৭২ ঘণ্টা পর বাড়ি ফিরল আলোচিত ঝন্টু, ধোঁয়াশা!
- আপলোড টাইম : ১১:২০:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯
- / ২২৬ বার পড়া হয়েছে
দর্শনা অফিস:
অপহরণের ৭২ ঘণ্টা পর বাড়ি ফিরেছেন চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের বড়বলদিয়ার আমিনুল ইসলামের ছেলে ঝন্টু মিয়া। তিনি গত বুধবার দর্শনা পুরাতন বাজার পূজাম-পের নিকট থেকে ৩৩ লাখ টাকাসহ অপহৃত হন। এ ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পর গতকাল শুক্রবার তিনি ফিরে আসেন। তবে এ ঘটনায় ধোঁয়াশা কাটেনি।
ফিরে আসা ঝন্টুর নিকট ঘটনার বিবরণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আর গ্রামের সাবেক মেম্বার সাইফুল ইসলাম গত বুধবার বিকেলে একটি বাজার করা ব্যাগে গরু ব্যবসার ৩৩ লাখ টাকা নিয়ে দর্শনা ব্যাংকে রাখার জন্য দর্শনার উদ্দেশে রওনা দিই। পথের মধ্যে দুইবার বৃষ্টির কারণে সড়াবাড়িয়া ও মদনা বাজারে অপেক্ষা করি। এরপর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে দর্শনা পুরাতন বাজার পূজাম-পের নিকট পৌঁছালে মাজায় পিস্তলবাহী দুইজন লোক গালি-গালাজ করে আমাকে টাকার ব্যাগসহ তাঁদের মোটরসাইকেলে তুলে নেয়। এ সময় সাইফুল মেম্বার দ্রুত আলম চেয়ারম্যানের বাড়ির দিকে গেলে তারা তাঁকেই গালি-গালাজ করতে থাকে। এরপর আমাকে নিয়ে দর্শনা রেলগেটের নিকটে একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাসে তুলে চোখ ও হাত বেঁধ টাকার ব্যাগটি নিয়ে নেয়। এরপর আমাকে প্রায় দেড় ঘণ্টা একটি পাকা ঘরে আটকে রাখে। পরদিন রাত আটটার দিকে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়কের নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে ৩০ টাকা ভাড়া দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় আসি। চুয়াডাঙ্গা থেকে বাড়ি পৌঁছাতে রাত সাড়ে ১১টা বাজে।’ কাউকে চিনতে পেরেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে চিনতে পারিনি। তবে তারা পুলিশ কি কোনো অপহরণকারী কি না এসব কিছুই বলতে পারবো না।’
এ দিকে সাইফুল মেম্বার বলেন, ‘ওরা পুলিশ না অপহরণকারী জানি না। ঝন্টুর ধরার পর আমি পুলিশ মনে করে ভয়ে আলম চেয়ারম্যানকে ডাকতে যাচ্ছিলাম। তারপর ঝন্টুর দুইদিন কোনো খোঁজ পাইনি। এরা কারা এখনও জানতে পারিনি। ব্যবসার এতগুলো টাকা কারা নিল বলতে পারবো না।’ টাকাগুলো কতজনের জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের ৩-৪ জনের টাকা। ব্যাগে ৫০০ টাকার নোট ২০ বান্ডেল এবং ১০০০ হাজার টাকার নোট ২৩ বান্ডেল ছিল। টাকাটা পুলিশ প্রশাসনের কেউ নিল, না কোনো পাবলিক নিল তা আমরা জানি না।’