প্রতিবেদক, মুন্সীগঞ্জ:
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় শাহীনের বিরুদ্ধে স্ত্রী হিরাকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার দুপুর তিনটার দিকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা হিরাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত হিরা চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার রামনগর গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে।
জানা যায়, পাঁচ বছর পূর্বে আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের জোড়গাছা গ্রামের খবির উদ্দিনের ছেলে শাহিন (২৫)-এর সাথে হিরা (২১)-এর বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পরেই তাঁদের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এদিকে, বেশ কিছুদিন ধরে শাহিন অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ ঘটনা স্ত্রী হিরা জেনে গেলে শুরু হয় পারিবারিক কলহ। এরপর থেকে দুজনের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। এরই জের ধরে গতকাল দুপুর ২টার দিকে হিরা ও শাহীনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে শাহিন একটি বাঁশ দিয়ে হিরাকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। হিরা ঘটনাস্থলে অচেতন হয়ে পড়ে ও তাঁর নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে দেখে শাহিন পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় হিরাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। এ সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হিরাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে হিরার লাশ নিয়ে শাহীন হাসপাতাল ত্যাগ করে। স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ জানালে পুলিশ গতকালই নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানাতে নেয়।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) স্বপন কুমার দাস বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। আগামীকাল (আজ সোমবার) মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হবে।’