
সমীকরণ ডেস্ক: শুভ জন্মাষ্টমী। মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি আজ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। জন্মাষ্টমী বা কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়। এর অপর নাম কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী ইত্যাদি। জন্মাষ্টমী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রাচীন ধর্মীয় উৎসব। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন এ দিনে উপাবাসে সপ্ত জন্মকৃত পাপ বিনষ্ট হয়। আর তাই এ দিনটিতে তারা উপবাস করে লীলা পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়, পূজা, আরাধানা, জন্মাষ্টমীর মিছিল, শোভাযাত্রা ইত্যাদি। শ্রী কৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। এ উপলক্ষে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সংবাদপত্রগুলো বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদ, ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি এবারও জন্মাষ্টমী উদযাপনে কেন্দ্রীয়ভাবে দুদিনের কর্মসূচি পালন করবে। এ উপলক্ষে গতকাল জাতীয় মন্দির ঢাকেশ্বরীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেন দীপু, সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার পাল, সংগঠনের উপদেষ্টা কাজল দেবনাথ, ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, যুগ্ম সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার রায়সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, আজ সকালে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে ঐতিহ্যবাহী গীতাযজ্ঞ, বিকেলে ঐতিহাসিক শোভাযাত্রা এবং রাতে শ্রীকৃষ্ণ পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে, বিরাজমান পরিস্থিতিতে এবারের জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার মিছিলের পথের একটু পরিবর্তন হবে। এবারের জন্মাষ্টমী মিছিল হাইকোর্ট হয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ভবন, গোলাপশাহ মাজার, গুলিস্তান হয়ে নবাবপুর দিয়ে বাহাদুর শাহ পার্কে শেষ হবে। মতবিনিময় সভায় জন্মাষ্টমী জাতীয় মর্যাদায় পালনের আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।