ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

আজ চুয়াডাঙ্গাতে উদ্বোধন হবে ফ্রিজিক্স অ্যলিম্পিয়াড- ২০১৮

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৩৮৪ বার পড়া হয়েছে

মেহেরাব্বিন সানভী: সত্যেন্দ্রনাথ বোস, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর মতো বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানীর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না বহুদিন। বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্ম বিজ্ঞান চর্চায় ততটা আগ্রহী নয় এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। অথচ সারা বিশ্বের বহু দেশেই চলছে বিজ্ঞানের প্রতিযোগীতা। পিছিয়ে থাকা তো যায় না? তরুণদের মধ্যে উৎসাহ আবার ফিরিয়ে আনতে পশ্চিমাদেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও আয়োজন করা হয় ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের। ২০১১ সালে বাংলাদেশে প্রথম ফিজিক্স অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমবার শুধু ঢাকায় হলেও দ্বিতীয়বার থেকেই সারা বাংলাদেশ জুড়েই রুপ নেয় একটি উৎসবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে এই উৎসব চুয়াডাঙ্গাতে এর আগে হয়নি। তবে আনন্দের বিষয় এবার হচ্ছে। আজ ‘সাইন্স ক্লাব অব চুয়াডাঙ্গা’র আয়োজনে, দৈনিক সময়ের সমীকরণ, রাইজিং গ্রুপ ও তারা দেবি ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় চুয়াডাঙ্গাতে প্রথম বারের মত মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফ্রিজিক্স অ্যলিম্পিয়াড-২০১৮।
ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতি বিষয়ে দৈনিক সময়ের সমীকরণ’র এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হলো আন্তজার্তিক ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে সিলভার অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী তাওসিফ আহসানের। জানালেন কিছু কথা, ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে ভালো করতে প্রয়োজন পদার্থবিজ্ঞানে দারুণ দখল, জানতে হবে ফিজিক্সের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে। আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। প্রস্তুতি নিতে হবে উচ্চতর শ্রেণির। যেমন নবম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ফিজিক্স বই পড়লে অনেকটা এগিয়ে থাকবে। অলিম্পিয়াডে ভালো করবে। আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, শুধু অলিম্পিয়াডের সময় না পড়ে সারা বছরই এ নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। তা হলেই অলিম্পিয়াডে ভালো করা সম্ভব। পদার্থ বিজ্ঞান একটি প্রামাণিক বিজ্ঞান, যেখানে ধারণা কিংবা সম্ভাবনা থেকে অনেক কিছুই শুরু করা যায় কিন্তু প্রমাণ করার মাধ্যমে তা প্রতিষ্ঠিত হয়। শুধু পুঁথিগত বিদ্যায় আবদ্ধ না থেকে আসন্ন বৈশ্বিক জলাবায়ুগত বিপর্যের মোকাবেলা করার জন্য শিক্ষার্থীদের পদার্থবিজ্ঞানে দক্ষ হওয়া প্রয়োজন।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুজ্জামান বললেন- সকল ঙষুসঢ়রধফ এর মধ্যে একটা পড়সসড়হ জিনিস আছে। সেটা হচ্ছে চৎড়নষবস ংড়ষারহম ধহফ খড়মরপধষ ৎবধংড়হরহম। সেটার জন্য প্রস্তুতি ৩টি : চর্চা, চর্চা আর চর্চা। আর চযুংরপং ঙষুসঢ়রধফ-এর জন্য ংঢ়বপরভরপ বিষয় হচ্ছে একটাই, সেটা চযুংরপং। নিজের জন্য-নিজের আগ্রহের জন্য- ‘দুনিয়াতে ঙষুসঢ়রধফ থাকুক আর না থাকুক, চযুংরপং পড়তে আমার ভালো লাগে’ এরকম ঢ়ধংংরড়হ-ই মানুষকে দীর্ঘদিন সড়ঃরাধঃবফ রাখতে পারে।
এদিকে অনেকেরই ধারনা, ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতির জন্য ঝঝঈ ও ঐঝঈ এর বাংলা বইগুলোতে বিষয় বস্তু ঠিকই ঠেসে দেয়া আছে, ব্যাপক রঃবস রহঃৎড়ফঁপব করা হয়েছে, কিন্তু ভিতরে কিছু নেই। তাই, চযুংরপং এ কী কী আছে, কেবল এটা জানার জন্য একদম নিতান্ত নবমরহহবৎং- দের জন্য এই বইগুলো বেশ ভালোই। কিন্তু কোনো কিছুই বষধনড়ৎধঃবষু ব্যাখ্যা করা নেই। তাই, ফরৎবপঃ বাইরের লেখকদেরই বই পড়তে হবে। এতে পড়হপবঢ়ঃ পষবধৎ থাকবে যেটা ঢ়যুংরপং ঙষুসঢ়রধফ-এর জন্য আবশ্যক। আমার মতে, আমাদের দেশে অনেকে আছে যারা চযুংরপং-এর প্রতি রহঃবৎবংঃবফ কিন্তু হয়তো এখনো তারা ঙষুসঢ়রধফ সম্পর্কে জানে না। এই রমহড়ৎধহপব এর একটা সুন্দর দিক আছে সেটা হলো : কেউ যদি মবহঁরহবষু চযুংরপং পড়ে, চযুংরপং নিয়ে ঘাটাঘাটি করে নিজের কৌতুহল থেকে রিঃযড়ঁঃ ধহু শহড়ষিবফমব ড়ভ ঙষুসঢ়রধফ, তাহলে কোনো বীঃবৎহধষ মোহ, ধপশহড়ষিবফমসবহঃ, পবৎঃরভরপধঃব- এগুলো দ্বারা সড়ঃরাধঃরড়হ ফবাবষড়ঢ় হয় না। বরং একটা বিশুদ্ধ চধংংরড়হ ভড়ৎ চযুংরপং তৈরী হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আজ চুয়াডাঙ্গাতে উদ্বোধন হবে ফ্রিজিক্স অ্যলিম্পিয়াড- ২০১৮

আপলোড টাইম : ০৯:০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অগাস্ট ২০১৮

মেহেরাব্বিন সানভী: সত্যেন্দ্রনাথ বোস, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর মতো বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানীর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না বহুদিন। বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্ম বিজ্ঞান চর্চায় ততটা আগ্রহী নয় এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। অথচ সারা বিশ্বের বহু দেশেই চলছে বিজ্ঞানের প্রতিযোগীতা। পিছিয়ে থাকা তো যায় না? তরুণদের মধ্যে উৎসাহ আবার ফিরিয়ে আনতে পশ্চিমাদেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও আয়োজন করা হয় ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের। ২০১১ সালে বাংলাদেশে প্রথম ফিজিক্স অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমবার শুধু ঢাকায় হলেও দ্বিতীয়বার থেকেই সারা বাংলাদেশ জুড়েই রুপ নেয় একটি উৎসবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে এই উৎসব চুয়াডাঙ্গাতে এর আগে হয়নি। তবে আনন্দের বিষয় এবার হচ্ছে। আজ ‘সাইন্স ক্লাব অব চুয়াডাঙ্গা’র আয়োজনে, দৈনিক সময়ের সমীকরণ, রাইজিং গ্রুপ ও তারা দেবি ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় চুয়াডাঙ্গাতে প্রথম বারের মত মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফ্রিজিক্স অ্যলিম্পিয়াড-২০১৮।
ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতি বিষয়ে দৈনিক সময়ের সমীকরণ’র এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হলো আন্তজার্তিক ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে সিলভার অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী তাওসিফ আহসানের। জানালেন কিছু কথা, ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে ভালো করতে প্রয়োজন পদার্থবিজ্ঞানে দারুণ দখল, জানতে হবে ফিজিক্সের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে। আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। প্রস্তুতি নিতে হবে উচ্চতর শ্রেণির। যেমন নবম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ফিজিক্স বই পড়লে অনেকটা এগিয়ে থাকবে। অলিম্পিয়াডে ভালো করবে। আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, শুধু অলিম্পিয়াডের সময় না পড়ে সারা বছরই এ নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। তা হলেই অলিম্পিয়াডে ভালো করা সম্ভব। পদার্থ বিজ্ঞান একটি প্রামাণিক বিজ্ঞান, যেখানে ধারণা কিংবা সম্ভাবনা থেকে অনেক কিছুই শুরু করা যায় কিন্তু প্রমাণ করার মাধ্যমে তা প্রতিষ্ঠিত হয়। শুধু পুঁথিগত বিদ্যায় আবদ্ধ না থেকে আসন্ন বৈশ্বিক জলাবায়ুগত বিপর্যের মোকাবেলা করার জন্য শিক্ষার্থীদের পদার্থবিজ্ঞানে দক্ষ হওয়া প্রয়োজন।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুজ্জামান বললেন- সকল ঙষুসঢ়রধফ এর মধ্যে একটা পড়সসড়হ জিনিস আছে। সেটা হচ্ছে চৎড়নষবস ংড়ষারহম ধহফ খড়মরপধষ ৎবধংড়হরহম। সেটার জন্য প্রস্তুতি ৩টি : চর্চা, চর্চা আর চর্চা। আর চযুংরপং ঙষুসঢ়রধফ-এর জন্য ংঢ়বপরভরপ বিষয় হচ্ছে একটাই, সেটা চযুংরপং। নিজের জন্য-নিজের আগ্রহের জন্য- ‘দুনিয়াতে ঙষুসঢ়রধফ থাকুক আর না থাকুক, চযুংরপং পড়তে আমার ভালো লাগে’ এরকম ঢ়ধংংরড়হ-ই মানুষকে দীর্ঘদিন সড়ঃরাধঃবফ রাখতে পারে।
এদিকে অনেকেরই ধারনা, ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতির জন্য ঝঝঈ ও ঐঝঈ এর বাংলা বইগুলোতে বিষয় বস্তু ঠিকই ঠেসে দেয়া আছে, ব্যাপক রঃবস রহঃৎড়ফঁপব করা হয়েছে, কিন্তু ভিতরে কিছু নেই। তাই, চযুংরপং এ কী কী আছে, কেবল এটা জানার জন্য একদম নিতান্ত নবমরহহবৎং- দের জন্য এই বইগুলো বেশ ভালোই। কিন্তু কোনো কিছুই বষধনড়ৎধঃবষু ব্যাখ্যা করা নেই। তাই, ফরৎবপঃ বাইরের লেখকদেরই বই পড়তে হবে। এতে পড়হপবঢ়ঃ পষবধৎ থাকবে যেটা ঢ়যুংরপং ঙষুসঢ়রধফ-এর জন্য আবশ্যক। আমার মতে, আমাদের দেশে অনেকে আছে যারা চযুংরপং-এর প্রতি রহঃবৎবংঃবফ কিন্তু হয়তো এখনো তারা ঙষুসঢ়রধফ সম্পর্কে জানে না। এই রমহড়ৎধহপব এর একটা সুন্দর দিক আছে সেটা হলো : কেউ যদি মবহঁরহবষু চযুংরপং পড়ে, চযুংরপং নিয়ে ঘাটাঘাটি করে নিজের কৌতুহল থেকে রিঃযড়ঁঃ ধহু শহড়ষিবফমব ড়ভ ঙষুসঢ়রধফ, তাহলে কোনো বীঃবৎহধষ মোহ, ধপশহড়ষিবফমসবহঃ, পবৎঃরভরপধঃব- এগুলো দ্বারা সড়ঃরাধঃরড়হ ফবাবষড়ঢ় হয় না। বরং একটা বিশুদ্ধ চধংংরড়হ ভড়ৎ চযুংরপং তৈরী হয়।