ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

২৪ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে মাহফুজুর রহমান খানকে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৫:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৯
  • / ২৬১ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত খ্যাতিমান চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খানকে ২৪ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তিনি রাজধানীর গ্রীন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আজ বিকেলে তাকে কর্তব্যরত ডাক্তার ‘ক্লিনিক্যালি ডেথ’ ঘোষণার খবরে চারদিক ছড়িয়ে পড়ে যে, তিনি মারা গেছেন। তবে তার ভাতিজা সাদাতুর রহমান ফাহাদ বলেন, তিনি এখনো মারা যান নি। লাইফ সার্পোটে আছেন তিনি। হাত-পা নাড়ছেন, কেউ দেখতে আসলে ডাকে সাড়া দিচ্ছেন। এর মানে উনার এখনো অনুভূতি আছে। তবে চিকিৎসক বলেছেন অবস্থা ভীষণ সংকটাপন্ন। উনার ফুসফুস ঠিকমত কাজ করছে না। এদিকে পরিচালক শাহ আলম কিরণ, বদিউল আলম খোকন ও মুশফিকুর রহমান গুলজার মাহফুজুর রহমান খানকে একটু আগে হাসপাতালে দেখতে যান। পরিচালক বদিউল আলম খোকন বলেন, আমরা বিকেলে দেখতে গেলে হাত-পা নাড়িয়েছেন তিনি। মাথা ঘুরিয়ে তাকিয়ে পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজারের দিকে তিনি তাকান। চিকিৎসক তাকে ২৪ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তবে শারীরিক অবস্থা অনেক খারাপ। উল্লেখ্য, মাহফুজুর রহমান খান দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও ফুসফুসের রোগে ভুগছেন। তার স্ত্রী মারা যান ২০০১ সালে। তখন থেকেই ধীরে ধীরে তার অসুস্থতা বাড়তে থাকে। পেশাদার চিত্রগ্রাহক হিসেবে মাহফুজুর রহমান খান ১৯৭২ সালে প্রথম চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি আলমগীর কবির, আলমগীর কুমকুম, হুমায়ূন আহমেদ, শিবলি সাদিকদের মতো খ্যতিমান চলচ্চিত্র পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেন। বিশেষ করে হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত প্রায় সব চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক তিনি। ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘হাজার বছর ধরে’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘ঘেটুপুত্র কমলা’, ‘আগুনের পরশমনি’র মতো অসংখ্য জনপ্রিয় ছবির চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান। বরেণ্য এ চিত্রগ্রাহক ১৯৪৯ সালের ১৯ শে মে পুরান ঢাকার হেকিম হাবিবুর রহমান রোডের এক বনেদী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রখ্যাত চিত্রগ্রাহক আব্দুল লতিফ বাচ্চুর শিষ্য তিনি। তার অধীনে সহকারী চিত্রগ্রাহক হিসেবে ১৯৭০ সালে ‘দর্প চূর্ণ’ ও ১৯৭১ সালে ‘স্মরলিপি’ চলচ্চিত্রে কাজ করেন। প্রধান চিত্রগ্রাহক হিসেবে তার প্রথম কাজ ১৯৭২ সালে আবুল বাশার চুন্নু পরিচালিত ‘কাঁচের স্বর্গ’। নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পাশাপাশি তিনি আটবার বাচসাস পুরস্কারও অর্জন করেন।

 

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

২৪ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে মাহফুজুর রহমান খানকে

আপলোড টাইম : ০৯:৩৫:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৯

বিনোদন ডেস্ক
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত খ্যাতিমান চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খানকে ২৪ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তিনি রাজধানীর গ্রীন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আজ বিকেলে তাকে কর্তব্যরত ডাক্তার ‘ক্লিনিক্যালি ডেথ’ ঘোষণার খবরে চারদিক ছড়িয়ে পড়ে যে, তিনি মারা গেছেন। তবে তার ভাতিজা সাদাতুর রহমান ফাহাদ বলেন, তিনি এখনো মারা যান নি। লাইফ সার্পোটে আছেন তিনি। হাত-পা নাড়ছেন, কেউ দেখতে আসলে ডাকে সাড়া দিচ্ছেন। এর মানে উনার এখনো অনুভূতি আছে। তবে চিকিৎসক বলেছেন অবস্থা ভীষণ সংকটাপন্ন। উনার ফুসফুস ঠিকমত কাজ করছে না। এদিকে পরিচালক শাহ আলম কিরণ, বদিউল আলম খোকন ও মুশফিকুর রহমান গুলজার মাহফুজুর রহমান খানকে একটু আগে হাসপাতালে দেখতে যান। পরিচালক বদিউল আলম খোকন বলেন, আমরা বিকেলে দেখতে গেলে হাত-পা নাড়িয়েছেন তিনি। মাথা ঘুরিয়ে তাকিয়ে পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজারের দিকে তিনি তাকান। চিকিৎসক তাকে ২৪ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তবে শারীরিক অবস্থা অনেক খারাপ। উল্লেখ্য, মাহফুজুর রহমান খান দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও ফুসফুসের রোগে ভুগছেন। তার স্ত্রী মারা যান ২০০১ সালে। তখন থেকেই ধীরে ধীরে তার অসুস্থতা বাড়তে থাকে। পেশাদার চিত্রগ্রাহক হিসেবে মাহফুজুর রহমান খান ১৯৭২ সালে প্রথম চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি আলমগীর কবির, আলমগীর কুমকুম, হুমায়ূন আহমেদ, শিবলি সাদিকদের মতো খ্যতিমান চলচ্চিত্র পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেন। বিশেষ করে হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত প্রায় সব চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক তিনি। ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘হাজার বছর ধরে’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘ঘেটুপুত্র কমলা’, ‘আগুনের পরশমনি’র মতো অসংখ্য জনপ্রিয় ছবির চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান। বরেণ্য এ চিত্রগ্রাহক ১৯৪৯ সালের ১৯ শে মে পুরান ঢাকার হেকিম হাবিবুর রহমান রোডের এক বনেদী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রখ্যাত চিত্রগ্রাহক আব্দুল লতিফ বাচ্চুর শিষ্য তিনি। তার অধীনে সহকারী চিত্রগ্রাহক হিসেবে ১৯৭০ সালে ‘দর্প চূর্ণ’ ও ১৯৭১ সালে ‘স্মরলিপি’ চলচ্চিত্রে কাজ করেন। প্রধান চিত্রগ্রাহক হিসেবে তার প্রথম কাজ ১৯৭২ সালে আবুল বাশার চুন্নু পরিচালিত ‘কাঁচের স্বর্গ’। নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পাশাপাশি তিনি আটবার বাচসাস পুরস্কারও অর্জন করেন।