ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর, এসআই প্রত্যাহার

প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। গত সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গত বুধবার রাতে উদ্ধার করা হয়েছে। মারধরে অভিযুক্ত শৈলকুপা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী মাহমুদুল হাসান মামুন উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি পরপর দুই বার নৌকা প্রতীক নিয়ে সারুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুনের প্রতিপক্ষ জুলফিকার কাইসার টিপুর সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। গত সোমবার রাতে মামুনের সমর্থক পুরাতন বাখরবা গ্রামের মিনান নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আহত করেন। তাঁরা ওই রাতেই একই গ্রামের মওলার বাড়িতে হামলা করে বেশ কয়েকজনকে আহত করেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে শৈলকুপা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর চেয়ারম্যান মামুন রাত আনুমানিক ১২টার দিকে আহতদের হাসপাতালে দেখতে যান। এ সময় শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশে তাঁর সঙ্গে থাকা কর্মী ও স্থানীয়দের পুলিশ ধরে গাড়িতে তোলে। চেয়ারম্যান মামুন এগিয়ে যাওয়া মাত্রই এসআই সাখাওয়াত তাঁকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। এ সময় এসআই রফিক, এএসআই রেজওয়ানুলসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা লাথি-ঘুষি মেরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ধাক্কাতে ধাক্কাতে চেয়ারম্যান মামুনকে তাঁদের গাড়িতে তোলেন। পরে তাঁর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ও দুজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পুলিশ গাড়ি থেকে তাঁকে নামিয়ে দেন। বাকিদের থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সারুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ওপর হামলাটা ঝড়ের মতো হয়েছে। নেতা-কর্মীদের পুলিশ নিয়ে যাচ্ছিল, তখন সেখানে যেতেই পুলিশ আমাকে মারধর করল।’