সমীকরণ প্রতিবেদন:
সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিলে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দেবে না, এমন নীতি ঘোষণার পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতাদের সাথে বৈঠক করলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত দেশের তিন প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের ঘোষিত ভিসানীতির কারণ ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। গতকাল দুপুরে গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় পিটার হাসের সাথে তিন দলের নেতাদের প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বৈঠকটি হয়। বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন দলের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ ও কেন্দ্রীয় নেতা মো: এ আরাফাত। বিএনপির পক্ষে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ। আর জাতীয় পার্টির পক্ষে ছিলেন মহাসচিব মুজিবুল হক (চুন্নু) ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব:) রানা মোহাম্মদ সোহেল। বৈঠক শেষে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস তাদের ফেসবুক পেজে পিটার হাসের বার্তা প্রচার করে। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এমন ব্যক্তিদের ভিসা সীমিত করার এই নতুন ভিসানীতি সবার জন্য প্রযোজ্য। এ দিকে বৈঠকের পর বেরিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেননি। তবে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, তারই প্রতিফলন মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা (বস্তুত নতুন ভিসানীতি)। বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে এটি একটা বড় পদক্ষেপ। এ পদক্ষেপকে আমরা স্বাগত জানাই।’ আর জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন ভিসানীতির উদ্দেশ্য বোঝা গেছে, তারা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং নির্বাচনটা যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়। এ ব্যাপারে আমাদের দলও একমত।’