আলমডাঙ্গায় স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ ও সরকারি কাজে বাধা প্রধান করায় কয়েকজনকে জরিমানা

আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করে রাস্তায় মাস্কবিহীন চলাচল করায় বেশ কয়েকজনকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় সরকারি কাজে বাধা প্রদানের দায়ে মাছ বাজারের একজনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা পৌর শহরে লোকজন মাস্ক না পরে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করে রান্তায় চলাচল করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. লিটন আলীর নের্তৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। দুপুরের দিকে আলিফ উদ্দিন মোড়ে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত মাস্কবিহিন চলাচল করায় শাকিবকে ১ হাজার, একই অপরাধে লাল্টুকে ১ হাজার, বাবুলকে ১ হাজার, বাপ্পিকে ২ শ, আজিজুলকে ৩ শ, রাশিদুলকে ২ শ, জামাল উদ্দিনকে ৭ শ, মেহেরুলকে ৬ শ, আশাবুলকে ৫ শ, শামিমকে ৫ শ ও আলামিনকে ১ শ টাকা জরিমানা করা হয়। এদিকে, ভ্রাম্যমান আদালতের টিম মাছ বাজারে গেলে মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদের ছেলে লেলিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমে বাধা প্রদান করেন। এ সময় পুলিশ লেলিনকে আটক করে। পরে স্থানীয় লোকজনের সুপারিশের কারণে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম ওই স্থান থেকে চলে যাওয়ার পর আব্দুল মজিদের লোকজন পার্শ্ববর্তী আমিরুল ইসলাম মণ্টু চেয়ারম্যানের ওপর চড়াও হয়। মণ্টু চেয়ারম্যান ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁকে হয়রানি করছে অভিযোগ তুলে তাঁর ওপর হামলা চালান। এ সময় হারুন নামের একজনের মাথা ফাটিয়ে দেন তাঁরা। এ ঘটনার পর মণ্টু চেয়ারম্যান বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে নির্বাহী কর্মকর্তার নের্তৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত আবার ঘটনাস্থলে গিয়ে লেলিনকে আটক করে। সরকারি কাজে বাধা প্রদানের দায়ে তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে সহযোগিতা করে একদল পুলিশ ফোর্স।