ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

Auto Draft

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:০১:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০১৭
  • / ৩৬১ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ময় ডেস্ক: আপনি একটি ব্যান্ডের পোস্টারের দিকে তাকিয়েছেন এবং সঙ্গে সঙ্গে আপনার মোবাইলে সেই ব্যান্ডের গান শুনতে পাচ্ছেন- খুব শিগগির নতুন একটি প্রযুক্তির মাধ্যমে এমন ঘটনা সম্ভব হতে চলেছে। নতুন এই প্রযুক্তি আমাদের আশপাশের যেকোনো বস্তুকে এফএম রেডিও স্টেশনে পরিণত করতে পারবে এবং আপনার স্মার্টফোনেই তা শোনা যাবে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় গবেষকরা আশা করছেন তাদের এই নতুন প্রযুক্তি গান গাওয়া পোস্টার থেকে শুরু করে কথা বলা টি-শার্ট অর্থাৎ অবিশ্বাস্য এই প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য বস্তুগুলোকে এফএম রেডিও স্টেশনে পরিণত করবে। গবেষকরা গান গাওয়া পোস্টার (ছবির মধ্যমে) তৈরি করতে রেডিও সিগন্যাল ব্যবহার করেছেন, যা ১২ ফুট (৪ মিটার) এর মধ্যে থাকা স্মার্টফোনে সিগন্যাল পাঠিয়ে পোস্টারের ব্যান্ডের গান বাজাবে।
এটা কিভাবে কাজ করে?
প্রযুক্তিটি ‘ব্যাকস্ক্যাটারিং’ নামে পরিচিত। এটি ক্ষুদ্র মাত্রার রেডিও সিগন্যাল ব্যবহার করে, যা তথ্য আদান প্রদানের জন্য আগে থেকেই পরিবেশে থাকে। বার্তাগুলো এফএম সংকেতের মাধ্যমে পাঠানো হয়। এনকোডিং অডিও এবং ডেটা ট্রান্সফারের মাধ্যমে। ব্যাকস্ক্যাটারিং এর মাধ্যমে এভাবে অডিও সিগন্যাল ও ডেটা পাঠানোর তিনটি পদ্ধতি আছে। একটি হল, আগে থেকে থাকা কোনো সিগন্যালের ওপর নতুন তথ্য প্রতিস্থাপন করা। যেমন- রেডিও সংবাদ সম্প্রচারের ওপর। আরেকটি হল, রেডিও স্টেশনের অব্যবহৃত স্টেরিও এফএম ব্রডকাস্ট, রেডিওর খালি চ্যানেলগুলো ব্যবহার করে। এবং তৃতীয়টি হল, দুইটি স্মার্টফোনের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বার্তা পাঠোদ্ধার করা। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল একটি গান গাওয়া পোস্টার বানাতে সক্ষম হয়েছে। যা ৪ মিটার দূরত্বে একটি স্মার্টফোনে কিংবা ১৮ মিটার দূরে একটি গাড়িতে ব্যান্ডের গান শোনাতে সক্ষম। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শ্যাম গোলাওটা  বলেন, ‘আমরা যেটা করতে চাচ্ছি তা হল স্মার্ট শহর এবং কাপড়, যেখানে প্রতিদিন আমাদের পথে চলতে সববস্তু তা একটি পোস্টার হোক কিংবা সড়কের সিগন্যাল হোক অথবা আপনার পড়নের পোশাক আপনার মোবাইলে অথবা গাড়িতে তথ্য পাঠানোর মাধ্যমে আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারবে।’ গবেষক দলের আরেকজন সদস্য জানান, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল রেডিও প্রযুক্তি যার মধ্যে ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই কিংবা সাধারণ এফএম সিগন্যালগুলো একটি কয়েন সেল ব্যাটারির মাধ্যমে একদিনেরও কম সময় পর্যন্ত টিকে থাকে। তাই আমরা এমনই এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছি যেখানে আমরা প্রকৃতিতে বিরাজ করছে এমন এফএম রেডিও সিগন্যাল ব্যবহার করবো। এর ফলে আমাদের খুবই কম শক্তি প্রয়োজন হবে। মূল এফএম রেডিও সম্প্রচার প্রভাবিত না করেই ব্যাকস্ক্যাটারিং তথ্য কিংবা অডিও পাঠাতে সক্ষম। একটি দ্বিতীয় পরীক্ষায় গবেষকরা একটি টি-শার্ট ব্যবহার করেন যার কাপড়ে সূক্ষ রেডিও অ্যান্টেনা বসানো ছিল। যা প্রতি সেকেন্ডে ৩.৩ কিলোবাইটস পর্যন্ত তথ্য স্মার্টফোনে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। ব্যাকস্ক্যাটারিং প্রযুক্তি মোট শক্তি খরচ করে ১১ মাইক্রো ওয়াট, যা কিনা একটি কয়েন সেল ব্যাটারির মাধ্যমে বছরের পর বছর সাপ্লাই দেয়া যাবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

Auto Draft

আপলোড টাইম : ০৫:০১:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০১৭

বিশ্ময় ডেস্ক: আপনি একটি ব্যান্ডের পোস্টারের দিকে তাকিয়েছেন এবং সঙ্গে সঙ্গে আপনার মোবাইলে সেই ব্যান্ডের গান শুনতে পাচ্ছেন- খুব শিগগির নতুন একটি প্রযুক্তির মাধ্যমে এমন ঘটনা সম্ভব হতে চলেছে। নতুন এই প্রযুক্তি আমাদের আশপাশের যেকোনো বস্তুকে এফএম রেডিও স্টেশনে পরিণত করতে পারবে এবং আপনার স্মার্টফোনেই তা শোনা যাবে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় গবেষকরা আশা করছেন তাদের এই নতুন প্রযুক্তি গান গাওয়া পোস্টার থেকে শুরু করে কথা বলা টি-শার্ট অর্থাৎ অবিশ্বাস্য এই প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য বস্তুগুলোকে এফএম রেডিও স্টেশনে পরিণত করবে। গবেষকরা গান গাওয়া পোস্টার (ছবির মধ্যমে) তৈরি করতে রেডিও সিগন্যাল ব্যবহার করেছেন, যা ১২ ফুট (৪ মিটার) এর মধ্যে থাকা স্মার্টফোনে সিগন্যাল পাঠিয়ে পোস্টারের ব্যান্ডের গান বাজাবে।
এটা কিভাবে কাজ করে?
প্রযুক্তিটি ‘ব্যাকস্ক্যাটারিং’ নামে পরিচিত। এটি ক্ষুদ্র মাত্রার রেডিও সিগন্যাল ব্যবহার করে, যা তথ্য আদান প্রদানের জন্য আগে থেকেই পরিবেশে থাকে। বার্তাগুলো এফএম সংকেতের মাধ্যমে পাঠানো হয়। এনকোডিং অডিও এবং ডেটা ট্রান্সফারের মাধ্যমে। ব্যাকস্ক্যাটারিং এর মাধ্যমে এভাবে অডিও সিগন্যাল ও ডেটা পাঠানোর তিনটি পদ্ধতি আছে। একটি হল, আগে থেকে থাকা কোনো সিগন্যালের ওপর নতুন তথ্য প্রতিস্থাপন করা। যেমন- রেডিও সংবাদ সম্প্রচারের ওপর। আরেকটি হল, রেডিও স্টেশনের অব্যবহৃত স্টেরিও এফএম ব্রডকাস্ট, রেডিওর খালি চ্যানেলগুলো ব্যবহার করে। এবং তৃতীয়টি হল, দুইটি স্মার্টফোনের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বার্তা পাঠোদ্ধার করা। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল একটি গান গাওয়া পোস্টার বানাতে সক্ষম হয়েছে। যা ৪ মিটার দূরত্বে একটি স্মার্টফোনে কিংবা ১৮ মিটার দূরে একটি গাড়িতে ব্যান্ডের গান শোনাতে সক্ষম। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শ্যাম গোলাওটা  বলেন, ‘আমরা যেটা করতে চাচ্ছি তা হল স্মার্ট শহর এবং কাপড়, যেখানে প্রতিদিন আমাদের পথে চলতে সববস্তু তা একটি পোস্টার হোক কিংবা সড়কের সিগন্যাল হোক অথবা আপনার পড়নের পোশাক আপনার মোবাইলে অথবা গাড়িতে তথ্য পাঠানোর মাধ্যমে আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারবে।’ গবেষক দলের আরেকজন সদস্য জানান, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল রেডিও প্রযুক্তি যার মধ্যে ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই কিংবা সাধারণ এফএম সিগন্যালগুলো একটি কয়েন সেল ব্যাটারির মাধ্যমে একদিনেরও কম সময় পর্যন্ত টিকে থাকে। তাই আমরা এমনই এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছি যেখানে আমরা প্রকৃতিতে বিরাজ করছে এমন এফএম রেডিও সিগন্যাল ব্যবহার করবো। এর ফলে আমাদের খুবই কম শক্তি প্রয়োজন হবে। মূল এফএম রেডিও সম্প্রচার প্রভাবিত না করেই ব্যাকস্ক্যাটারিং তথ্য কিংবা অডিও পাঠাতে সক্ষম। একটি দ্বিতীয় পরীক্ষায় গবেষকরা একটি টি-শার্ট ব্যবহার করেন যার কাপড়ে সূক্ষ রেডিও অ্যান্টেনা বসানো ছিল। যা প্রতি সেকেন্ডে ৩.৩ কিলোবাইটস পর্যন্ত তথ্য স্মার্টফোনে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। ব্যাকস্ক্যাটারিং প্রযুক্তি মোট শক্তি খরচ করে ১১ মাইক্রো ওয়াট, যা কিনা একটি কয়েন সেল ব্যাটারির মাধ্যমে বছরের পর বছর সাপ্লাই দেয়া যাবে।