চুয়াডাঙ্গার বিশিষ্টজনেরাসহ সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনগুলো করোনা সংকটে রাখছে ভূমিকা
সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা পুলিশ, তারা দেবী ফাউন্ডেশন, জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ জেলার তিন উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও অক্সিজেন কনসেনট্রেটরসহ চিকিৎসাসামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী স্ব স্ব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এসব চিকিৎসাসামগ্রী সিভিল সার্জন ও আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তাদের (আরএমও) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ:
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সদর হাসপাতালে ১০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের নির্দেশনায় সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসানের নিকট এই ১০টি সিলিন্ডার হস্তান্তর করেন সংগঠনের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান।
সাবেক মেয়র টোটন জোয়ার্দ্দার বলেন, করোনাকালীন এই সংকটে জেলা আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গাবাসীর পাশে রয়েছে। দেশব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাসের ব্যাপক বিস্তারে মানুষ আজ বড্ড অসহায়। যার প্রাদুর্ভাব চুয়াডাঙ্গা জেলাতেও পড়েছে। এমতাবস্থায় জেলা আওয়ামী লীগ সদর হাসপাতালসহ জেলার অন্য হাসপাতালগুলোতে করোনা প্রতিরোধে এবং চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করেছে।
এরই মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সার্বক্ষণিক সেবার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ১৫ জন স্বেচ্ছাসেবকসহ একজন সুপারভাইজার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সদর হাসপাতালে প্রতিদিন ১১০ জনের তিন বেলা খাবার দেওয়াসহ ইতিমধ্যে ১০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করা হয়েছে। যা চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে থাকবে। সমাজের বিত্তবান, ব্যবসায়ী ও দানশীল ব্যক্তিরা যেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের পাশে থাকার আহ্বান করেছেন এ জেলার অভিভাবক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন মহোদয়। অক্সিজেন সিলিন্ডার হস্তান্তরকালে জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্নপর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তারা দেবী ফাউন্ডেশন:
চুয়াডাঙ্গায় মুমূর্ষ করোনা রোগীদের বাঁচাতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার কৃতিসন্তান, ব্যবসায়ী নেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। ইতিমধ্যে তিনি জেলা ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সমন্বয়ে গঠিত ‘পাশে আছি আমরা’ এবং চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন ৫০টির অধিক অক্সিজেন সিলিন্ডার। এ সংকটে তাঁর এই মানবিকা প্রশংসা পাচ্ছে সবার।
এবিষয়ে বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শুরুর পর থেকেই আমি ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের অর্থায়নে তারা দেবী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ব্যাপক সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের সহায়তামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। আমার ও আমার প্রতিষ্ঠানের মূলব্রত হলো মানুষের সেবা করা, যে কোনো পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকতে পারাটা আমার স্বার্থকতা। শুধু করোনা পরিস্থিতি নয়, সবসময় আমি মানুষের পাশে থাকতে চাই।’
দামুড়হুদা:
মহামারি করোনা ভাইরাসে মানুষের জীবন যখন বিপন্ন, অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে মানুষ, ঠিক তখনি মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোখলেছুর রহমান টিপু তরফদার। ২০২০ সালে চুয়াডাঙ্গার জেলার দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনিই প্রথম ১০ শয্যার হাই ফ্লো অক্সিজেন প্রান্ট স্থাপন করে প্রশংসিত হয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ শয্যার হাই ফ্লো অক্সিজেন প্রান্টে নজি অর্থায়নে আরও ১০টি শয্যা বাড়িয়ে তা ২২ শয্যায় উন্নতি করে জেলাজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছেন বিএনপি নেতা টিপু তরফদার। গতকাল বৃহস্পতিবার ২২ শয্যায় উন্নীতকরণের লক্ষে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোখলেছুর রহমান টিপু তরফদারের পক্ষে তার দলের নেতাকর্মীরা দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ফারহানা ওয়াহিদ তানির হাতে তুলে দেন।
জানা যায়, গত বছর থেকে সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যখন লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যায়। ঠিক তখনি দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাই ফ্লো অক্সিজেন প্রান্ট স্থাপন করেন অত্র এলাকার কৃতি সন্তান চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র অন্যতম নেতা, বিএন্ডটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোখলেছুর রহমান টিপু তরফদার। সে থেকেই তিনি করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এরপর এবছর শুরু হওয়া দ্বিতীয় ঢেউয়ে হঠাৎ করে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে তাদের সুচিকিৎসার জন্য টিপু তরফদার আবারো নিজ অর্থায়নে গত বছর স্থাপিত ১০ শয্যার হাই ফ্লো অক্সিজেন প্রান্টকে ২২ শয্যায় উন্নীতকরণ করে মানবিকতায় অনন্য দৃষ্টান্তÍ স্থাপন করলেন।
বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোখলেছুর রহমান টিপু তরফদার জানান, এই মহামারি যতোদিন থাকবে, করোনা আক্রান্ত রোগীদের সু-চিকিৎসার জন্য তাঁর সাধ্যমতো সহযোগিতা ততদিন অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীর জন্য অক্সিজেন খুবই প্রয়োজন। তাই দামুড়হুদা ও জীবননগরবাসীর জন্য গত বছর দুটি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই ১০ শয্যা করে দুটি অক্সিজেন প্রান্ট ও বেড স্থাপন করে দিয়েছিলাম। এ বছর হঠাৎ করে করোনা আক্রান্ত রোগী বেড়ে যাওয়ায় সেই ১০ শয্যার সাথে আমার নিজ অর্থায়নে আরও ১০ শয্যা বাড়িয়ে দিলাম। কারণ আমি দামুড়হুদা ও জীবননগরবাসীসহ এ জেলায় করোনা আক্রান্ত কোনো রোগীকে অক্সিজেনের অভাবে মরতে দিতে পারিনা। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আরও দেব, ইনশা-আল্লাহ।
উল্লেখ্য, ইঞ্জিনিয়ার মোখলেছুর রহমান টিপু তরফদারের নিজ অর্থায়নে স্থাপিত হাই ফ্লো অক্সিজেন প্রান্টের মাধ্যমে একযোগে ২২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে পারবেন। তিনি এ যাবৎ ২০টি ৯.৮ কিউবিক মিটার তথা প্রতিটি ৯ হাজার ৮০০ লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন অক্সিজেন সিলিন্ডারে ১ লাখ ৯৬ হাজার লিটার অক্সিজেন দিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ:
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা ইউনিটের জন্য ১০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট পৌঁছে দিয়েছেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জাহিদ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসানের নিকট এই সিলিন্ডারগুলি হস্তান্তর করা হয়। সিলিন্ডার হস্তান্তরকালে এসপি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ সকল সময় তাঁদের পেশাগত ও নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে সাধ্যমতো জনগণকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বৈশিক মহামারি করোনাভাইরাস সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গাতেও মহামারি আকার ধারণ করেছে। এই মহামারি সময়ে এ জেলারই কৃতি সন্তান ঢাকা মেট্রো পলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুল ইসলাম (বিপিএম-বার) স্যারের উদ্যোগে সদর হাসপাতালের করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য আবুল খায়ের গ্রুপের সৌজন্যে ১০টি বড় অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রেরণ করেছেন। উক্ত অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলি আমি নিজে উপস্থিত থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট পৌঁছে দিয়েছি। অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলি চুয়াডাঙ্গাবাসীর জীবন রক্ষার্থে ব্যবহৃত হবে। এসময় তিনি এ ধরণের মানবিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয়ে জনগনের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলকে আহবান জানান।’
অক্সিজেন সিলিন্ডার হস্তান্তরকালে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খানসহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগ:
অসুস্থ করোনা রোগীর শ্বাসকষ্ট হলেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে অক্সিজেন সিলিন্ডার। চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের অন্যতম সদস্য ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরীফ হোসেন দুদুর সার্বিক সহযোগিতায় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হুছাইন জ্যাকির নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ কর্মী চুয়াডাঙ্গায় এ মহৎ কাজ পরিচালনা করছেন। এরই অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে পাঁচটি অক্সিজেন সিলিন্ডারও পৌঁছে দিয়েছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। গত বুধবার এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানের বেশ কয়েকজন করোনা রোগী শ্বাসকষ্টে ভুগছিলো। হেল্প নাম্বারে কল দেওয়ার সাথে সাথে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হুছাইন জ্যাকির নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একদল কর্মী সেসব করোনা রোগীর বাড়িতে গিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌছে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল হক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইনামুল হাসান বুলবুল, জেলা যুবলীগ নেতা মো. জাহিদ হোসেন, আব্দুল হান্নান, আব্দুল মান্নান মুন্না, চুয়াডাঙ্গা সদর থানা ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সুমন রেজা, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা কানন আহমেদ, ইমরোজ হোসেন, আব্দুল খালেক, রাজন আহমেদ, সানজিদ আহমেদ, ফাহিম আহমেদ, রাজু আহমেদ প্রমুখ।
এদিকে, এ মহতি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গার সুধীসমাজের প্রতিনিধিরা। তাঁরা বলছেন, করোনাভাইরাসের এই সংকটকালীন সময়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা যে কাজ করছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
চুয়াডাঙ্গা টেলিকম ও বন্যা এন্টারপ্রাইজ:
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চুয়াডাঙ্গা টেলিকম ও বন্যা এন্টারপ্রাইজের উদ্যোগে ১০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান ও আরএমও ডা. এএসএম ফাতেহ আকরামের নিকট এই ১০টি সিলিন্ডার হস্তান্তর করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, চুয়াডাঙ্গা টেলিকম-এর পরিচালক রিংকু জোয়ার্দ্দার ও বন্যা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মখলেছুর রহমান।
সংযোগ- কানেকটিং পিপল:
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা ইউনিটের জন্য দুটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর প্রদান করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সংযোগ- কানেকটিং পিপল’। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরামের নিকট অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দুটি হস্তান্তর করে সংযোগের চুয়াডাঙ্গা মেডিকেল হাবের সংযোজক শাহরিয়ার সিয়াম ও তার টিম।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সংযোগের চুয়াডাঙ্গা মেডিকেল হাবের সংযোজক শাহরিয়ার সিয়াম বলেন, এই করোনা মহামারিতে অক্সিজেন সংকট মোকাবেলায় সংযোগ বিভিন্ন জেলার হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও কনসেন্ট্রেটর উপহার প্রদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। অক্সিজেনের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ‘সংযোগ- কানেকটিং পিপল’-এর চুয়াডাঙ্গা মেডিকেল হাবের পক্ষ থেকে সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের জন্য দুটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর উপহার স্বরুপ দেওয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গাতে করোনা ভয়াবহ আকার ধারন করলে করোনা আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেনের চাহিদা পূরণে গত ৩০ জুন থেকে চুয়াডাঙ্গাতে প্রথমবারের মত জরুরি অক্সিজেন সেবা কার্যক্রম শুরু করে সংযোগ। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা ছাড়াও প্রায় ৩৬টি জেলাতে সংযোগের কার্যক্রম চলছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম বলেন, ‘করোনা মহামারি সময়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় যারা এগিয়ে আসছেন সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ। সংযোগ-কানক্টিং পিপল’ চুয়াডাঙ্গা মেডিকেল হাব করোনা রোগীদের অক্সিজেন সেবায় হাসপাতালের জন্য দুটি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর প্রদান করেছে। যা করোনা রোগীদের নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সদর হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। স্বেচ্ছাবেসী সংগঠন সংযোগের দেওয়া অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দুটি রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহে বড় সহযোগী হিসাবে কাজ করবে। এভাবে সকলে এগিয়ে আসলে আমরা রোগীর চাপ সামাল দিতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সংযোগের চুয়াডাঙ্গা ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের সদস্য আসিমুজ্জামান, নাঈম, আবীর, তানজিল, আশিক, রাজন প্রমুখ।