আলমডাঙ্গার পৃথকস্থানে বজ্রপাত : পাওয়ারট্রিলার চালক নিহত
- আপলোড টাইম : ১০:৩৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুলাই ২০১৮
- / ৪০০ বার পড়া হয়েছে
বজ্রপাতের সময় করণীয় সম্পর্কে চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকের পরামর্শ
ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আফজালুল হক: আলমডাঙ্গা উপজেলায় পৃথকস্থানে বজ্রপাতে চুনু মন্ডল নামের (৩৫) নামের পাওয়ারট্রিলার চালক নিহত ও ওমর ফারুক নামের (২২) এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছে। আহত ওমর ফারুককে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে চুনু মন্ডলকে হাসপাতালে নেয়ার পথিমধ্যে মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত ওমর ফারুক আলমডাঙ্গা উপজেলার বড়-গাংনী ইউনিয়নের শালিকা গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টার ৃদিকে এলাকার বাবলাতলির মাঠে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গতকাল বিকালে নিজ পানের বরজে কাজ করার সময় বজ্রপাতে আহত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ওমর ফারুক৷ পরে আশেপাশে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল দুপুরে বৃষ্টির মাঝে বাবলাতলির মাঠে নিজ পাওয়ার ট্রিলার নিয়ে চাষাবাদ করছিল। এ সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে মাঠে থাকা চাষিরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথিমধ্যে চুনু মন্ডলের মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঝুঁকি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত ৮ বছরে দুই হাজারের কাছাকাছি প্রাণ ঝরে গেছে প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে। বিশেষ করে হাওর এলাকায় মৃত্যুর হার বেশি। বজ্রপাত ঠেকাতে সরকার সারাদেশে তাল গাছ রোপণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ ছাড়া কীভাবে এ দুর্যোগ মোকাবিলা করা যায় সে লক্ষ্যে বিদেশে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একটি প্রকল্প প্রণয়নের কাজ করে যাচ্ছে সরকার। তবে বিশেষজ্ঞরা মানুষের সচেতনতার ওপরই জোর দিয়েছেন সবচেয়ে বেশি।
বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে চুয়াডাঙ্গা ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের পরামর্শ: খোলা বা উঁচু স্থান থেকে দূরে থাকা। ঘন ঘন বজ্রপাত হতে থাকলে কোনো অবস্থাতেই খোলা মাঠ বা উঁচু স্থানে থাকা যাবে না। পাকা দালানের নিচে আশ্রয় নেয়াই সুরক্ষার কাজ হবে।
*উচু গাছপালা ও বিদ্যুৎ লাইন থেকে দূরে থাকা। কোথাও বজ্রপাত হলে উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই এসব স্থানে আশ্রয় নেয়া যাবে না। যেমন- খোলা স্থানে বিচ্ছিন্ন একটি যাত্রী ছাউনি, তালগাছ বা বড় গাছ ইত্যাদি। *জানালা থেকে দূরে থাকা। বজ্রপাতের সময় ঘরের জানালার কাছাকাছি থাকা যাবে না। জানালা বন্ধ রেখে ঘরের ভেতর থাকতে হবে। *ধাতব বস্তু স্পর্শ না করা। বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করা যাবে না। এমনকি ল্যান্ড লাইন টেলিফোনও স্পর্শ করা যাবে না।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, বজ্রপাতে আহত কাউকে বৈদ্যুতিক শকে আহতদের মতোই চিকিৎসা করতে হবে। দ্রুত চিকিৎসককে ডাকতে হবে কিংবা হাসপাতালে নিতে হবে। একই সঙ্গে আহত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃৎস্পন্দন ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।