আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ঝন্টুকে মারধর, রেজিস্ট্রার খাতা ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে মর্মে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। দলিল লেখক রবিউল হক ঝন্টু বাদি হয়ে গতকাল সোমবার রাতে থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত এই অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে এই অভিযোগকে ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সোনাহার মণ্ডল।
লিখিত অভিযোগে দলিল লেখক রবিউল হক ঝন্টু উল্লেখ করেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে আলমডাঙ্গার নওদা-বণ্ডবিল গ্রামের মৃত ইছাহক আলীর ছেলে সোনাহার মন্ডল, আমজেত আলীর ছেলে জাহাদুল ইসলাম, রাজু, ডিটু, হিটু, রায়হানসহ বেশ কয়েকজন বিভিন্ন সময়ে আমার কাছে টাকা দাবি করে আসছে। টাকা না দেওয়ায় সোমবার বিকেলে রেজিস্ট্রি অফিসের টিনসেডে সমিতির কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় তারা আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে এবং আমাকে মারধর করে। একই সময় তারা চেয়ার টেবিল ভাঙ্চুর করে এবং দলিল লেখক কল্যাণ সমিতির রেজিস্ট্রারপত্র ও ক্যাশ-বাক্স থেকে দলিল রেজিস্ট্রি কাজে ব্যবহৃত কাগজপত্রসহ নগদ ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়।’
এদিকে এ অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সোনাহার মণ্ডল বলেন, ‘থানায় লিখিত অভিযোগে বাদী যে সময়ের কথা উল্লেখ করেছেন, ওই সময়ে আমিসহ অভিযোগে উল্লেখিত সকল ব্যক্তিরা সদ্য নির্বাচিত জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের সংবর্ধনা সভায় চুয়াডাঙ্গাতে অবস্থান করছিলাম।’ প্রকৃতপক্ষে সত্য ঘটনা হচ্ছে, ‘আলমডাঙ্গায় দলিল লেখক সমিতির কিছু লোক জমি ক্রয়-বিক্রয়কারীদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে আসছেন। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ অবৈধ কাজের প্রতিবাদ করে আসছি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের ফাঁসানোর জন্য থানায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ করেছেন।’
প্রধান সম্পাদক : নাজমুল হক স্বপন, সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. শরীফুজ্জামান। পুলিশ পার্ক লেন, কোর্ট রোড চুয়াডাঙ্গা থেকে কম্পোজ করে হুছাইন প্রিন্টিং প্রেস বড় বাজার থেকে প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত। বার্তা সম্পাদক : ০১৭০৫৪০১৪৬৪, বার্তা বিভাগ: +৮৮০২৪৭৭৭৮৭৫৫৬, ০১৭০৫৪০১৪৭৪, অনলাইন বিভাগ: ০১৭০৫৪০১৪৬৩, বিজ্ঞাপন বিভাগ : ০১৭০৫৪০১৪৬৬, সার্কুলেশন বিভাগ : ০১৭০৫৪০১৪৬৭ প্রধান অফিস: পুলিশ পার্ক লেন, চুয়াডাঙ্গা, ঢাকা অফিস: ১৬৭/৭, ফ্লোর- ৩, ফকিরাপুল, ঢাকা।
© কপিরাইট - ২০২২ | দৈনিক সময়ের সমীকরণ কর্তৃক সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত