আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সচিব সোহেলের রিরুদ্ধে দরিদ্র ভ্যান চালককে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ
- আপলোড টাইম : ১২:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০১৬
- / ৪১২ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: আলমডাঙ্গা মুন্সিগঞ্জের ধোনাইগঞ্জের মাঠে আখক্ষেতে গরু প্রবেশকে কেন্দ্র করে ভ্যানচালক হৈদারপুর গ্রামের ওহিদুলের সাথে আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সচিব সোহেল আহম্মেদের বচসার জের ধরে আলমডাঙ্গা থানায় সোহেলের দায়ের করা মামলায় ওহিদুলকে গ্রেফতারে হৈদারপুরসহ মুন্সিগঞ্জবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিব সোহেল আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ দরিদ্র ভ্যান চালক ওহিদুলকে আটক করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ওহিদুলের পরিবারের সদস্যসহ মুন্সিগঞ্জবাসী অভিযোগ করে বলেন সোহেল একজন নিরীহ মানুষকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে ক্ষমতার বড়াই করেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের হৈদারপুর গ্রামের মৃত বাসের মন্ডলের ছেলে ওহিদুল(৪৫) গতকাল সকালে ধোনাইগঞ্জ মাঠে গরু চরাতে যায়। এ সময় গরু একটি আখক্ষেতে ঢুকে পড়লে আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সচিব মুন্সিগঞ্জ হৈদারপুরের আব্দুলের ছেলে সোহেল আহম্মেদ তাকে গালমন্দ করে। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে সোহেল ক্ষমতার জোরে আলমডাঙ্গা থানায় মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করলে আলমডাঙ্গা পুলিশ ওহিদুলকে আটক করে সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে সোপর্দ করে। এ নিয়ে হৈদারপুর গ্রামবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ওহিদুলের ছেলে সুলতান অভিযোগ করে জানায়, মারামারির কোন ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু সোহেল ক্ষমতার জোরে থানায় মিথ্যা মামলা করে আমার বাপকে ধরিয়ে দিয়েছে। সে বিভিন্ন সময় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সাধারন মানুষকে হয়রানি করে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর হীরালাল বলেন ওহিদুল একজন দরিদ্র ভ্যানচালক। তাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারে মুন্সিগঞ্জবাসী হতবাক হয়েছে। এব্যাপারে আজ এলাকাবাসী গনস্বাক্ষর ও মানববন্ধন করবে। জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকন বলেন, সোহেল ক্ষমতার দাপটে একজন নিরীহ দরিদ্র ভ্যানচালককে মিথ্যা মামলা দিয়ে ধরিয়ে যে অন্যায় করেছে সেটা খুবই ন্যাক্কারজনক। এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় সোহেলের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ হাসপাতাল মোড়ে কয়েকটি গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে প্রতিবাদও করেছেন। আমিও এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এব্যাপারে জানতে চাইলে আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বলেন ঘটনা শুনেছি, ওহিদুল নাকি সোহেলের পিতাকে দা দিয়ে কাটতে গেছে। সেই কারনে সে মামলা করেছে। ঘটনার সম্পর্কে অভিযুক্ত সোহেলের বক্তব্য নিতে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।