছিলাম। তা না হলে এতদিনে হয়তো আরও অনেক অনুসারী হতো।” ২০১৭ সালের দিকে আইডির প্রাইভেসি পাবলিক করেন মেহজাবীন। মূলত এরপরই তার অনুসারী সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে।