ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

১৬ লাখ টাকার ব্রিজে শুকানো হচ্ছে ধান!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪১:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১০২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহে অদ্ভুত ব্রিজ : নেই রাস্তা, নেই মানুষের চলাচল
ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সুরাট গ্রামে অদ্ভুত একটি ব্রিজের সন্ধান মিলেছে। রাস্তা নেই তবু ১৬ লাখ ৩১ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ব্রিজটি। ব্রিজটি ধান শুকানোর কাজে ব্যবহার করছে গ্রামবাসী। সুরাট গ্রামের ঝাপরের খালের মধ্যে দিয়ে ছিল একটি পায়ে হাটা পথ। ব্রিজটি নির্মাণের ফলে সে পথও বন্ধ হয়ে গেছে। ১৬ লাখ ৩১ হাজার ৩২৫ টাকা ব্যয়ে ২০ ফুটের ব্রিজটি নির্মাণ করেছে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। নির্মাণকাজটি বাস্তবায়ন করেছে ঝিনাইদহের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জেন্টস ফ্যাশান। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এই কাজের টেন্ডার হয়। একটি সরু পথে এ ধরণের ব্রিজ নির্মাণের দরকার ছিল না বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিউটন বাইন বলেন, ‘আমি এখানে যোগদান করার আগেই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।’ বক্তব্য নিতে গেলে ঝিনাইদহ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা বজলুর রশিদকে পাওয়া যায়নি তাঁর কর্মস্থলে। তবে ওই অফিসের কর্মচারীরা জানান, সব কাজ উপজেলা প্রকল্প অফিসাররা দেখেন।
এলাকাবাসী জানায়, ঝিনাইদহ থকে সুরাট যাওয়ার পাকা রাস্তার পাশেই ঝাপরের খালের পাশ দিয়ে পশ্চিম মাঠে যাওয়া সরু রাস্তা। সেই রাস্তার মাথায় নির্মাণ করা হয়েছে ব্রিজটি। ব্রিজের ওপর এখন ধান শুকাচ্ছেন গ্রামের নারীরা। রাস্তা করার মতো সরকারি কোনো জমিও নেই সেখানে। ব্রিজের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে কায়েক’শ ফিটের মধ্যে কোনো রাস্তও নেই। তবে ব্রিজ নির্মাণের বৈধতা দেখাতে সেখানে মাটি খনন করা হয়। নাচনা-সুরাট সড়কের সঙ্গে এই ঝাপরের খালে ২০০ মিটারের মধ্যে আরও ২টি ব্রিজ রয়েছে। কোনো রাস্তা নেই, মানুষের চলাচল নেই যেখানে, সেখানে কেন এই ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে? এমন প্রশ্ন এখন এলাকাবাসীর।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

১৬ লাখ টাকার ব্রিজে শুকানো হচ্ছে ধান!

আপলোড টাইম : ১০:৪১:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০

ঝিনাইদহে অদ্ভুত ব্রিজ : নেই রাস্তা, নেই মানুষের চলাচল
ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সুরাট গ্রামে অদ্ভুত একটি ব্রিজের সন্ধান মিলেছে। রাস্তা নেই তবু ১৬ লাখ ৩১ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ব্রিজটি। ব্রিজটি ধান শুকানোর কাজে ব্যবহার করছে গ্রামবাসী। সুরাট গ্রামের ঝাপরের খালের মধ্যে দিয়ে ছিল একটি পায়ে হাটা পথ। ব্রিজটি নির্মাণের ফলে সে পথও বন্ধ হয়ে গেছে। ১৬ লাখ ৩১ হাজার ৩২৫ টাকা ব্যয়ে ২০ ফুটের ব্রিজটি নির্মাণ করেছে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। নির্মাণকাজটি বাস্তবায়ন করেছে ঝিনাইদহের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জেন্টস ফ্যাশান। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এই কাজের টেন্ডার হয়। একটি সরু পথে এ ধরণের ব্রিজ নির্মাণের দরকার ছিল না বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিউটন বাইন বলেন, ‘আমি এখানে যোগদান করার আগেই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।’ বক্তব্য নিতে গেলে ঝিনাইদহ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা বজলুর রশিদকে পাওয়া যায়নি তাঁর কর্মস্থলে। তবে ওই অফিসের কর্মচারীরা জানান, সব কাজ উপজেলা প্রকল্প অফিসাররা দেখেন।
এলাকাবাসী জানায়, ঝিনাইদহ থকে সুরাট যাওয়ার পাকা রাস্তার পাশেই ঝাপরের খালের পাশ দিয়ে পশ্চিম মাঠে যাওয়া সরু রাস্তা। সেই রাস্তার মাথায় নির্মাণ করা হয়েছে ব্রিজটি। ব্রিজের ওপর এখন ধান শুকাচ্ছেন গ্রামের নারীরা। রাস্তা করার মতো সরকারি কোনো জমিও নেই সেখানে। ব্রিজের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে কায়েক’শ ফিটের মধ্যে কোনো রাস্তও নেই। তবে ব্রিজ নির্মাণের বৈধতা দেখাতে সেখানে মাটি খনন করা হয়। নাচনা-সুরাট সড়কের সঙ্গে এই ঝাপরের খালে ২০০ মিটারের মধ্যে আরও ২টি ব্রিজ রয়েছে। কোনো রাস্তা নেই, মানুষের চলাচল নেই যেখানে, সেখানে কেন এই ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে? এমন প্রশ্ন এখন এলাকাবাসীর।