ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

৫ স্তরের নিরাপত্তায় জনতার রায়ের দিন আজ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:১৮:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার দু’টি আসনে আ.লীগ-বিএনপি’র মুখোমুখি লড়াইয়ের সম্ভাবনা

হ্যাট্রিক জয়ে নজর ছেলুন-টগরের : দুর্গ দখলের লড়াইয়ে শরীফ-বাবু খান

এসএম শাফায়েত: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০১৮ আজ। বহু ঘটন-অঘটন, জল্পনা-কল্পনা আর হিসাব-নিকাশের পালা শেষ হবে এদিন। শুরু হবে আসল পরীক্ষা। সেই পরীক্ষার ফলাফল থেকে জানা যাবে কে হাসবেন শেষ হাসি। পুনরাবৃত্তি নাকি পরিবর্তন- বেছে নেবেন জনতা, রায় দেবেন ব্যালটে। প্রচারণার পর্বটি শেষ হয়েছে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই, এবার ভোট গ্রহণের পর্ব। আজ সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীন চলবে ভোটগ্রহণ। ভোট গণনা শেষে কেন্দ্রে ফল ঘোষণার পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে স্থাপিত কন্ট্রোল রুম থেকেই ফল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনী এলাকায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এরইমধ্যে নির্বাচনী সরঞ্জাম কেন্দ্রে পৌঁছেছে। ভোটকেন্দ্রগুলোয় আনসার, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, প্রচারণা পর্বে আওয়ামী লীগ স্বতঃস্ফুর্ত থাকলেও কিছুটা শঙ্কার মেঘ জমে ছিল বিএনপির মাথার উপর। হামলা-মামলা এবং বাঁধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে কৌশলে মাঠে ছিল তারা। বাকীরা সুবিধামত নিজেদের প্রচারণা করেছেন। এ বিষয়ে তাদের কোন অভিযোগ নেই। আওয়ামী লীগ চাই জয়ের ধারাবাহিকতা। এবার জয় হলে তারা পাবেন সংসদে যাওয়ার হ্যাট্রিক চান্স। তবে নিজেদের দুর্গখ্যাত এই আসন দু’টি দখলে নিতে চাই বিএনপি। সবমিলিয়ে আজকের নির্বাচনে শক্তিমান দু’টি দল আ.লীগ-বিএনপির লড়াই হবে মুখোমুখি।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসন: এই আসনে বর্তমান সাংসদ আ.লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের প্রধান প্রতিপক্ষ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, ২০ দল ও বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী মো. শরীফুজ্জামান শরীফ। ছেলুন জোয়ার্দ্দার এ আসন থেকে পর পর দু’বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। সে হিসেবে উদীয়মান, তরুণ ও নবীণ প্রার্থী শরীফুজ্জামান শরীফ। এবারই প্রথম তিনি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন এবং তা পেয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সংসদ নির্বাচনের ভোটযুদ্ধে সরাসরি লড়ছেন। এ আসনে প্রার্থী হিসেবে আরো রয়েছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত এড. মো. সোহরাব হোসেন, তিনি লড়ছেন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে। হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম আজিজী ও মুসলিম লীগ মনোনীত জেলার একমাত্র নারী প্রার্থী মোছা. মেরিনা আক্তার হারিকেন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হলেও মাঠের লড়াইয়ে বড় দু’দলের প্রার্থীদের কাছে তারা নস্যি।
সংসদীয় আসন ৭৯, চুয়াডাঙ্গা-১ এ মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৭৩টি, যার প্রত্যেকটিই স্থায়ী। মোট ভোটার ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ১৭ হাজার ২৮৬ জন ভোটার এবং নারী ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৪৪৪ জন।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসন: সীমান্তঘেষা এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা নিয়ে লড়ছেন বর্তমান সাংসদ হাজী আলী আজগার টগর। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত সাংসদ মাওলানা হাবিবুর রহমানকে পরাজিত করে পর পর দু’দফায় এ আসনটি দখলে রেখেছেন তিনি। এবার হাটছেন হ্যাট্রিক চান্সের দিকে, অর্থাৎ তৃতীয় বার নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্যে। তারও প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, ২০ দল ও বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব মাহমুদ হাসান বাবু খান। নবম সংসদ নির্বাচনের কিছু দিন পরই চুয়াডাঙ্গার রাজনীতিতে ফুটে ওঠা বাবু খান দশম নির্বাচনের সময় শক্তাবস্থানে ছিলেন। সে নির্বাচনে বিএনপি সরে দাড়ালে তিনিও নিজেকে গুটিয়ে নেন। তবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এ প্রার্থী এখনও সুবিধাজনক স্থানে রয়েছে বলে ধারণা অনেকের। এ আসনে নিশ্চিত জয়ের ঘোষণা দিলেও এখন বাবু খানের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়তে হবে হাজী আলী আজগার টগরকে। অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে জাকের পার্টির আব্দুল লতিফ খান যুবরাজ গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে বিগত সালে একাধিকবার জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মো. হাসানুজ্জামান হাতপাখা প্রতীক এবং গণফ্রন্ট মনোনীত শেখ লালন মাছ প্রতীক নিয়ে এবারই প্রথম নির্বাচন করছেন।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের দু’টি উপজেলা ও দু’টি পৌরসভার মোট ১৬১টি ভোট কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ করা হবে। মোট ভোটার ৪ লাখ ১৫ হাজার ২৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬ হাজার ৭৭১ জন এবং নারী ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৮ হাজার ২৫৬ জন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার গোপাল চন্দ্র দাস জানান, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেউ যদি কোনো বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়, তবে তাকে কঠোরহস্তে দমন করা হবে। ভোটাররা যাতে নিরাপদভাবে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন এবং ভোট দিয়ে নিরাপদে ফিরতে পারেন সে পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।’
পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশনায় আমরা নিরাপদ ভাবে সকল ভোটারের ভোট গ্রহণ পক্রিয়াকে সাবলিল ভাবে সম্পন্ন করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে নির্বাচন সম্পন্ন করতে আমাদের সহায়ক ৭ বাহিনী সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল ইমাম হাসান বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের নির্দেশনা অনুযায়ি কাজ করছি। ভোটাররা যেন নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারে সে রকম সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। যে কোন অপ্রিতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি কঠোর ভূমিকা পালন করবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

৫ স্তরের নিরাপত্তায় জনতার রায়ের দিন আজ

আপলোড টাইম : ০৪:১৮:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮

চুয়াডাঙ্গার দু’টি আসনে আ.লীগ-বিএনপি’র মুখোমুখি লড়াইয়ের সম্ভাবনা

হ্যাট্রিক জয়ে নজর ছেলুন-টগরের : দুর্গ দখলের লড়াইয়ে শরীফ-বাবু খান

এসএম শাফায়েত: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০১৮ আজ। বহু ঘটন-অঘটন, জল্পনা-কল্পনা আর হিসাব-নিকাশের পালা শেষ হবে এদিন। শুরু হবে আসল পরীক্ষা। সেই পরীক্ষার ফলাফল থেকে জানা যাবে কে হাসবেন শেষ হাসি। পুনরাবৃত্তি নাকি পরিবর্তন- বেছে নেবেন জনতা, রায় দেবেন ব্যালটে। প্রচারণার পর্বটি শেষ হয়েছে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই, এবার ভোট গ্রহণের পর্ব। আজ সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীন চলবে ভোটগ্রহণ। ভোট গণনা শেষে কেন্দ্রে ফল ঘোষণার পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে স্থাপিত কন্ট্রোল রুম থেকেই ফল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনী এলাকায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এরইমধ্যে নির্বাচনী সরঞ্জাম কেন্দ্রে পৌঁছেছে। ভোটকেন্দ্রগুলোয় আনসার, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, প্রচারণা পর্বে আওয়ামী লীগ স্বতঃস্ফুর্ত থাকলেও কিছুটা শঙ্কার মেঘ জমে ছিল বিএনপির মাথার উপর। হামলা-মামলা এবং বাঁধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে কৌশলে মাঠে ছিল তারা। বাকীরা সুবিধামত নিজেদের প্রচারণা করেছেন। এ বিষয়ে তাদের কোন অভিযোগ নেই। আওয়ামী লীগ চাই জয়ের ধারাবাহিকতা। এবার জয় হলে তারা পাবেন সংসদে যাওয়ার হ্যাট্রিক চান্স। তবে নিজেদের দুর্গখ্যাত এই আসন দু’টি দখলে নিতে চাই বিএনপি। সবমিলিয়ে আজকের নির্বাচনে শক্তিমান দু’টি দল আ.লীগ-বিএনপির লড়াই হবে মুখোমুখি।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসন: এই আসনে বর্তমান সাংসদ আ.লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের প্রধান প্রতিপক্ষ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, ২০ দল ও বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী মো. শরীফুজ্জামান শরীফ। ছেলুন জোয়ার্দ্দার এ আসন থেকে পর পর দু’বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। সে হিসেবে উদীয়মান, তরুণ ও নবীণ প্রার্থী শরীফুজ্জামান শরীফ। এবারই প্রথম তিনি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন এবং তা পেয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সংসদ নির্বাচনের ভোটযুদ্ধে সরাসরি লড়ছেন। এ আসনে প্রার্থী হিসেবে আরো রয়েছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত এড. মো. সোহরাব হোসেন, তিনি লড়ছেন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে। হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম আজিজী ও মুসলিম লীগ মনোনীত জেলার একমাত্র নারী প্রার্থী মোছা. মেরিনা আক্তার হারিকেন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হলেও মাঠের লড়াইয়ে বড় দু’দলের প্রার্থীদের কাছে তারা নস্যি।
সংসদীয় আসন ৭৯, চুয়াডাঙ্গা-১ এ মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৭৩টি, যার প্রত্যেকটিই স্থায়ী। মোট ভোটার ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ১৭ হাজার ২৮৬ জন ভোটার এবং নারী ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৪৪৪ জন।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসন: সীমান্তঘেষা এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা নিয়ে লড়ছেন বর্তমান সাংসদ হাজী আলী আজগার টগর। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত সাংসদ মাওলানা হাবিবুর রহমানকে পরাজিত করে পর পর দু’দফায় এ আসনটি দখলে রেখেছেন তিনি। এবার হাটছেন হ্যাট্রিক চান্সের দিকে, অর্থাৎ তৃতীয় বার নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্যে। তারও প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, ২০ দল ও বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব মাহমুদ হাসান বাবু খান। নবম সংসদ নির্বাচনের কিছু দিন পরই চুয়াডাঙ্গার রাজনীতিতে ফুটে ওঠা বাবু খান দশম নির্বাচনের সময় শক্তাবস্থানে ছিলেন। সে নির্বাচনে বিএনপি সরে দাড়ালে তিনিও নিজেকে গুটিয়ে নেন। তবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এ প্রার্থী এখনও সুবিধাজনক স্থানে রয়েছে বলে ধারণা অনেকের। এ আসনে নিশ্চিত জয়ের ঘোষণা দিলেও এখন বাবু খানের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়তে হবে হাজী আলী আজগার টগরকে। অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে জাকের পার্টির আব্দুল লতিফ খান যুবরাজ গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে বিগত সালে একাধিকবার জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মো. হাসানুজ্জামান হাতপাখা প্রতীক এবং গণফ্রন্ট মনোনীত শেখ লালন মাছ প্রতীক নিয়ে এবারই প্রথম নির্বাচন করছেন।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের দু’টি উপজেলা ও দু’টি পৌরসভার মোট ১৬১টি ভোট কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ করা হবে। মোট ভোটার ৪ লাখ ১৫ হাজার ২৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬ হাজার ৭৭১ জন এবং নারী ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৮ হাজার ২৫৬ জন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার গোপাল চন্দ্র দাস জানান, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেউ যদি কোনো বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়, তবে তাকে কঠোরহস্তে দমন করা হবে। ভোটাররা যাতে নিরাপদভাবে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন এবং ভোট দিয়ে নিরাপদে ফিরতে পারেন সে পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।’
পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশনায় আমরা নিরাপদ ভাবে সকল ভোটারের ভোট গ্রহণ পক্রিয়াকে সাবলিল ভাবে সম্পন্ন করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে নির্বাচন সম্পন্ন করতে আমাদের সহায়ক ৭ বাহিনী সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল ইমাম হাসান বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের নির্দেশনা অনুযায়ি কাজ করছি। ভোটাররা যেন নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারে সে রকম সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। যে কোন অপ্রিতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি কঠোর ভূমিকা পালন করবে।’