আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গায় স্ত্রীর দায়েরকৃত মামলায় তৌফিক এলাহী নামের এক সেনা সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। ছুটি শেষে চাকরিতে যোগ না দিয়ে ওই সেনা সদস্য ২য় বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে অন্যত্র বসবাস করাকালে ১ম স্ত্রীর দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ তাঁকে আটক করে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার হারদীর দাসপাড়ার লাল মোহাম্মদের মেয়ে সুলতানা খাতুনকে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার শুকচা গ্রামের ইব্রাহীম মণ্ডলের ছেলে তৌফিক এলাহী ৭-৮ বছর আগে বিয়ে করেন। সেনাবাহিনীর চাকরিতে টাকা লাগবে তাই বিয়ের আগেই মেয়ের বাপের কাছ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা অগ্রিম যৌতুক হিসেবে গ্রহণ করেন তৌফিক এলাহী। পরে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ শেষে বিয়ে করেন। তাঁদের সংসারে রয়েছে ৪ বছরের এক ছেলে। প্রায় ৩ মাস আগে তৌফিক এলাহী ছুটিতে বাড়ি আসেন। ছুটি শেষে যথারীতি চাকরিস্থলে যোগ না দিয়ে তিনি খুলনার শিরোমনির যগিপুল গ্রামের আজাদ হোসেনের মেয়ে আঁখি মনিকে বিয়ে করে ঢাকা সাভারে অজ্ঞাতবাস শুরু করেন। তাঁর কোনো হদিস না পেয়ে ১ম স্ত্রী বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তৌফিক এলাহীর ২য় বিয়ের কথা জানাজানি হয়ে যায়। এ সময় ১ম স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গত রোববার রাতে তৌফিক এলাহীকে ঢাকা থেকে আটক করে আলমডাঙ্গা থানায় নিয়ে আসে।
গতকাল থানায় বসে ১ম স্ত্রীপক্ষ ও তৌফিক এলাহীর অভিভাবকপক্ষ সালিশ মীমাংসা করে শর্তসাপেক্ষে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। শর্তগুলো হলো- তৌফিক এলাহী ২য় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে ১ম স্ত্রীর সাথেই সংসার করবেন। ২য় স্ত্রীকে তালাক না দিয়ে যদি তার সাথে যোগাযোগ রাখেন, তাহলে তৌফিক এলাহীর অভিভাবকরা সে জন্য দায়ী থাকবেন।
