
সমীকরণ প্রতিবেদন:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ কথা দিলে সেই কথা রাখে। আমরা সেই কথা রেখেছি। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করছে। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। কাজেই আন্দোলন সংগ্রাম করে কেউ কিছু করতে পারবে না। গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জে পাতাল মেট্রোরেল নির্মাণকাজের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন শেষে সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের প্রথম পাতালরেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইলফলক স্থাপিত হলো। নতুন যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশ। দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি কেউ রুখতে পারবে না। নির্বাচনী ইশতেহারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিলে তা একে একে রক্ষা করি। ২০০৮ সালে প্রতিশ্রুতি ছিল, ২০২১ সালের মধ্যে রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন করব, সেটা আমরা বাস্তবায়ন করেছি। আর ২০১৮ সালের ইশতেহারে ছিল ঢাকা শহরের যানজট নিরসনের জন্য আমরা মেট্রোরেল নির্মাণ করব। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা আস্থা রাখতে পারেন (আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা) যে, জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। কারণ, আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। কাজেই জনগণ যতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন-সংগ্রাম করে কেউ কিছু করতে পারবে না। ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি নয়, জনগণের ভাগ্য তৈরি করতে এসেছি।
দুর্নীতি প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, দুর্নীতির প্রশ্নই ওঠে না। তিনি আরও বলেন, করোনার সময় বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়েছি। কোনো ধনী দেশ বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিতে পারেনি। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা করেছে বাংলাদেশ। আমাদের কেউ থামাতে পারবে না। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন দেশের মানুষের উন্নতি হয় জানিয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা সারা বাংলাদেশে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছি। আমরা মানুষের জন্য কাজ করেছি বলেই আজ তারা আমাদের ভোট দিচ্ছে। আমাদের কাজের মধ্য দিয়ে আমরা জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস পাচ্ছি। তাই জনগণের মন জয় করেই আমরা ভোট পাচ্ছি। দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সাহস ও সহযোগিতা নিয়ে পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। এ পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র ছিল। আমাদের ওপর দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। আমরা জনগণের সেবা করতে এসেছি, জনগণের সেবক। আমরা জনগণের ভাগ্য তৈরি করতে এসেছি; তাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে আসিনি। আমরা জনগণকে দিতে এসেছি, তাই এখানে দুর্নীতির প্রশ্ন আসে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সেটা সম্ভব হয়েছে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকায়। এ কারণে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছে। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ। এ ছাড়াও ২১০০ সাল পর্যন্ত আমরা ডেলটা প্ল্যান করে দিয়েছি, যেন এই বদ্বীপ জলবায়ুর অভিঘাত থেকে রক্ষা পায়। এভাবেই বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। এ অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি আর কেউ থামাতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছুক্ষণ আগে আমরা পাতালরেলের কাজের উদ্বোধন করলাম। এর আগে উড়াল মেট্রোরেল উপহার দিয়েছি। সেটা ওপর দিয়ে যাচ্ছে, এবার মাটির নিচ দিয়ে পাতালরেল যাবে। মেট্রোরেল নির্মাণের সবচেয়ে বড় দিক হলো এটায় পরিবেশ দূষিত হবে না। বিদ্যুতে চলবে। এটা পরিবেশবান্ধব। শব্দদূষণ থাকবে না।