ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আসলামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম : রাজশাহী রেফার : জিল্লু মেম্বার আটক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:২৩:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭
  • / ৩৯১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার গাড়াবাড়িয়ায় হালখাতার টাকা নিয়ে বাকবিতন্ডা : একদল যুবকের অতর্কিত হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদরের গাড়াবাড়িতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসলাম উদ্দীন মহিদ (৫৫) নামের এক একজনকে কুপিয়ে জখম করেছে একদল যুবক। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এঘটনা ঘটে। আহত আসলাম উদ্দীন মহিদ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের গাড়াবাড়ি গ্রামের ছাগলাপাড়ার মৃত ইছাহাকের ছেলে। গতকাল রাতেই আহত আসলামের ছেলে জুয়েল বাদি হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গতকাল রাতেই মামলার আসামী জিল্লু মেম্বারকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। এদিকে, আসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসারর জন্য গতকাল রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। জানা গেছে, আসলাম উদ্দীনের ভাই শহিদ মোল্লার দোকানে হালখাতা হচ্ছিল। গতকাল রাতে কিছু টাকা নিয়ে শহিদ মোল্লার সাথে একই এলাকার মৃত আক্কাসের ছেলে জাফরের সাথে বাকবিতন্ডা বাধে। এবিষয় নিয়ে আসলাম উদ্দীনসহ এলাকার কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি মিমাংসা করে দেন। পরে জাফরের সাথে শহিদ মোল্লার ভাই আসলাম উদ্দিনের মধ্যে তর্কবিতর্ক বাধে। এতে জাফর উত্তেজিত হয়ে একই এলাকার জিল্লু মেম্বারের ছেলে সোহাগ ও একই এলাকার পিয়াসসহ কয়েকজন যুবককে ডেকে এনে উত্তেজিত হয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আসলাম উদ্দীনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে জাফরসহ তার দলবল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এসময় স্থানীয়রা আসলামকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসাশেষে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আউলিয়ার রহমান এবিষয়ে বলেন, আসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার গলাই কোপের আঘাত রয়েছে। অল্পের জন্য আসলামের শ্বাসনালী রক্ষা পেয়েছে। এছাড়া আসলামের হাতে, পিঠে ও গলাই ধারালো কিছু দিয়ে কোপানোর আঘাত দেখে প্রায় ৫০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তার আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এদিকে গতকাল রাতেই সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলে সদর থানার এসআই কিশোর কুমার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালান অপরাধীদের ধরতে। পরে মামলার অন্যতম আসামী জিল্লু মেম্বারকে গ্রেফতার করেন। উল্লেখ্য, আসলাম উদ্দিন গত ইউপি নির্বাচনে শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের গাড়াবাড়ি ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বর পদে ভোট করেন। এবং সেই সময়ে আসলাম জিল্লু মেম্বারের কাছে ভোটে পরাজিত হোন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আসলামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম : রাজশাহী রেফার : জিল্লু মেম্বার আটক

আপলোড টাইম : ১২:২৩:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭

চুয়াডাঙ্গার গাড়াবাড়িয়ায় হালখাতার টাকা নিয়ে বাকবিতন্ডা : একদল যুবকের অতর্কিত হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদরের গাড়াবাড়িতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসলাম উদ্দীন মহিদ (৫৫) নামের এক একজনকে কুপিয়ে জখম করেছে একদল যুবক। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এঘটনা ঘটে। আহত আসলাম উদ্দীন মহিদ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের গাড়াবাড়ি গ্রামের ছাগলাপাড়ার মৃত ইছাহাকের ছেলে। গতকাল রাতেই আহত আসলামের ছেলে জুয়েল বাদি হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গতকাল রাতেই মামলার আসামী জিল্লু মেম্বারকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। এদিকে, আসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসারর জন্য গতকাল রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। জানা গেছে, আসলাম উদ্দীনের ভাই শহিদ মোল্লার দোকানে হালখাতা হচ্ছিল। গতকাল রাতে কিছু টাকা নিয়ে শহিদ মোল্লার সাথে একই এলাকার মৃত আক্কাসের ছেলে জাফরের সাথে বাকবিতন্ডা বাধে। এবিষয় নিয়ে আসলাম উদ্দীনসহ এলাকার কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি মিমাংসা করে দেন। পরে জাফরের সাথে শহিদ মোল্লার ভাই আসলাম উদ্দিনের মধ্যে তর্কবিতর্ক বাধে। এতে জাফর উত্তেজিত হয়ে একই এলাকার জিল্লু মেম্বারের ছেলে সোহাগ ও একই এলাকার পিয়াসসহ কয়েকজন যুবককে ডেকে এনে উত্তেজিত হয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আসলাম উদ্দীনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে জাফরসহ তার দলবল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এসময় স্থানীয়রা আসলামকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসাশেষে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আউলিয়ার রহমান এবিষয়ে বলেন, আসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার গলাই কোপের আঘাত রয়েছে। অল্পের জন্য আসলামের শ্বাসনালী রক্ষা পেয়েছে। এছাড়া আসলামের হাতে, পিঠে ও গলাই ধারালো কিছু দিয়ে কোপানোর আঘাত দেখে প্রায় ৫০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তার আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এদিকে গতকাল রাতেই সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলে সদর থানার এসআই কিশোর কুমার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালান অপরাধীদের ধরতে। পরে মামলার অন্যতম আসামী জিল্লু মেম্বারকে গ্রেফতার করেন। উল্লেখ্য, আসলাম উদ্দিন গত ইউপি নির্বাচনে শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের গাড়াবাড়ি ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বর পদে ভোট করেন। এবং সেই সময়ে আসলাম জিল্লু মেম্বারের কাছে ভোটে পরাজিত হোন।