ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

১ পদের জন্য লড়ছেন ৪ প্রার্থী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১১:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • / ২৭৩ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের স্থগিত ৩ ওয়ার্ডের নির্বাচন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বার বার স্থগিতাদেশের পর চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের ৩ ওয়ার্ডের নির্বাচন আজ রবিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আজ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতীহীন ভাবে ভোট গ্রহণ করা হবে। একমাত্র কেন্দ্র সদরের হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২ টি বুথে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ১০ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলাসহ মোট ১৩ জন ভোটার তাদের নিজ নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত করবেন বলে জানিয়েছেন সহকারী রির্টানিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার রাজু আহম্মেদ।
তিনি সময়ের সমীকরণকে বলেন, এর আগে ৩নং ওয়ার্ডসহ জেলার জীবননগর উপজেলাধীন জেলা পরিষদের ১৫ ওয়ার্ডের নির্বাচনের নিমিত্তে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে নির্বাচনের সময় বাড়িয়ে ২০ আগস্ট নির্ধারণ করে। ১৫ নং ওয়ার্ডে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে একজন মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় এবং আর একজন মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সদস্য পদে নির্বাচিত হয়। তবে ৩ নং ওয়ার্ডের নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও সারাদেশে ভয়াবহ বন্যার কারণে স্থগিতাদেশ প্রদান করে নির্বাচন কমিশন।
এ ছাড়াও জেলা পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে নির্বাচনে রির্টানিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। নির্বাচনে একমাত্র কেন্দ্র হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪ প্রার্থীর মধ্যে একজন সদস্য নির্বাচনেও থাকছে শতভাগ স্বচ্ছতা। একজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৯ জন পুলিশ সদস্য ও ১৬ জন আনসার সদস্য আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন সদর উপজেলা সমবায় অফিসার আব্দুল্লাহ আল সামী।
এদিকে জেলা পরিষদের ৩ ওয়ার্ড ১টি সদস্য পদের বিপরীতে লড়ছেন ৪ প্রার্থী। প্রার্থীরা হলেন- মো. মানিক উজ্জামান (হাতি), মো. জহুরুল ইসলাম (তালা), মো. শফী (টিউবওয়েল) ও আব্বাস আলী (বৈদ্যুতিক পাখা)। তবে কিছুদিন আগে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন আব্বাস আলী।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলাধীন মাখালডাঙ্গা, নেহালপুর ও বেগমপুর ইউনিয়ন নিয়ে ৩নং ওয়ার্ড গঠিত এবং জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়ন বিভক্তের পর উথলী, মনোহরপুর ও কেডিকে ইউনিয়ন হলে এ ৩টি ইউনিয়ন নিয়ে ১৫নং ওয়ার্ড গঠিত। গত ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখ জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভোটার সংখ্যা নির্ধারণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের অনীহা ও জটিলতা থাকায় আটকে ছিল এ দু’টি ওয়ার্ডের নির্বাচন। সে সময় বলা হয় যে সমস্ত জনপ্রতিনিধিরা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েও ক্ষমতায় আছে তাঁরা ভোটার হিসেবে গণ্য হবে না। এদিকে ভোটার যাচাই বাছাই’র একটি নির্দিষ্ট সময় পর তাদেরকে ভোটার হিসেবে অনুমোদন করা হয়। সবকিছু ঠিকটাক থাকলে আগামী ২০ আগস্ট সাধারণ সদস্য পদে স্থগিত ৩ ও ১৫নং ওয়ার্ডের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

১ পদের জন্য লড়ছেন ৪ প্রার্থী

আপলোড টাইম : ০৯:১১:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের স্থগিত ৩ ওয়ার্ডের নির্বাচন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বার বার স্থগিতাদেশের পর চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের ৩ ওয়ার্ডের নির্বাচন আজ রবিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আজ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতীহীন ভাবে ভোট গ্রহণ করা হবে। একমাত্র কেন্দ্র সদরের হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২ টি বুথে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ১০ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলাসহ মোট ১৩ জন ভোটার তাদের নিজ নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত করবেন বলে জানিয়েছেন সহকারী রির্টানিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার রাজু আহম্মেদ।
তিনি সময়ের সমীকরণকে বলেন, এর আগে ৩নং ওয়ার্ডসহ জেলার জীবননগর উপজেলাধীন জেলা পরিষদের ১৫ ওয়ার্ডের নির্বাচনের নিমিত্তে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে নির্বাচনের সময় বাড়িয়ে ২০ আগস্ট নির্ধারণ করে। ১৫ নং ওয়ার্ডে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে একজন মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় এবং আর একজন মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সদস্য পদে নির্বাচিত হয়। তবে ৩ নং ওয়ার্ডের নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও সারাদেশে ভয়াবহ বন্যার কারণে স্থগিতাদেশ প্রদান করে নির্বাচন কমিশন।
এ ছাড়াও জেলা পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে নির্বাচনে রির্টানিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। নির্বাচনে একমাত্র কেন্দ্র হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪ প্রার্থীর মধ্যে একজন সদস্য নির্বাচনেও থাকছে শতভাগ স্বচ্ছতা। একজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৯ জন পুলিশ সদস্য ও ১৬ জন আনসার সদস্য আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন সদর উপজেলা সমবায় অফিসার আব্দুল্লাহ আল সামী।
এদিকে জেলা পরিষদের ৩ ওয়ার্ড ১টি সদস্য পদের বিপরীতে লড়ছেন ৪ প্রার্থী। প্রার্থীরা হলেন- মো. মানিক উজ্জামান (হাতি), মো. জহুরুল ইসলাম (তালা), মো. শফী (টিউবওয়েল) ও আব্বাস আলী (বৈদ্যুতিক পাখা)। তবে কিছুদিন আগে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন আব্বাস আলী।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলাধীন মাখালডাঙ্গা, নেহালপুর ও বেগমপুর ইউনিয়ন নিয়ে ৩নং ওয়ার্ড গঠিত এবং জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়ন বিভক্তের পর উথলী, মনোহরপুর ও কেডিকে ইউনিয়ন হলে এ ৩টি ইউনিয়ন নিয়ে ১৫নং ওয়ার্ড গঠিত। গত ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখ জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভোটার সংখ্যা নির্ধারণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের অনীহা ও জটিলতা থাকায় আটকে ছিল এ দু’টি ওয়ার্ডের নির্বাচন। সে সময় বলা হয় যে সমস্ত জনপ্রতিনিধিরা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েও ক্ষমতায় আছে তাঁরা ভোটার হিসেবে গণ্য হবে না। এদিকে ভোটার যাচাই বাছাই’র একটি নির্দিষ্ট সময় পর তাদেরকে ভোটার হিসেবে অনুমোদন করা হয়। সবকিছু ঠিকটাক থাকলে আগামী ২০ আগস্ট সাধারণ সদস্য পদে স্থগিত ৩ ও ১৫নং ওয়ার্ডের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।