ইপেপার । আজ রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে শুকিয়ে গেছে খাল বিল নদী নালা চরম খাদ্য সংকটে পড়েছে বক মাছরাঙ্গা কুনোবক পাইনকৌড়ি হাঁসপাখিরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:১৪:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ১১৬৮ বার পড়া হয়েছে

DDDD

ওয়াসিম রয়েল: আবহওয়া পরিবর্তনের ফলে এবং খাল বিল নদী নালা শুকিয়ে যাওয়ায় দামুড়হুদা উপজেলায় বক, মাছরাঙ্গা, কুনো বক, পাইন কৌওড়ি, হাঁস পাখিসহ পানিতে চারণ ও মাছ খেয়ে আহার করা সব ধরণের পাখির চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে এবং বক ও পাখিরা যেখানেই পানি দেখছে সেখানেই খাবার সন্ধানে ছুটে বেড়াচ্ছে। গতকাল দর্শনা লোকনাথপুর বটজল বিলে এমনী একটি দৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। যেখানে এক সময় সারা বছর পানি থাকতো সেখানে এখন সারা বছর কোন কোন চাষ হচ্ছে। লোকনাথপুর গ্রামের সাবদার আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৫২) ধান লাগানোর জন্য তার জমিতে সেচ দিচ্ছিল। এসময় এক ঝাঁক প্রায় শতাধিক বক এসে তার জমিতে বসে পোকা মাকড় খেয়ে আহার নিবারণ করতে দেখা যায়। মাছের আভাবে বককুল এখন বাচাঁর তাগিদে পোকা ধরে খেয়ে খাচ্ছে। জমিতে পানি দেওয়ার ফলে মাটির ভিতরে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির পোকা-মাকড় পানির উপরে ভেসে উঠছে আর বককুল সেই পোকা খেয়ে তাদের জীবন রক্ষা করছে। আগের দিনে যেমন খালে বিলে অসংখ্য প্রজাতির পাখি দেখা যেত এখন খালে বিলে পানি না থাকায় অনেকাংশে তা কমে গেছে। এসব পানিতে বিচরণ করা পাখি আর খুব একটা চোখে পড়ে না। একদিকে মানুষ যেমন প্রকৃতিকে ধ্বংস করছে। অপর দিকে প্রাকৃতিক বির্পযয় ঘটছে। ফলে খাল, বিল নদী, নালা শুকিয়ে দিন দিন মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা যদি এগিয়ে আসে তবে প্রাকৃতিক বির্পযয় অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব হতে পারে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে শুকিয়ে গেছে খাল বিল নদী নালা চরম খাদ্য সংকটে পড়েছে বক মাছরাঙ্গা কুনোবক পাইনকৌড়ি হাঁসপাখিরা

আপলোড টাইম : ০২:১৪:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৭

DDDD

ওয়াসিম রয়েল: আবহওয়া পরিবর্তনের ফলে এবং খাল বিল নদী নালা শুকিয়ে যাওয়ায় দামুড়হুদা উপজেলায় বক, মাছরাঙ্গা, কুনো বক, পাইন কৌওড়ি, হাঁস পাখিসহ পানিতে চারণ ও মাছ খেয়ে আহার করা সব ধরণের পাখির চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে এবং বক ও পাখিরা যেখানেই পানি দেখছে সেখানেই খাবার সন্ধানে ছুটে বেড়াচ্ছে। গতকাল দর্শনা লোকনাথপুর বটজল বিলে এমনী একটি দৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। যেখানে এক সময় সারা বছর পানি থাকতো সেখানে এখন সারা বছর কোন কোন চাষ হচ্ছে। লোকনাথপুর গ্রামের সাবদার আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৫২) ধান লাগানোর জন্য তার জমিতে সেচ দিচ্ছিল। এসময় এক ঝাঁক প্রায় শতাধিক বক এসে তার জমিতে বসে পোকা মাকড় খেয়ে আহার নিবারণ করতে দেখা যায়। মাছের আভাবে বককুল এখন বাচাঁর তাগিদে পোকা ধরে খেয়ে খাচ্ছে। জমিতে পানি দেওয়ার ফলে মাটির ভিতরে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির পোকা-মাকড় পানির উপরে ভেসে উঠছে আর বককুল সেই পোকা খেয়ে তাদের জীবন রক্ষা করছে। আগের দিনে যেমন খালে বিলে অসংখ্য প্রজাতির পাখি দেখা যেত এখন খালে বিলে পানি না থাকায় অনেকাংশে তা কমে গেছে। এসব পানিতে বিচরণ করা পাখি আর খুব একটা চোখে পড়ে না। একদিকে মানুষ যেমন প্রকৃতিকে ধ্বংস করছে। অপর দিকে প্রাকৃতিক বির্পযয় ঘটছে। ফলে খাল, বিল নদী, নালা শুকিয়ে দিন দিন মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা যদি এগিয়ে আসে তবে প্রাকৃতিক বির্পযয় অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব হতে পারে।