আলমডাঙ্গায় শ্যালকের স্ত্রী ধর্ষণ মামলায় গ্রাম পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

আলমডাঙ্গা অফিস:

আলমডাঙ্গায় শ্যালকের স্ত্রী ধর্ষণ মামলায় আব্দুল জলিল মোল্লা নামের এক গ্রাম পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে ধর্ষণের শিকার এক সন্তানের জননীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আব্দুল জলিল মোল্লা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের প্রাগপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি হারদী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মাহমুদা সুলতানা লাভলীর (৩৫) সঙ্গে ১৬ বছর আগে হাটবোয়ালিয়া বাজারের সুমনের বিয়ে হয়। সুমন স্ত্রী ও এক সন্তান রেখে ৮ বছর আগে মালয়েশিয়া যায়। সুমন মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর লাভলীর সঙ্গে পরিচয় হয় পার্শ্ববর্তী মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার আমতৈল গ্রামের জাফর আলীর। ৬ মাস আগে সুমনকে তালাক দিয়ে জাফরকে বিয়ে করেন লাভলী। এদিকে জাফরের ভগ্নিপতি আব্দুল জলিল মাঝে মধ্যে তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। এসময় লাভলীকে কুপ্রস্তাব দিতেন। গত বুধবার আব্দুল জলিল লাভলীর বাড়িতে আসেন। এসময় লাভলী বাড়িতে একা ছিল। এই সুযোগে আব্দুল জলিল তাকে জোর করে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় লাভলী বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পুলিশ পরদিন সকালেই আব্দুল জলিলকে গ্রেপ্তার করে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের স্বীকার ওই নারী ২৯ মার্চ রাতে আলমডাঙ্গা থানায় উপস্থিত হয়ে বিষয়টি জানান। রাতেই মামলা করলে আসামিকে ধরতে অভিযান শুরু করা হয়। সকালে আসমিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।