নিজস্ব প্রতিবেদক: দামুড়হুদা সাব রেজিষ্ট্রারী অফিসের দলিল পুড়িয়ে ফেলার ঘোষনায় দলিল মালিকরা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। আজ ৩০নভেম্বর দামুড়হুদা সাব রেজিষ্ট্রারী অফিসের মাধ্যমে ২০০৩সাল থেকে ২০১০সাল পর্যন্ত অফিসের গোডাউনে রক্ষিত ডেলীভারী উপযোগী দলিল পুড়িয়ে দেওয়ার ঘোষনায় দলিলের মালিকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, দামুড়হুদা সাব রেজিষ্ট্রারী অফিসের বরাত দিয়ে গত এক সপ্তাহ আগে দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে ও শহরে মাইকিং করে বলা হয় ২০০৩ সাল থেকে ২০১০ সালের দলিল যা আছে তা ডেলিভারীর অপেক্ষায় অফিস গোডাউনে রক্ষিত আছে। এসব দলিলগুলো গ্রাহকদের ৩০নভেম্বরের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঘোষনা করেন। আর যদি এ সময়ের মধ্যে না নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে পুড়িয়ে ফেলা হবে বলে সাব রেজিট্্রার অফিসের কর্মকর্তা জানান। এ কারণে দলিল গ্রাহকার গতকাল লাইন দিয়েছিলেন। বিকাল ৩টার পরেও গ্রাহকরা সমুদয় দলিল না পাওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা লক্ষ্য করা যায়। তাদের মধ্যে দলিল পুড়িয়ে দেওয়ার আতংক লক্ষ্য করা গেছে। সকলের মধ্যে এক ধরণের আতংক রয়েছে আজ ৩০নভেম্বর কি ঘটতে চলেছে। দামুড়হুদা সাব রেজিট্্রার অফিসের প্রতিবছর প্রায় ৯/১০হাজারের মত দলিল হয়। হিসেব অনুযায়ী ২০১০সাল পর্যন্ত অফিসে প্রায় ৮০হাজার দলিল রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাড়া অন্য জেলায় ২বছরের মধ্যে দলিল ডেলিভারী দিলেও দামুড়হুদা সাব রেজিট্রার অফিসে দলিল রেজিট্রাারীদের ৪/৫ বছর পর দলিল দেওয়া হয়। এরপর আফিস কর্মচারীদের নানা ধরণের অজুহাত একদিন দলিল প্রদান করলে আবার ৫দিন বন্ধ রাখে। দামুড়হুদা সাব রেজিট্রার অফিস যদি ২/৩ বছরের মধ্যে গ্রাহকদের দলিল ডেলিভারী দিতো তাহলে দলিল গ্রাহকদের ভোগান্তিতে পড়তে হতো না। তার পরও হঠাৎ করে এক সপ্তাহের মধ্যে ৮০হাজার দলিল কিভাবে বিতরণ করবেন এ নিয়ে সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ফলে দলিল গ্রাহকদের দাবি দলিল গুলো না পুড়িয়ে সময় বর্ধিত করা হলে ২০হাজারের বেশী গ্রাহক তাদের দলিল গুলো পাবে। আপর দিকে সরকারকে মোটা অংকের রাজস্ব হারাতে হবে না।