ইপেপার । আজ শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

আল্লাহকে পেতে রাতের আমল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৪৭২১ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: আল্লাহকে ডাকার কোনো ধরাবাধা সময় নেই। তাকে যখন যেখানে ডাকা হবে তাতেই তিনি সাড়া দেন। তবে কিছু কিছু মুহূর্ত এমন আছে যখন আল্লাহকে ডাকলে তিনি সেই ডাকে দ্রুত সাড়া দেন। দিনের তুলনায় রাতের বেলা আল্লাহ বান্দার বেশি কাছাকাছি আসেন। কারণ সারা পৃথিবী যখন ঘুমে বিভোর তখন কোনো বান্দা চুপি চুপি তার দরবারে হাজিরা দিলে তাতে সবচেয়ে বেশি খুশি হন স্রষ্টা। নবীদের থেকে শুরু করে যারাই আল্লাহর প্রিয় হয়েছেন তারা রাতের ইবাদতের মাধ্যমেই হয়েছেন। রাত যত গভীর হয় প্রিয় বান্দাদের সঙ্গে আল্লাহর সম্পর্ক তত গাঢ় হতে থাকে। রাতের প্রধান ইবাদত হলো তাহাজ্জুদের নামাজ। মধ্যরাতের পর এই নামাজ আদায় করতে হয়। এই নামাজ ছাড়াও আয়াতুল কুরসি পাঠের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হাদিসে আছে কেউ রাতে বিছানায় ঘুমাতে যাওয়ার সময় আয়াতুল কুরসি পড়লে আল্লাহ তাকে রাতভর হেফাজত করেন এবং শয়তান তার ধারে-কাছেও আসতে পারে না। বুখারি শরীফের হাদিসে আছে, কেউ রাতে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করলে তা তার জন্য যথেষ্ট হবে। এছাড়া সুরা ইখলাস, কাফিরুন, ফালাক, নাস এসব সুরা পাঠের কথাও হাদিসে উল্লেখ আছে। ওজু অবস্থায় ঘুমাতে যাওয়া একটি বিশেষ ইবাদত। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমরা তোমাদের দেহগুলো পবিত্র রাখবে, আল্লাহ তোমাদের পবিত্র করুন। যদি কোনো বান্দা ওজু অবস্থায় ঘুমান, তবে তার পোশাকের মধ্যে একজন ফেরেশতা শুয়ে থাকেন। রাতে যখনই এ ব্যক্তি নড়াচড়া করে তখনই এ ফেরেশতা বলেন, ‘হে আল্লাহ আপনি এ ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিন, কারণ সে অজু অবস্থায় ঘুমিয়েছে।’ অন্য হাদিসে আছে, কোনো মুসলমান যখন ওজু অবস্থায় ঘুমায়, এরপর রাতে কোনো সময় হঠাৎ তার ঘুম ভেঙে যায় এবং সে ওই অবস্থায় শুয়ে শুয়ে আল্লাহর কাছে তার জাগতিক বা পারলৌকিক কোনো কল্যাণ কামনা করে তবে আল্লাহ তাকে তার প্রার্থিত বস্তু দেবেনই। ইশার নামাজের পর দ্রুত বিছানায় যাওয়ার কথা হাদিসে আছে। কারণ এতে শেষ রাতে ওঠা সহজ হয়। শেষ রাতে ওঠার নিশ্চয়তা না থাকলে ইশার নামাজের পর তাহাজ্জুদের নামাজের নিয়তে কয়েক রাকাত পড়ে নেয়ার কথাও উল্লেখ আছে। আল্লাহকে পেতে হলে রাতের ইবাদতের কোনো বিকল্প নেই।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আল্লাহকে পেতে রাতের আমল

আপলোড টাইম : ১০:১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০১৬

ধর্ম ডেস্ক: আল্লাহকে ডাকার কোনো ধরাবাধা সময় নেই। তাকে যখন যেখানে ডাকা হবে তাতেই তিনি সাড়া দেন। তবে কিছু কিছু মুহূর্ত এমন আছে যখন আল্লাহকে ডাকলে তিনি সেই ডাকে দ্রুত সাড়া দেন। দিনের তুলনায় রাতের বেলা আল্লাহ বান্দার বেশি কাছাকাছি আসেন। কারণ সারা পৃথিবী যখন ঘুমে বিভোর তখন কোনো বান্দা চুপি চুপি তার দরবারে হাজিরা দিলে তাতে সবচেয়ে বেশি খুশি হন স্রষ্টা। নবীদের থেকে শুরু করে যারাই আল্লাহর প্রিয় হয়েছেন তারা রাতের ইবাদতের মাধ্যমেই হয়েছেন। রাত যত গভীর হয় প্রিয় বান্দাদের সঙ্গে আল্লাহর সম্পর্ক তত গাঢ় হতে থাকে। রাতের প্রধান ইবাদত হলো তাহাজ্জুদের নামাজ। মধ্যরাতের পর এই নামাজ আদায় করতে হয়। এই নামাজ ছাড়াও আয়াতুল কুরসি পাঠের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হাদিসে আছে কেউ রাতে বিছানায় ঘুমাতে যাওয়ার সময় আয়াতুল কুরসি পড়লে আল্লাহ তাকে রাতভর হেফাজত করেন এবং শয়তান তার ধারে-কাছেও আসতে পারে না। বুখারি শরীফের হাদিসে আছে, কেউ রাতে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করলে তা তার জন্য যথেষ্ট হবে। এছাড়া সুরা ইখলাস, কাফিরুন, ফালাক, নাস এসব সুরা পাঠের কথাও হাদিসে উল্লেখ আছে। ওজু অবস্থায় ঘুমাতে যাওয়া একটি বিশেষ ইবাদত। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমরা তোমাদের দেহগুলো পবিত্র রাখবে, আল্লাহ তোমাদের পবিত্র করুন। যদি কোনো বান্দা ওজু অবস্থায় ঘুমান, তবে তার পোশাকের মধ্যে একজন ফেরেশতা শুয়ে থাকেন। রাতে যখনই এ ব্যক্তি নড়াচড়া করে তখনই এ ফেরেশতা বলেন, ‘হে আল্লাহ আপনি এ ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিন, কারণ সে অজু অবস্থায় ঘুমিয়েছে।’ অন্য হাদিসে আছে, কোনো মুসলমান যখন ওজু অবস্থায় ঘুমায়, এরপর রাতে কোনো সময় হঠাৎ তার ঘুম ভেঙে যায় এবং সে ওই অবস্থায় শুয়ে শুয়ে আল্লাহর কাছে তার জাগতিক বা পারলৌকিক কোনো কল্যাণ কামনা করে তবে আল্লাহ তাকে তার প্রার্থিত বস্তু দেবেনই। ইশার নামাজের পর দ্রুত বিছানায় যাওয়ার কথা হাদিসে আছে। কারণ এতে শেষ রাতে ওঠা সহজ হয়। শেষ রাতে ওঠার নিশ্চয়তা না থাকলে ইশার নামাজের পর তাহাজ্জুদের নামাজের নিয়তে কয়েক রাকাত পড়ে নেয়ার কথাও উল্লেখ আছে। আল্লাহকে পেতে হলে রাতের ইবাদতের কোনো বিকল্প নেই।