আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গা পৌর শহরের রাধিকাগঞ্জে মানসিক বিপর্যস্ত এক নারীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নিজ ঘরের আড়াই ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে। নিহত শেফালি খাতুন আলমডাঙ্গার পোলতাডাঙ্গা গ্রামের মৃত রমজান আলীর মেয়ে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার পোলতাডাঙ্গা গ্রামের মৃত রমজান আলীর কন্যা শেফালি খাতুনের সঙ্গে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পাগলা গ্রামের প্রবাসী আসাদুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর একটি কন্যাসন্তান হয়। এদিকে আসাদুর রহমান স্ত্রী-কন্যাসন্তান থাকার পরও একের পর এক বিয়ে করায় শেফালি খাতুনের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হয়। গত চার মাস আগে তাদের কন্যার বিয়ে হয় নারায়ণগঞ্জে। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে মনোমালিন্য হলে কন্যাও মায়ের বাড়িতে চলে আসে। এসব নিয়ে শেফালি খাতুন অশান্তিতে ছিলেন।
পরিবারের সদস্যরা বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে দুশ্চিন্তায় শেফালি খাতুন গতকাল বুধবার বিকেলে তার কন্যা প্রাইভেট পড়াতে গেলে ফাঁকা বাড়িতে দরজা বন্ধ করে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন। পরে তার মেয়ে বাড়িতে এসে মাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে জানালা দিয়ে তাকালে ঘরের মধ্যে নিজের মাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে দড়ি থেকে নামিয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে শেফালিকে মৃত ঘোষণা করেন।