সমীকরণ প্রতিবেদন:
আগামী দুইদিনে তাপমাত্রা পাঁচ ডিগ্রিতে নামতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার (১৮ জানুয়ারি) আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে এই শীত বেশিদিন স্থায়ী হবে না বলেও জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ। তিনি বলেন, ২১ জানুয়ারি থেকে তীব্র শীতের বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে। অর্থাৎ পর্যায়ক্রমে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন বর্তমানে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে নেমে এসেছে তাপমাত্রা। মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে রয়েছে উত্তরের হিমেল বাতাস। ফলে শীতের অনুভ‚তি বেড়েছে। আর আর এটি বজায় থাকবে আগামী ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর থেকে তাপমাত্রা ক্রমে বাড়বে। তিনি আরও জানান, চলতি বছর শুরুই হয়েছিল তীব্র ঠান্ডার মধ্য দিয়ে। জানুয়ারির প্রথম ভাগে দিনের তাপমাত্রা কমে গিয়েছিল। ঘন কুয়াশা সারাদিনেও না কাটায় আসেনি স‚র্যের আলো। ফলে শীতের অনুভ‚তি তীব্র হয়েছিল। তবে মাঘ মাসে এমনটি হওয়ার শঙ্কা কম। দু-একটি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। আজ মাঘ মাসের পঞ্চম দিন চলছে। পাল্লা দিয়ে দাপট বাড়ছে শীতের। আগামী দুইদিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমে পাঁচ ডিগ্রিতে নামতে পারে। এরপর আর তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই। আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়তে পারে।
এই আবহাওয়াবিদ আরো বলেন, ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল দুই দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল তেঁতুলিয়াতে চার দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ২০২০ সালে ৩১ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছিল পাঁচ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২১ সালের তথ্যটা নেই। তবে গত বছর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়েই ছিল। আর সর্বশেষ এবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ছয় দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এক আবহাওয়া অফিসের এক প‚র্বাভাসে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ বিস্তৃত রয়েছে উত্তর-প‚র্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। এই অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে হতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এদিকে মৌলভীবাজার জেলাসহ রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার। আগামী ৭২ ঘণ্টায় আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের কোনো আভাস নেই। গতকাল বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি ও চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছিলে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস । সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সন্দ্বীপে ২৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যথাক্রমে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
