ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

২ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ৪ জন ডাক্তার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩০:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ ২০১৮
  • / ২৯৮ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট
জাহিদ বাবু/ মিঠুন মাহমুদ: জীবননগর হাসপাতালে ২ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ৪ জন ডাক্তার নিয়োজিত। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় চিকিৎসা সেবার এ বেহাল দশা। জীবননগর উপজেলার ৫০ শয্যার হাসপাতালে প্রতিদিন গড় আউট ডোরে ৪’শ জন ও ৫০ জন ভর্তি হওয় রোগীকে চিকিৎসা দিচ্ছে মাত্র ৩ জন কর্তব্যরত চিকিৎসক। তবে বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা বলছেন তারা হাসপাতালে চিকিৎসকের অভাবে অনেক সময় ফিরে যেতে হচ্ছে। সদ্য ৩১ শয্যা থেকে উন্নিত হওয়া ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ডাক্তার সংকটে খুড়িয়ে চলছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। ডাক্তার ও নার্সদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় রোগীরা চরম হতাশা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করছে। ৫০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে রয়েছে মাত্র ৪ জন ডাক্তার যেখানে থাকার কথা ছিলো ১৫জন। এ উপজেলায় প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষের জন্য রয়েছে মাত্র ৪ জন ডাক্তার।
জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতালটিতে ১৫ জন চিকিৎসক থাকার কথা কিন্তু সে স্থলে বর্তমানে ওই হাসপাতালটিতে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৪ জন চিকিৎসক। এদের মধ্যে ডা. হেলেনা আক্তার নিপা মেডিকেল অফিসার, ডা. মাহমুদ বিন হেদায়েত সেতু আবাসিক মেডিকেল অফিসার খাতা কলমে জুনিঃ কনঃ সার্জারী ডা. রফিকুল ইসলামের নাম থাকলেও হাসপাতালে হাজিরা দেওয়া ছাড়া তাদেরকে হাসপাতালে দেখা যায় না। তারা তাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান নিয়েই ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। এছাড়া হাসপাতালটিতে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী পদে ৬০ জন থাকার কথা থাকলেও আছে ৪৮জন, চতুর্থ শ্রেণীর আয়া, ওয়ার্ড বয় ও সুইপার এর পদে থাকার কথা ২১জন আছে ১৬জন।
এব্যাপারে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. রফিকুল ইসলামের সাথে চিকিৎসক সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সটিতে ৩১ শয্যা আছে ৫০ শয্যায় অবকাঠামো হয়েছে এখনো পরিপূর্ণ ভাবে সরঞ্জামাদি ও লিখিত অনুমোদন পাইনি। চিকিৎসক ও কর্মচারী সংকট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, সিভিল সার্জন মহোদয়কে হাসপাতালে আরো চিকিৎসক ও কর্মচারী প্রণয়নের চাহিদা জানিয়েছি। আশা করি খুব শিঘ্রই আমরা চিকিৎসকে সংকট থেকে নিরসন পাবো এবং হাসপাতালে আগত রোগীরা আরো উন্নত চিকিৎসা প্রদান করতে পারবো।
এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা সিভিল সার্জন ডা. খাইরুল আলম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে একটি হাসপাতালে আগে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন চিকিৎসক চিকিৎসা সেবা প্রদান করতো কিন্তু বর্তমানে ট্রেনিং এবং বদলি জনিত কারণে চিকিৎসক সংকটে পড়তে হচ্ছে। এই সংকট শুধু জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে একা নয় অনেক উপজেলায় চিকিৎসক সংকট চলছে। বর্তমান সরকার ৬ হাজার নতুন চিকিৎসক নিয়োগ দিবেন তখন চিকিৎসক সংকটের নিরসন হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

২ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ৪ জন ডাক্তার

আপলোড টাইম : ০৮:৩০:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ ২০১৮

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট
জাহিদ বাবু/ মিঠুন মাহমুদ: জীবননগর হাসপাতালে ২ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ৪ জন ডাক্তার নিয়োজিত। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় চিকিৎসা সেবার এ বেহাল দশা। জীবননগর উপজেলার ৫০ শয্যার হাসপাতালে প্রতিদিন গড় আউট ডোরে ৪’শ জন ও ৫০ জন ভর্তি হওয় রোগীকে চিকিৎসা দিচ্ছে মাত্র ৩ জন কর্তব্যরত চিকিৎসক। তবে বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা বলছেন তারা হাসপাতালে চিকিৎসকের অভাবে অনেক সময় ফিরে যেতে হচ্ছে। সদ্য ৩১ শয্যা থেকে উন্নিত হওয়া ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ডাক্তার সংকটে খুড়িয়ে চলছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। ডাক্তার ও নার্সদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় রোগীরা চরম হতাশা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করছে। ৫০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে রয়েছে মাত্র ৪ জন ডাক্তার যেখানে থাকার কথা ছিলো ১৫জন। এ উপজেলায় প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষের জন্য রয়েছে মাত্র ৪ জন ডাক্তার।
জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতালটিতে ১৫ জন চিকিৎসক থাকার কথা কিন্তু সে স্থলে বর্তমানে ওই হাসপাতালটিতে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৪ জন চিকিৎসক। এদের মধ্যে ডা. হেলেনা আক্তার নিপা মেডিকেল অফিসার, ডা. মাহমুদ বিন হেদায়েত সেতু আবাসিক মেডিকেল অফিসার খাতা কলমে জুনিঃ কনঃ সার্জারী ডা. রফিকুল ইসলামের নাম থাকলেও হাসপাতালে হাজিরা দেওয়া ছাড়া তাদেরকে হাসপাতালে দেখা যায় না। তারা তাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান নিয়েই ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। এছাড়া হাসপাতালটিতে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী পদে ৬০ জন থাকার কথা থাকলেও আছে ৪৮জন, চতুর্থ শ্রেণীর আয়া, ওয়ার্ড বয় ও সুইপার এর পদে থাকার কথা ২১জন আছে ১৬জন।
এব্যাপারে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. রফিকুল ইসলামের সাথে চিকিৎসক সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সটিতে ৩১ শয্যা আছে ৫০ শয্যায় অবকাঠামো হয়েছে এখনো পরিপূর্ণ ভাবে সরঞ্জামাদি ও লিখিত অনুমোদন পাইনি। চিকিৎসক ও কর্মচারী সংকট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, সিভিল সার্জন মহোদয়কে হাসপাতালে আরো চিকিৎসক ও কর্মচারী প্রণয়নের চাহিদা জানিয়েছি। আশা করি খুব শিঘ্রই আমরা চিকিৎসকে সংকট থেকে নিরসন পাবো এবং হাসপাতালে আগত রোগীরা আরো উন্নত চিকিৎসা প্রদান করতে পারবো।
এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা সিভিল সার্জন ডা. খাইরুল আলম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে একটি হাসপাতালে আগে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন চিকিৎসক চিকিৎসা সেবা প্রদান করতো কিন্তু বর্তমানে ট্রেনিং এবং বদলি জনিত কারণে চিকিৎসক সংকটে পড়তে হচ্ছে। এই সংকট শুধু জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে একা নয় অনেক উপজেলায় চিকিৎসক সংকট চলছে। বর্তমান সরকার ৬ হাজার নতুন চিকিৎসক নিয়োগ দিবেন তখন চিকিৎসক সংকটের নিরসন হবে।