ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এইচএসসি পরীক্ষা : প্রশ্নফাঁস রোধে নতুন ৩ কৌশল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ এপ্রিল ২০১৮
  • / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রথমদিন সোমবার (২ এপ্রিল) প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ট্রাজেডি থেকে বের হয়ে আসতে বেশ কিছু নতুন কৌশল নেওয়ায় এ সফলতা পাওয়া গেছে বলে মনে করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কৌশলগুলোর মধ্যে তিনটি বেশি কাজে দিয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। কৌশল তিনটি হলো প্রশ্নপত্রের প্যাকেট সিকিউরিটি টেপ দিয়ে আটকানো, পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকিয়ে আসনে বসানো এবং প্রশ্নপত্রের সব সেট কেন্দ্রে নেওয়ার পর পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নপত্রের সেট নির্ধারণ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। পরীক্ষা শুরুর আগে পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনের পর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এসব কৌশলের উল্লেখ করে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘যা যা করা সম্ভব প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে, সেসব ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া সম্ভব নয়। আশা করছি, প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না।’
পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘আমরা যেসব পদ্ধতি নিয়েছি, তার মধ্যে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট সিকিউরিটি টেপ দিয়ে আটকানো, পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকিয়ে আসনে বসানো এবং প্রশ্নপত্রের সব সেট কেন্দ্রে নেওয়ার পর পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নপত্রের সেট নির্ধারণ মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।
তবে প্রথমদিন প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যায়নি, এর মানে এই নয় যে আগামী পরীক্ষাগুলোতেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের সম্ভবনা একেবারে নেই, তা মনে করেন না সচিব। কারণ, ফাঁসকারীদের চক্র তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।
পরীক্ষার শুরুর কয়েকদিন আগে মো. সোহরাব হোসাইন জানিয়েছিলেন, বিদ্যমান পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে শত ভাগ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। তবে এ বছর নতুনভাবে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাতে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
গতকাল সোমবার সচিব আরও জানান, এইচএসসি পরীক্ষায় নেওয়া সব কৌশলই কাজে দিয়েছে। তবে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে দায়িত্বশীল থাকতে পরামর্শ দেন তিনি।
মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, মন্ত্রণালয়ের নেওয়া কৌশল বাস্তবায়নে সরকারের মাঠ প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ।
মন্ত্রণালয়ের নেওয়া কৌশল বাস্তবায়নে পরিপত্র জারি করা হয়। পরিপত্র অনুযায়ী নতুন কৌশলের মধ্যে ছিলÍ প্রশ্নপত্রের প্যাকেট সিকিউরিটি টেপ দিয়ে আটকানো, পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকিয়ে আসনে বসানো, প্রশ্নপত্রের সব সেট কেন্দ্রে নেওয়া, পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নপত্রের সেট নির্ধারণ, ট্রেজারি থেকে কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পৌঁছাতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, প্রতিটি কেন্দ্রে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে/দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নিয়োজিত রাখার ব্যবস্থা।
প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সরকারের নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পরেও জনসচেতনা বাড়াতে এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের ধরতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে জানানোর জন্য বলা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। শিক্ষামন্ত্রী ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব ফেসবুকেও প্রচারণা চালিয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

এইচএসসি পরীক্ষা : প্রশ্নফাঁস রোধে নতুন ৩ কৌশল

আপলোড টাইম : ১০:০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ এপ্রিল ২০১৮

সমীকরণ ডেস্ক: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রথমদিন সোমবার (২ এপ্রিল) প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ট্রাজেডি থেকে বের হয়ে আসতে বেশ কিছু নতুন কৌশল নেওয়ায় এ সফলতা পাওয়া গেছে বলে মনে করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কৌশলগুলোর মধ্যে তিনটি বেশি কাজে দিয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। কৌশল তিনটি হলো প্রশ্নপত্রের প্যাকেট সিকিউরিটি টেপ দিয়ে আটকানো, পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকিয়ে আসনে বসানো এবং প্রশ্নপত্রের সব সেট কেন্দ্রে নেওয়ার পর পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নপত্রের সেট নির্ধারণ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। পরীক্ষা শুরুর আগে পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনের পর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এসব কৌশলের উল্লেখ করে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘যা যা করা সম্ভব প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে, সেসব ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া সম্ভব নয়। আশা করছি, প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না।’
পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘আমরা যেসব পদ্ধতি নিয়েছি, তার মধ্যে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট সিকিউরিটি টেপ দিয়ে আটকানো, পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকিয়ে আসনে বসানো এবং প্রশ্নপত্রের সব সেট কেন্দ্রে নেওয়ার পর পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নপত্রের সেট নির্ধারণ মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।
তবে প্রথমদিন প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যায়নি, এর মানে এই নয় যে আগামী পরীক্ষাগুলোতেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের সম্ভবনা একেবারে নেই, তা মনে করেন না সচিব। কারণ, ফাঁসকারীদের চক্র তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।
পরীক্ষার শুরুর কয়েকদিন আগে মো. সোহরাব হোসাইন জানিয়েছিলেন, বিদ্যমান পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে শত ভাগ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। তবে এ বছর নতুনভাবে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাতে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
গতকাল সোমবার সচিব আরও জানান, এইচএসসি পরীক্ষায় নেওয়া সব কৌশলই কাজে দিয়েছে। তবে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে দায়িত্বশীল থাকতে পরামর্শ দেন তিনি।
মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, মন্ত্রণালয়ের নেওয়া কৌশল বাস্তবায়নে সরকারের মাঠ প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ।
মন্ত্রণালয়ের নেওয়া কৌশল বাস্তবায়নে পরিপত্র জারি করা হয়। পরিপত্র অনুযায়ী নতুন কৌশলের মধ্যে ছিলÍ প্রশ্নপত্রের প্যাকেট সিকিউরিটি টেপ দিয়ে আটকানো, পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকিয়ে আসনে বসানো, প্রশ্নপত্রের সব সেট কেন্দ্রে নেওয়া, পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নপত্রের সেট নির্ধারণ, ট্রেজারি থেকে কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পৌঁছাতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, প্রতিটি কেন্দ্রে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে/দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নিয়োজিত রাখার ব্যবস্থা।
প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সরকারের নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পরেও জনসচেতনা বাড়াতে এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের ধরতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে জানানোর জন্য বলা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। শিক্ষামন্ত্রী ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব ফেসবুকেও প্রচারণা চালিয়েছেন।