সমীকরণ প্রতিবেদন: কয়েকদিনের ব্যবধানে আবারও কাঁচা মরিচের বাজার মূল্য ঊর্ধ্বগতি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গাংনী পৌর শহরের কাঁচা মরিচের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ কেজিতে ১ শ টাকা মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান বাজারে ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায় মরিচ বিক্রয় হচ্ছে। ১ সপ্তাহ আগে বাজারে মরিচের মূল্য ছিল মাত্র ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।
গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামের মরিচ চাষী রফিকুল ইসলাম জানান, গত সপ্তাহে বাজারে ৭৫ টাকায় মরিচ বিক্রয় করেছিলাম। বাজারে মরিচ আমদানি কম হওয়ায় বর্তমান মরিচের কেজিতে ১ শ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ আমি ৪০ কেজি মরিচ বাজারে নিয়ে গেলে ১৭০ টাকা দরে বিক্রয় করলাম। হঠাৎ মরিচের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকটা আলোর মুখ দেখেছেন মরিচ চাষীরা। তিনি আরও বলেন, যদি বাজারে মরিচের দাম না কমে, তাহলে বিঘা প্রতি জমিতে প্রায় ৩ লাখ টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারবেন। তুলনামূলকভাবে আমদানি কম হওয়ায় বাজার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে এবং হিমসিম খেতে হচ্ছে মরিচ ক্রয় করতে।
গত কয়েকদিন ধরে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া, নওপাড়া, তেঁতুলবাড়িয়া, করমদী, সহড়াতলা, সাহেবনগর, কাজিপুরসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে মরিচ ক্রয়ের দৃশ্য চোখে মেলে। জেলায় প্রায় প্রতিটি গ্রামেই ব্যবসায়ীরা মরিচ ক্রয় করছেন এবং ট্রাকভর্তি করে পাঠাচ্ছেন ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে। মেহেরপুর জেলায় ব্যাপকভাবে কাঁচা মরিচের উৎপাদন হওয়ায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে পাঠাচ্ছে। যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া পর্যন্ত রপ্তানি করা হচ্ছে। তবে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কিছু কিছু মরিচ খেতে পচন ধরা শুরু করেছে বলেও জানান মরিচ চাষীরা।
গাংনী পৌর শহরের মরিচ ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম জানান, কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে মরিচ খেত নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বাজারে মরিচের আমদানি কম হচ্ছে। বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গাংনী কাঁচা বাজারে ১৮০ টাকা দরে মরিচ ক্রয় করেছেন। তিনি আরও বলেন, ১ সপ্তাহ আগে ৭০ থেকে ৮০ টাকা বাজার ছিল। বর্তমান বাজারে মরিচের চাহিদা অনেক থাকায় প্রতিদিন মরিচের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন জানান, ১৫ দিন আগে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কিছু কিছু মরিচ খেত পচন ধরে জমিতে নষ্ট হয়ে গেছে। যার কারণে বাজারে মরিচের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে মরিচ ধরছে, কম ফুল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে বাজারে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।