
আলমডাঙ্গা অফিস: গতকাল চুয়াডাঙ্গা জেলাপ্রশাসক সায়মা ইউনুছ প্রধান অতিথি হিসেবে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতি গ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যেগে এই ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আঞ্জুমান আরা, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহান, আলমডাঙ্গা প্রকল্প অফিসের অফিস সহকারি বদর উদ্দিন, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যগণসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহান এই প্রতিবেদক কেজানান, হাপানিয়া গ্রামে ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেকটি পরিবার কেচাউল এবং নগদ টাকা চুয়াডাঙ্গা জেলাপ্রশাসনেরপক্ষ থেকে প্রদান করা হয়েছে। জানা যায়, গত ০৩ আগষ্ট ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহান ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চল পরিদর্শন করেছিলেন। এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলাত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা এবং আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ণ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রায় ৩০টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করেন। এরমধ্যে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকটি পরিবারসহ সকলক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকেসহ যোগীতার আশ্বাস দেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারে সাথে এই প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি এলাকা সেরে জমিন পরিদর্শন করেছেন বলে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ০২ আগষ্ট আলমডাঙ্গা হাপানিয়া গ্রামে ঘুর্ণিঝড়ে ৪০ থেকে ৫০ টিকাটা আধা-পাকাবাড়ির টিনেরচাল উড়ে লন্ড ভন্ড হয়ে যায়। মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে ঘুর্ণিঝড়ের ঘটনা ঘটে। ঘুর্ণি ঝড়ে বাড়িছাড়া ও শতশত গাছ, গাছের ডালপাল, পানের বরজ, পাটগাছ, ঝালের জমি, বাশের ঝাড় উল্টে যায়। ঘুর্ণি ঝড়ের ঝাপটায় অসহায় হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষ। ঝড়ের পর পরই চিৎলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান এলাকার মানুষের পাশে গিয়ে দাড়ান এবং তাদের সাহায্যের জন্য উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ঘুণি ঝড়ের সময়বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আকলিমা খাতুন ও মেয়ের জনীখাতুন গুরুতর আহত হয়। চিৎলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে সংবাদ পেয়ে গতকাল আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহান ও জেলাত্রাণ ও পুর্ণবাসন কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন।