আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অসহায়, দুঃস্থ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে, ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণ ও আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা চত্বরে এই বিতরণ অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় আয়োজন করা হয়। আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রনি আলম নুরের সভাপতিত্বে বিতরণ অরুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার যে ওয়াদা করে তা পালন করে দেখায়। সরকার বলেছিল ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে স্বল্পন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিনত করবে, তা করেছে। পদ্মা সেতু তৈরির কথা বলেছিলেন, মেট্রোরেল চালু করার কথা বলেছিলেন, আজ বাংলাদেরশের মানুষ পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলের সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। কর্নফুলি ট্যানেল করেছে, একযোগে ১শত সেতুর উদ্বোধন করেছে। বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার। এই দল ক্ষমতায় আসলে জনগনের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। আওয়ামী লীগ তথা জননেন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা দিলে কথা রাখে। সরকারের উন্নয়ন দেখে একশ্রেণির রাজনীতিবিদরা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে চলেছে। এসব অগ্নিসন্ত্রাসিদের জনগন প্রত্যাখান করেছে, ক’দিন মনে হলো এরা ক্ষমতায় চলে গেছে, পুলিশ পেটাচ্ছে, গোপনে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মিদের হত্যা করার পরিকল্পনা করছে। আমি সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালি করতে আওয়ামীলীগের পতকাতলে থাকার জন্য আহ্বান করছি।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আইয়ুব হোসেন, আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র আলহাজ্ব হাসান কাদির গনু, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহম্মেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু। কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামিম রেজার উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলহাজ্ব মো. মিজানুর রহমান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা এনামুল হক, সাবেক জেলা বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সহিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছা, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, ইউপি চেয়ারম্যান মোজাহিদুর রহমান লোটাস প্রমুখ।
বিতরণ অনুষ্ঠানে গরীব অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ৯০ বান ঢেউটিন এবং প্রত্যেক কে ৩ হাজার টাকা করে মোট ২লক্ষ ৭০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে শীত নিবারণে প্রত্যেককে একটি করে কম্বল প্রদান করা হয়েছে।
