ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

ইজিবাইক ভাড়ার টাকা না থাকায় স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন : অটোচালক সোহেল রানাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ধর্ষকদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৫৭:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০১৭
  • / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় এক স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। ইজিবাইকের ভাড়া মেটাতে না পারার কারণে চালক তাকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে। পরে একে একে আরও তিনজন ধর্ষণ করে ওই স্কুলছাত্রীকে। গতকাল মঙ্গলবার ওই স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তারপরেই ইজিবাইক চালক সোহেল রানাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে ধর্ষকদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন আলমডাঙ্গা থানার ওসি। জানা গেছে, গত রোববার বেলা ৩টার দিকে আলমডাঙ্গা থেকে ইজিবাইকযোগে চুয়াডাঙ্গায় শহরে আসে ওই স্কুলছাত্রী। সন্ধ্যায় একই ইজিবাইকে করে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে আলমডাঙ্গা ফিরছিলো সে। স্কুলছাত্রীর কাছে ইজিবাইক ভাড়ার টাকা না থাকায় এর সুযোগ নেয় দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের আশাদুল হকের ছেলে ইজিবাইক চালক সোহেল রানা। ভাড়া না পেয়ে সোহেল রানা তার আরেক বন্ধু পাশের বড় পুঁটিমারী গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে ইউসুফকে ডেকে নেয়। তারা উপজেলার মুন্সীগঞ্জ পশুহাট-বেতবাড়ীয়া সড়কের মাঠের ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে রনক ও ছানোয়ার হোসেনের ছেলে মাসুম আলী তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা জানাজানি হলে গ্রামের লোকজন রাতে স্থানীয় মুন্সীগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশকে এ ঘটনা জানায়। কিন্তু পুলিশ বিষয়টি আমলে নেয়নি। কয়েকজনের অনুরোধে স্থানীয় ইউপি মেম্বার হাসিবুল হক তার বাড়িতে রাখেন ধর্ষিতকে। সোমবার সকালে তার পরিবারের কাছে খবর পাঠিয়ে স্কুলছাত্রীকে তুলে দেন ইউপি মেম্বার। ইউপি মেম্বার হাসিবুল হক বলেন, রাতে আমার হেফাজতে থাকা মেয়েটি ধর্ষণের ব্যাপারে দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। অভিযোগ রয়েছে, স্কুলছাত্রীর পরিবার মামলা করতে গেলেও বিভিন্ন মহল থেকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই হাকিম জানান, রাতে একটা ঘটনা শুনেছিলাম। সকালে গিয়ে মেয়েটিকে আর পাইনি। আলমডাঙ্গা থানার ওসি আকরাম হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে মেয়েটির নানী আমিরন নেছা বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গতকাল স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রæত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ইজিবাইক ভাড়ার টাকা না থাকায় স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন : অটোচালক সোহেল রানাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ধর্ষকদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত

আপলোড টাইম : ০৫:৫৭:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় এক স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। ইজিবাইকের ভাড়া মেটাতে না পারার কারণে চালক তাকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে। পরে একে একে আরও তিনজন ধর্ষণ করে ওই স্কুলছাত্রীকে। গতকাল মঙ্গলবার ওই স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তারপরেই ইজিবাইক চালক সোহেল রানাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে ধর্ষকদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন আলমডাঙ্গা থানার ওসি। জানা গেছে, গত রোববার বেলা ৩টার দিকে আলমডাঙ্গা থেকে ইজিবাইকযোগে চুয়াডাঙ্গায় শহরে আসে ওই স্কুলছাত্রী। সন্ধ্যায় একই ইজিবাইকে করে চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে আলমডাঙ্গা ফিরছিলো সে। স্কুলছাত্রীর কাছে ইজিবাইক ভাড়ার টাকা না থাকায় এর সুযোগ নেয় দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের আশাদুল হকের ছেলে ইজিবাইক চালক সোহেল রানা। ভাড়া না পেয়ে সোহেল রানা তার আরেক বন্ধু পাশের বড় পুঁটিমারী গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে ইউসুফকে ডেকে নেয়। তারা উপজেলার মুন্সীগঞ্জ পশুহাট-বেতবাড়ীয়া সড়কের মাঠের ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে রনক ও ছানোয়ার হোসেনের ছেলে মাসুম আলী তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা জানাজানি হলে গ্রামের লোকজন রাতে স্থানীয় মুন্সীগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশকে এ ঘটনা জানায়। কিন্তু পুলিশ বিষয়টি আমলে নেয়নি। কয়েকজনের অনুরোধে স্থানীয় ইউপি মেম্বার হাসিবুল হক তার বাড়িতে রাখেন ধর্ষিতকে। সোমবার সকালে তার পরিবারের কাছে খবর পাঠিয়ে স্কুলছাত্রীকে তুলে দেন ইউপি মেম্বার। ইউপি মেম্বার হাসিবুল হক বলেন, রাতে আমার হেফাজতে থাকা মেয়েটি ধর্ষণের ব্যাপারে দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। অভিযোগ রয়েছে, স্কুলছাত্রীর পরিবার মামলা করতে গেলেও বিভিন্ন মহল থেকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই হাকিম জানান, রাতে একটা ঘটনা শুনেছিলাম। সকালে গিয়ে মেয়েটিকে আর পাইনি। আলমডাঙ্গা থানার ওসি আকরাম হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে মেয়েটির নানী আমিরন নেছা বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গতকাল স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রæত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।