আলমডাঙ্গা অফিস:
৫২ দিন পর অপহরণ মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে এসে আটক হল আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ার আলোচিত প্রেমিকজুটি ঐশি-আসিফ। পরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে প্রেমিকাকে বিজ্ঞ আদালত তার মা-বাবার জিম্মায় সোপর্দ করেন এবং প্রেমিক বাপ্পীকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
জানা যায়, আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ার মেয়ে এ বছর এসএসসি পাশ করেছে। মেয়েটির প্রাইভেট শিক্ষক ছিলেন সামনের বাড়ির অনার্স পড়ুয়া মেধাবী ছাত্র আসিফ মাহমুদ (২১)। প্রাইভেট পড়ানোর একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এসএসসি পরীক্ষার পর তারা চুয়াডাঙ্গায় এসে গোপনে বিয়ে করে। মেয়ের পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নেবে না এ ভয়ে তারা গত ৩০ জুন এ জুটি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ১০ জুলাই মেয়েটির মা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলায় প্রেমিক, প্রেমিকের বড় ভাই আইটি ইঞ্জিনিয়ার, মা-বাবা ও মামা-মামীকে আসামি করা হয়। মামলার পর পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধারে মাঠে নামে। একপর্যায়ে মামলার তৎকালীন কর্মকর্তা এসআই রফিক প্রেমিকের মামা সিনিয়র আইনজীবীকে দুদফা থানায় ডেকে চাপ সৃষ্টি করেন। চুয়াাডাঙ্গা বার অ্যাসোসিয়েশনের হস্তক্ষেপে আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করা না হলেও গত ৯ জুলাই ওই আইনজীবীর বয়স্ক স্ত্রীকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে আসে পুলিশ। আটকের পরদিন অর্থাৎ ১০ জুলাই থানায় অপহরণ মামলা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আইনজীবীর স্ত্রীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে এসআই রফিক বদলি হলে মামলার তদন্তভার বর্তায় এসআই সুব্রত বিশ্বাসের ওপর। এসআই সুব্রত বিশ্বাসের প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত আদালতে হাজিরা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় প্রেমিকজুটি। পুলিশ নিশ্চিত হতে পারে যে প্রেমিকজুটি ঢাকার সাভারে প্রেমিকের ভাইয়ের বাড়ি অবস্থান করছে। গতকাল বুধবার আদালতে হাজিরা দিতে বাড়ি ফিরলে পুলিশ তাদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিজ্ঞ আদালত তাকে মা-বাবার জিম্মায় প্রদান করেন। জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে প্রেমিক বাপ্পীকে।